ETV Bharat / bharat

দুর্নীতির প্রমাণ পেলে রাহুল, সোনিয়াকে জেলে পাঠান : অধীর - নরেন্দ্র মোদি

"এই যে পাকিস্তানকে এত ভয় দেখান । কীসের ভরসায় ? মিজ়াইলের । মিজ়াইল কারা বানিয়েছে ? কংগ্রেস । আমাদের আমলে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়েছিল বলে এখন বিভিন্ন স্যাটেলাইটের কথা ভাবতে পারছেন মোদি । বিভিন্ন প্রকল্পও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন ।" সংসদে বললেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি ।

অধীর
author img

By

Published : Jun 25, 2019, 3:49 AM IST

Updated : Jun 25, 2019, 4:01 AM IST

দিল্লি, 25 জুন : হিন্দিতে চোস্ত নন । বক্তৃতার মাঝে বাংলার টান ভালোই বোঝা যাচ্ছিল । থমকে থমকে বলছিলেন ইংরাজিও । তবু, অধীরময় হয়ে উঠল সংসদ । ফের একবার । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন তাঁকে যোদ্ধা বলেছেন, তা বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছেন বহরমপুরের সাংসদ ।

আগেও বলার সুযোগ পেতেন । তবে, বেশিক্ষণ নয় । স্পটলাইট থাকত রাহুল গান্ধির দিকে । এবার যেন 'অধীর' আগ্রহে মানুষ অপেক্ষা করছে । অপেক্ষারত কংগ্রেস সাংসদরাও । প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করেছেন অধীর । এমন কী, BJP সাংসদরাও তাঁর বক্তব্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ।

গতকাল রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন হয় । মোদি বেছে নেন তাঁর দলের আর এক "মোদি"কে । অর্থাৎ, ওড়িশার সাংসদ প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গিকে । তাঁর বক্তব্যে শুধুই ছিল মোদির বন্দনা । আর গান্ধি পরিবারের প্রতি খোঁচা । স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে মোদির তুলনাও করে ফেললেন । মহাজোটকে কটাক্ষ করতেও ছাড়লেন না । টু-জি, থ্রি-জি, কয়লা কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে একহাত নিলেন গান্ধি পরিবারকে ।

adhir main
বক্তব্য পেশ করছেন অধীর চৌধুরি

এই সংক্রান্ত আরও খবর : অভিনন্দনের গোঁফকে 'জাতীয় গোঁফ' ঘোষণা করা হোক, দাবি অধীরের

জবাব দিতে উঠলেন বাংলার অধীর । শুরুতেই আক্রমণ । বলেই দিলেন, "নাম নরেন্দ্র বলে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির তুলনা মেনে নিতে পারছি না ।" এরপর একটু ভুল কথা বলে ফেলেছিলেন । যা শুনে রে রে করে ওঠেন BJP সাংসদরা । এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে ক্ষমা চেয়ে নেন । বলেন, "আমার হিন্দি খুব বাজে । প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করতে চাইনি । কিছু ভুল বললে ওঁর কাছে ক্ষমা চাইছি । দরকার হলে সামনাসামনি আবার ক্ষমা চাইব ।" ব্যাস, ভুল এইটুকুই । তারপর সংসদ শুধুই অধীরময় । একের পর এক বাউন্সার উড়িয়ে দিলেন নিমেষে । সামনে থেকে যত চিৎকার হল, অধীর পালটা দিলেন ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : মোদির সঙ্গে বিবেকানন্দর তুলনা শুনে অধীর রেগে যা বললেন

BJP সাংসদদের প্যাঁচে ফেললেন প্রশ্ন করে । তুলে ধরলেন মোদির সাংহাই সফরে গিয়ে করা একটি বক্তব্য । অধীর বলেন, 2015 সালে সাংহাইয়ে ভারতীয় কমিউনিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী । সেখানে তিনি বলেন, 'আগে আপনারা নিজেদের ভারতীয় বলতে লজ্জিত বোধ করতেন । এখন গর্ববোধ করেন ।' অধীরের প্রশ্ন, তাহলে আপনারা কি এটা মেনে নিচ্ছেন ? সামনের সারি থেকে আওয়াজ উঠল "হ্যাঁ" । সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন । এবার কংগ্রেস সাংসদ বলে উঠলেন, "তাহলে বাজপেয়িজি, ভাগবতজি, সাভারকরজি ভারতীয় হিসেবে গর্ববোধ করতেন না ?" জি-জি কথা উঠতেই BJP সাংসদরা চেঁচিয়ে বলতে শুরু করেন, "টু-জি, থ্রি-জি ।" তখন মুচকি হাসছেন অমিত শাহ । মোদি কিন্তু নিশ্চুপ । গালে হাত দিয়ে শুনছেন বক্তব্য । অধীর বলে উঠলেন, "টু-জি, এ-জি করতে করতে তো আমরা এখানে বসে (বিরোধী আসনে) গেছি । এবার তো আর আপত্তি হওয়ার কথা নয় । ক্ষমতা থাকে তো আপনারা রাহুল গান্ধি, সোনিয়া গান্ধিকে জেলে ভরুন না । আমরাও চাই, দোষীরা শাস্তি পাক । যাদের চোর বানিয়ে আপনারা সরকারে এসেছেন, তারা কেন জেলে নেই ? সংসদে কীভাবে বসে আছেন ?" মোদিকে কটাক্ষের সুরে বলেন, "এবারের নির্বাচনে তো আর টু-জি, থ্রি-জি শুনিনি । কারণ, এই প্রোডাক্টটা পুরোনো হয়ে গেছে । আসলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বড় সেলসম্যান । উনি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পেরেছেন । জিতেছেন । আমরা পারিনি । হেরেছি ।"

