নয়াদিল্লি, 30 নভেম্বর: এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিলকিস বানো (Bilkis Bano)৷ 2002 সালের গুজরাত দাঙ্গায় তাঁকে গণধর্ষণ করা 11জন দোষীর অকাল মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন তিনি (Bilkis Approaches Supreme Court)৷ মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট 11 জন দোষীকে মুক্তির জন্য 1992 সালের রেমিশন রুলস ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিল গুজরাত সরকারকে ৷ সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন বিলকিস বানো ৷
বিলকিস বানোর আইনজীবী প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে এই মামলার উল্লেখ করেন । সিজেআই বলেছেন যে, আবেদনটি একই বেঞ্চে শুনানি করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
বিলকিস বানো মামলায় 11জন অপরাধীর মুক্তির সিদ্ধান্তের পক্ষে গুজরাত সরকার সুপ্রিম কোর্টকে বলেছে, দোষীরা কারাগারে 14 বছরের সাজা পূর্ণ করেছে এবং তাদের "আচরণ ভালো" বলে প্রমাণিত হয়েছে । রাজ্য সরকার বলেছে যে, 1992 সালের নীতি অনুসারে 11 জন বন্দির মামলা বিবেচনা করা হয়েছে এবং 2022 সালের 10 অগস্ট তাদের মুক্তি দেওয়া হয় ৷ কেন্দ্রীয় সরকারও দোষীদের আগাম মুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তদের শাস্তিমকুব ও প্যারোল নিয়ে কড়া আইনের দাবিতে মোদিকে চিঠি মালিওয়ালের
হলফনামায় বলা হয়েছে, "রাজ্য সরকার সমস্ত মতামত বিবেচনা করে 11 জন বন্দির শাস্তি মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ তারা কারাগারে 14 বছর বা তার বেশি বয়স পূর্ণ করেছে এবং তাদের আচরণ ভালো পাওয়া গিয়েছে ।" গুজরাত সরকার 11 জন দোষীর শাস্তি মকুব করে দিয়েছে, যারা 2002 সালের গোধরা দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করেছিল এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছিল ।
বিলকিস বানো মামলায় 11 জন অপরাধীর মুক্তির পর থেকেই এই নিয়েই বিতর্ক শুরু হয় দেশজুড়ে ৷ দিনকয়েক আগেই এই প্রসঙ্গে দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন ৷ ধর্ষকদের সাজামকুবের ক্ষেত্রে আরও কঠোর আইন আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি ৷