ETV Bharat / bharat

দেশের 325টি জেলায় কোরোনার সংক্রমণ ছড়ায়নি, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক

826টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা মিলিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা 12 হাজার 759-এ পৌঁছেছে ৷ এদিকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আক্রান্ত 11 জনই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৷ পুদুচেরিতে 28 দিনে কোনও সংক্রমণ হয়নি ।

lav Agarwal
লাভ আগরওয়াল
author img

By

Published : Apr 16, 2020, 9:23 PM IST

দিল্লি, 16 এপ্রিল: দেশে গত 24 ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে 28 জনের । আক্রান্ত হয়েছে মোট 420 জন ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে আজ একথা জানানো হল । 826টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা মিলিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা 12 হাজার 759-এ পৌঁছেছে ৷ এদিকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আক্রান্ত 11 জনই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৷ পুদুচেরিতে 28 দিনে কোনও সংক্রমণ হয়নি । 17টি জেলায় গত 14দিনে নতুন কোনও সংক্রমণ না হওয়ায় তা রেড জ়োন থেকে অরেঞ্জ জ়োনে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক ৷

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সেক্রেটারি লাভ আগরওয়াল বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যকর্মী এবং ফিল্ড অফিসারদের সঙ্গে একটি ভিডিয়ো কনফারেন্স করেছে ৷ সেখানে জেলা পর্যায়ে COVID19-এর ক্লাস্টার এবং সংক্রমণ রোধের জন্য মাইক্রো প্ল্যান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ৷" দেশের 325টি জেলায় কেউ কোরোনায় আক্রান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷

Health ministry meeting
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বৈঠক

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের প্রধান ডা: রমনগঙ্গাখেরকর জানান, ‘‘এখনও অবধি 2 লাখ 90 হাজার 401 জনের কোরোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ কেবল গতকালই 30 হাজার 43 জনের পরীক্ষা করা হয়েছে, এরমধ্যে 26 হাজার 331টি পরীক্ষা ICMR-র 176টি ল্যাবে এবং 78টি বেসরকারি ল্যাবে মোট 3712টি পরীক্ষা করা হয়েছে ৷’’ কেন্দ্রের ল্যাবে যদি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, তাহলে দিনে 42 হাজার পরীক্ষা করা সম্ভব ৷

কম সংখ্যক পরীক্ষার যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘জাপানে একজন কোরোনা রোগীকে চিহ্নিত করতে গড়ে 11.7 জনকে পরীক্ষা করতে হয় ৷ ইট্যালিতে এই সংখ্যাটা 6.7, ব্রিটেনে 3.4 । সেই তুলনায় ভারতে 24 জনের পরীক্ষা করতে হয় 1জন কোরোনা রোগীকে চিহ্নিত করতে ৷ ব়্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কোরোনা সংক্রমণ পূর্ব নির্ধারণের জন্য নয়, বরং সংক্রমণ রোধে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হয় ৷

সরকারের তরফে মোট 170টি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে, এরমধ্যে 123টি জেলায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস ৷ মুম্বই, কলকাতা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, জয়পুর ও আগ্রার মতো শহরগুলিকেও হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷

হটস্পট ও রেড জ়োনে কোরোনা নির্ণয় করতে বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে ৷ সেখানে প্রতিটি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা করা হবে৷ এই পরীক্ষা কেবল কোরোনা ভাইরাসের জন্য নয়, জ্বর, সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রান্ত ও যাঁরা শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত নানা কঠিন রোগে ভুগছেন, তাঁদেরও পরীক্ষা করা হবে ৷ স্বাস্থ্যকর্মীরা অসুস্থ হলে বা কোনও প্রকার লক্ষণ দেখা দিলে তাঁদেরও পরীক্ষা করা হবে ৷ রেড জ়োন বা হাই রিস্ক জ়োনে পাঁচদিন ও 14 দিনের মাথায় পরীক্ষা করলে তা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হবে বলে জানান তিনি ৷

চিন থেকে ভারতে মোট পাঁচ লাখ ব়্যাপিড কিট এসেছে আজ ৷ সেই কিট ব্যবহার করে পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে ৷ কোরোনা প্রতিরোধে অ্যান্টিবডির ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি ৷ এই বিষয়ে তিনি বলেন, অ্যান্টিবডি দু'ধরনের হয়, IGM অ্যান্টিবডি শরীরে বেশিদিন থাকে না, তাই এর মাধ্যমে কেবল সাম্প্রতিক হওয়া সংক্রমণের অস্তিত্বই বোঝা সম্ভব ৷ অন্যদিকে IGG অ্যান্টিবডি পুরোনো সংক্রমণ, যা দেহে বেশ কিছু আগে হয়েছে তা নির্ণয় করতে সক্ষম ৷ ভাইরাস মূলত সংক্রমণের প্রথম ধাপে নাকে ও মুখে থাকে ৷ তাই সোয়াব পরীক্ষা করা হয় ৷ সংক্রমণের 8 দিন থেকে জীবাণুর অস্তিত্ব সবথেকে বেশি থাকে নাকে ও গলায় ৷ এরপরই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে ৷ তাই কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ ও লকডাউনের সিদ্ধান্ত ৷