modi
অধীর চৌধুরির বক্তব্য শুনছেন নরেন্দ্র মোদি

অধীর, বিহারে শিশুমৃত্যুর ঘটনাও তুলে ধরেন । কীভাবে শাসকদলের সাংসদরা এত বড় ঘটনা এড়িয়ে যাচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন । বলেন, "বিহারে এত শিশু মারা যাচ্ছে । আপনারা কিছু করছেন ? একটা কথাই ভাবছেন, মোদি বাবা পার করেগা । আপনারা সবাই এটাই ভাবেন । সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন না । এখানে জনতার পুজো হয় না, মোদিবাবার পুজো হয় । আমরা সংখ্যায় নগণ্য হতে পারি । কিন্তু, আমজনতার জন্য লড়াই বন্ধ করব না । আমজনতার পুজো করব ।"

সবশেষে কংগ্রেস আমলে কাজের ফিরিস্তি দিয়ে একহাত নেন মোদি সরকারকে । উঠে আসে পাকিস্তান প্রসঙ্গ । বলেন, "এই যে পাকিস্তানকে এত ভয় দেখান । কীসের ভরসায় ? মিজ়াইলের । মিজ়াইল কারা বানিয়েছে ? কংগ্রেস । আমাদের আমলে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়েছিল বলে এখন বিভিন্ন স্যাটেলাইটের কথা ভাবতে পারছেন মোদি । বিভিন্ন প্রকল্পও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন ।"

51 মিনিট 53 সেকেন্ডের মাথায় বক্তব্য শেষ করলেন অধীর । সংসদে হাততালির ঝড় উঠল । হাত মেলালেন স্বয়ং সোনিয়া গান্ধি । তবে, এদিন রাহুল গান্ধিই যা ছিলেন না । কংগ্রেস "যোদ্ধার" বক্তব্য হয়তো তাঁকেও অনেক প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিত ! সাধে তো আর মোদি বলেননি, "অধীরই আসল যোদ্ধা ।"

adhir
বক্তব্য শেষের মুখে, তখন হাততালির ঝড় উঠেছে সংসদে

দিল্লি, 25 জুন : হিন্দিতে চোস্ত নন । বক্তৃতার মাঝে বাংলার টান ভালোই বোঝা যাচ্ছিল । থমকে থমকে বলছিলেন ইংরাজিও । তবু, অধীরময় হয়ে উঠল সংসদ । ফের একবার । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন তাঁকে যোদ্ধা বলেছেন, তা বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছেন বহরমপুরের সাংসদ ।

আগেও বলার সুযোগ পেতেন । তবে, বেশিক্ষণ নয় । স্পটলাইট থাকত রাহুল গান্ধির দিকে । এবার যেন 'অধীর' আগ্রহে মানুষ অপেক্ষা করছে । অপেক্ষারত কংগ্রেস সাংসদরাও । প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করেছেন অধীর । এমন কী, BJP সাংসদরাও তাঁর বক্তব্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ।

গতকাল রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন হয় । মোদি বেছে নেন তাঁর দলের আর এক "মোদি"কে । অর্থাৎ, ওড়িশার সাংসদ প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গিকে । তাঁর বক্তব্যে শুধুই ছিল মোদির বন্দনা । আর গান্ধি পরিবারের প্রতি খোঁচা । স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে মোদির তুলনাও করে ফেললেন । মহাজোটকে কটাক্ষ করতেও ছাড়লেন না । টু-জি, থ্রি-জি, কয়লা কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে একহাত নিলেন গান্ধি পরিবারকে ।

adhir main
বক্তব্য পেশ করছেন অধীর চৌধুরি

এই সংক্রান্ত আরও খবর : অভিনন্দনের গোঁফকে 'জাতীয় গোঁফ' ঘোষণা করা হোক, দাবি অধীরের

জবাব দিতে উঠলেন বাংলার অধীর । শুরুতেই আক্রমণ । বলেই দিলেন, "নাম নরেন্দ্র বলে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির তুলনা মেনে নিতে পারছি না ।" এরপর একটু ভুল কথা বলে ফেলেছিলেন । যা শুনে রে রে করে ওঠেন BJP সাংসদরা । এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে ক্ষমা চেয়ে নেন । বলেন, "আমার হিন্দি খুব বাজে । প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করতে চাইনি । কিছু ভুল বললে ওঁর কাছে ক্ষমা চাইছি । দরকার হলে সামনাসামনি আবার ক্ষমা চাইব ।" ব্যাস, ভুল এইটুকুই । তারপর সংসদ শুধুই অধীরময় । একের পর এক বাউন্সার উড়িয়ে দিলেন নিমেষে । সামনে থেকে যত চিৎকার হল, অধীর পালটা দিলেন ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : মোদির সঙ্গে বিবেকানন্দর তুলনা শুনে অধীর রেগে যা বললেন

