সুরাট, 8 মার্চ : একদিন দেখেন, একটি মেয়ে ডাস্টবিন থেকে ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন সংগ্রহ করছে । তাকে জিজ্ঞাসা করাতে সে বলে, তার কাছে স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার টাকা নেই । সেই ঘটনা তাকে ভাবিয়েছিল । তবে তাতেই থেমে যাননি তিনি । দরিদ্র মহিলাদের মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিলি শুরু করেন । আর তা থেকেই সুরাতের মীনা মেহতা হয়ে উঠলেন ‘‘প্যাড দাদি" ৷
প্রতি মাসে একাধিক সরকারি স্কুলে পাঠরত মেয়েদের মধ্যে 5000 ন্যাপকিন বিতরণ করেন তিনি । তবে তা অলক্ষ্যেই থেকে যেত, যদি না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘‘মন কি বাত’’ অনুষ্ঠানে তাঁর নাম না নিতেন ।
আন্তর্জাতিক উইমেন্স ডে উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর #SheInspiresUs প্রচারের মাধ্যমে মীনা মেহতার নাম প্রকাশ করেন । প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেহতা প্রতি মাসে বিনামূল্যে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে পাঠরত ছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করেন ।
এখনও পর্যন্ত 8 লাখ ন্যাপকিন বিতরণ করেছেন মীনা। সাত বছর ধরে একাজ করে চলেছেন তিনি । তাঁর ‘‘ম্যাজিক কিটে’’ আছে একটি অন্তর্বাস, শ্যাম্পুর কয়েকটি প্যাকেট, সাবান ও স্যানিটারি ন্যাপকিন ৷ যার মূল্য প্রায় 60 টাকা ৷ কিন্তু, বিনামূল্যেই তা দিয়ে থাকেন তিনি ।
মীনা বলেন, ‘‘ আমি মেয়েদের শিক্ষা দিই কীভাবে স্বাস্থবিধি মেনে চলতে হয় এবং স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যাবহারে উৎসাহ দিই ৷’’ কিন্তু, তাঁর এই পথচলা কি খুব একটা মসৃণ ছিল ? বলেন, "শুরুতে আমার স্বামী অতুল দরিদ্র মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার জন্য আমাকে 25 হাজার টাকা দেন ৷ আমরা অনেক প্রতিবন্ধকতার সামনে পড়েছি ৷ তবে কখনই হাল ছাড়িনি ৷ এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের কাজের সম্মান দিয়েছেন ৷ আশা করি আরও অনেকে এতে অনুপ্রাণিত হয়ে এই সামাজিক কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ৷’’
একটি ট্রাস্টও তৈরি করেছেন তিনি ও তাঁর স্বামী । মানুনি নামে ট্রাস্টের অধীনেই এখন এই কাজ করে যাচ্ছেন ৷ তাঁদের কাজকে সম্মান জানিয়ে অভিনেতা অক্ষয় কুমার এই ট্রাস্টে 5 লাখ দিয়েছেন ৷