নয়াদিল্লি/পটনা, 25 সেপ্টেম্বর: বিহারের পটনায় দলিত মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ ৷ দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেন দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল ৷ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ৷
দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান দাবি করেছেন, বিহার সরকার এবং পুলিশ অবিলম্বে ওই মহিলাকে নিরাপত্তা দিক এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক । এক্সে এই দাবি জানিয়ে স্বাতী হিন্দিতে একটি পোস্ট করেন ৷ যার বাংলা তরজমা করলে দাঁড়ায়, "পটনায় 1 হাজার 400 টাকা ঋণ ফেরত দেওয়ার পরেও একজন দলিত মহিলার কাছে আরও টাকা চাওয়া হয়েছিল এবং তিনি আর টাকা না দেওয়ায় তাঁকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় ৷ এমনকী প্রস্রাবও পান করানো হয় । মহিলাটি আগেও পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন ৷ কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি পুলিশ । বিহার সরকার এবং পুলিশের উচিত অবিলম্বে মহিলাকে নিরাপত্তা দেওয়া এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া ৷"
এ দিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছেন, "অপরাধীদের রেহাই দেওয়া হবে না ৷ প্রশাসন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে । কেউ ভুল করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । বিহারে আইনের শাসন আছে । যে কেউ অন্যায় করে পার পাবে না ৷ মহিলার উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ আমি পুলিশ ও প্রশাসনকে এই ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।"
এই ঘটনা নিয়ে এসপি সৈয়দ ইমরান মাসুদ বলেছেন, "আমরা অভিযুক্তদের সম্ভাব্য সমস্ত আস্তানায় অভিযান চালাচ্ছি । এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কিছু বিবাদ ছিল । তারপর অভিযুক্তরা মহিলাকে মারধর করে । এফআইআর-এ মহিলাটিও অভিযোগ করেছেন যে অভিযুক্তরা তাঁকে বিবস্ত্র করে এবং তাঁর গায়ে প্রস্রাবও করে । এখন পর্যন্ত তদন্তে টাকা নিয়ে বিরোধ এবং মহিলাকে মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে । আমরা অন্যান্য অভিযোগের তদন্ত করছি ।"
আরও পড়ুন: ঋণের টাকা শোধ দিতে না পেরে নির্যাতনের শিকার দলিত মহিলা
জানা গিয়েছে, এক বছর আগে গ্রামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে সুদে 1 হাজার 500 টাকা ধার নিয়েছিলেন নির্যাতিতার স্বামী । সঠিক সময়ে সেই টাকা ফেরত দিতে না-পারায় দলিত মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এরপর তাঁকে বিবস্ত্র করে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । এমনকী ওই মহিলার মুখে প্রস্রাব করার অভিযোগও উঠেছে । নির্যাতিতা মহিলার দাবি, প্রাণ বাঁচাতে তিনি কোনওমতে সেখান থেকে পালিয়ে যান । মহিলার আরও অভিযোগ, তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলেন । পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি । পুলিশ অভিযুক্তদের ছেড়ে দেয় ।