BJP সাংসদদের প্যাঁচে ফেললেন প্রশ্ন করে । তুলে ধরলেন মোদির সাংহাই সফরে গিয়ে করা একটি বক্তব্য । অধীর বলেন, 2015 সালে সাংহাইয়ে ভারতীয় কমিউনিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী । সেখানে তিনি বলেন, 'আগে আপনারা নিজেদের ভারতীয় বলতে লজ্জিত বোধ করতেন । এখন গর্ববোধ করেন ।' অধীরের প্রশ্ন, তাহলে আপনারা কি এটা মেনে নিচ্ছেন ? সামনের সারি থেকে আওয়াজ উঠল "হ্যাঁ" । সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন । এবার কংগ্রেস সাংসদ বলে উঠলেন, "তাহলে বাজপেয়িজি, ভাগবতজি, সাভারকরজি ভারতীয় হিসেবে গর্ববোধ করতেন না ?" জি-জি কথা উঠতেই BJP সাংসদরা চেঁচিয়ে বলতে শুরু করেন, "টু-জি, থ্রি-জি ।" তখন মুচকি হাসছেন অমিত শাহ । মোদি কিন্তু নিশ্চুপ । গালে হাত দিয়ে শুনছেন বক্তব্য । অধীর বলে উঠলেন, "টু-জি, এ-জি করতে করতে তো আমরা এখানে বসে (বিরোধী আসনে) গেছি । এবার তো আর আপত্তি হওয়ার কথা নয় । ক্ষমতা থাকে তো আপনারা রাহুল গান্ধি, সোনিয়া গান্ধিকে জেলে ভরুন না । আমরাও চাই, দোষীরা শাস্তি পাক । যাদের চোর বানিয়ে আপনারা সরকারে এসেছেন, তারা কেন জেলে নেই ? সংসদে কীভাবে বসে আছেন ?" মোদিকে কটাক্ষের সুরে বলেন, "এবারের নির্বাচনে তো আর টু-জি, থ্রি-জি শুনিনি । কারণ, এই প্রোডাক্টটা পুরোনো হয়ে গেছে । আসলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বড় সেলসম্যান । উনি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পেরেছেন । জিতেছেন । আমরা পারিনি । হেরেছি ।"

modi
অধীর চৌধুরির বক্তব্য শুনছেন নরেন্দ্র মোদি

অধীর, বিহারে শিশুমৃত্যুর ঘটনাও তুলে ধরেন । কীভাবে শাসকদলের সাংসদরা এত বড় ঘটনা এড়িয়ে যাচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন । বলেন, "বিহারে এত শিশু মারা যাচ্ছে । আপনারা কিছু করছেন ? একটা কথাই ভাবছেন, মোদি বাবা পার করেগা । আপনারা সবাই এটাই ভাবেন । সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন না । এখানে জনতার পুজো হয় না, মোদিবাবার পুজো হয় । আমরা সংখ্যায় নগণ্য হতে পারি । কিন্তু, আমজনতার জন্য লড়াই বন্ধ করব না । আমজনতার পুজো করব ।"

সবশেষে কংগ্রেস আমলে কাজের ফিরিস্তি দিয়ে একহাত নেন মোদি সরকারকে । উঠে আসে পাকিস্তান প্রসঙ্গ । বলেন, "এই যে পাকিস্তানকে এত ভয় দেখান । কীসের ভরসায় ? মিজ়াইলের । মিজ়াইল কারা বানিয়েছে ? কংগ্রেস । আমাদের আমলে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়েছিল বলে এখন বিভিন্ন স্যাটেলাইটের কথা ভাবতে পারছেন মোদি । বিভিন্ন প্রকল্পও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন ।"

51 মিনিট 53 সেকেন্ডের মাথায় বক্তব্য শেষ করলেন অধীর । সংসদে হাততালির ঝড় উঠল । হাত মেলালেন স্বয়ং সোনিয়া গান্ধি । তবে, এদিন রাহুল গান্ধিই যা ছিলেন না । কংগ্রেস "যোদ্ধার" বক্তব্য হয়তো তাঁকেও অনেক প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিত ! সাধে তো আর মোদি বলেননি, "অধীরই আসল যোদ্ধা ।"

adhir
বক্তব্য শেষের মুখে, তখন হাততালির ঝড় উঠেছে সংসদে
Banda (UP), Jun 24 (ANI): On one side scorching heat, severe drought conditions, and water paucity have added up to the hardships of locals in many states of the nation. On the other side villagers of Jakhni village in Uttar Pradesh's Banda adopted a traditional water conservation techniques to revive ponds. The village continues to have a good water supply after their hard work and efforts. Shanti, a farmer said, "8-10 years ago we decided to divert waste water to ponds, it rejuvenated water level and made farming easier."
Last Updated : Jun 25, 2019, 4:01 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.