দিল্লি, 16 এপ্রিল: দেশে গত 24 ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে 28 জনের । আক্রান্ত হয়েছে মোট 420 জন ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে আজ একথা জানানো হল । 826টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা মিলিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা 12 হাজার 759-এ পৌঁছেছে ৷ এদিকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আক্রান্ত 11 জনই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৷ পুদুচেরিতে 28 দিনে কোনও সংক্রমণ হয়নি । 17টি জেলায় গত 14দিনে নতুন কোনও সংক্রমণ না হওয়ায় তা রেড জ়োন থেকে অরেঞ্জ জ়োনে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক ৷

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সেক্রেটারি লাভ আগরওয়াল বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যকর্মী এবং ফিল্ড অফিসারদের সঙ্গে একটি ভিডিয়ো কনফারেন্স করেছে ৷ সেখানে জেলা পর্যায়ে COVID19-এর ক্লাস্টার এবং সংক্রমণ রোধের জন্য মাইক্রো প্ল্যান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ৷" দেশের 325টি জেলায় কেউ কোরোনায় আক্রান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷

Health ministry meeting
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বৈঠক

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের প্রধান ডা: রমনগঙ্গাখেরকর জানান, ‘‘এখনও অবধি 2 লাখ 90 হাজার 401 জনের কোরোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ কেবল গতকালই 30 হাজার 43 জনের পরীক্ষা করা হয়েছে, এরমধ্যে 26 হাজার 331টি পরীক্ষা ICMR-র 176টি ল্যাবে এবং 78টি বেসরকারি ল্যাবে মোট 3712টি পরীক্ষা করা হয়েছে ৷’’ কেন্দ্রের ল্যাবে যদি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, তাহলে দিনে 42 হাজার পরীক্ষা করা সম্ভব ৷

কম সংখ্যক পরীক্ষার যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘জাপানে একজন কোরোনা রোগীকে চিহ্নিত করতে গড়ে 11.7 জনকে পরীক্ষা করতে হয় ৷ ইট্যালিতে এই সংখ্যাটা 6.7, ব্রিটেনে 3.4 । সেই তুলনায় ভারতে 24 জনের পরীক্ষা করতে হয় 1জন কোরোনা রোগীকে চিহ্নিত করতে ৷ ব়্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কোরোনা সংক্রমণ পূর্ব নির্ধারণের জন্য নয়, বরং সংক্রমণ রোধে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হয় ৷

সরকারের তরফে মোট 170টি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে, এরমধ্যে 123টি জেলায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস ৷ মুম্বই, কলকাতা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, জয়পুর ও আগ্রার মতো শহরগুলিকেও হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷

হটস্পট ও রেড জ়োনে কোরোনা নির্ণয় করতে বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে ৷ সেখানে প্রতিটি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা করা হবে৷ এই পরীক্ষা কেবল কোরোনা ভাইরাসের জন্য নয়, জ্বর, সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রান্ত ও যাঁরা শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত নানা কঠিন রোগে ভুগছেন, তাঁদেরও পরীক্ষা করা হবে ৷ স্বাস্থ্যকর্মীরা অসুস্থ হলে বা কোনও প্রকার লক্ষণ দেখা দিলে তাঁদেরও পরীক্ষা করা হবে ৷ রেড জ়োন বা হাই রিস্ক জ়োনে পাঁচদিন ও 14 দিনের মাথায় পরীক্ষা করলে তা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হবে বলে জানান তিনি ৷

চিন থেকে ভারতে মোট পাঁচ লাখ ব়্যাপিড কিট এসেছে আজ ৷ সেই কিট ব্যবহার করে পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে ৷ কোরোনা প্রতিরোধে অ্যান্টিবডির ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি ৷ এই বিষয়ে তিনি বলেন, অ্যান্টিবডি দু'ধরনের হয়, IGM অ্যান্টিবডি শরীরে বেশিদিন থাকে না, তাই এর মাধ্যমে কেবল সাম্প্রতিক হওয়া সংক্রমণের অস্তিত্বই বোঝা সম্ভব ৷ অন্যদিকে IGG অ্যান্টিবডি পুরোনো সংক্রমণ, যা দেহে বেশ কিছু আগে হয়েছে তা নির্ণয় করতে সক্ষম ৷ ভাইরাস মূলত সংক্রমণের প্রথম ধাপে নাকে ও মুখে থাকে ৷ তাই সোয়াব পরীক্ষা করা হয় ৷ সংক্রমণের 8 দিন থেকে জীবাণুর অস্তিত্ব সবথেকে বেশি থাকে নাকে ও গলায় ৷ এরপরই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে ৷ তাই কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ ও লকডাউনের সিদ্ধান্ত ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.