দিল্লি, ৫ মার্চ : "ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের খতম করব। জঙ্গিরা যেখানেই লুকিয়ে থাক না কেন তারা রেহাই পাবে না।" বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের পর জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ফের একপ্রস্থ হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযান জারি রাখারও বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। আহমেদাবাদে একটি জনসভায় তিনি বলেন, "আমার স্বভাবই হল উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দেওয়া। এবার ঘরে ঢুকে মারব। পৃথিবীর যেখানেই লুকিয়ে থাক সেখান থেকে টেনে বের করে খতম করব।"
পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার ১৩ দিনের মাথায় ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে পাকিস্তানের মূল ভূ-খণ্ডে ঢুকে জইশ-ই-মহম্মদের ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। সে প্রসঙ্গে মোদি বলেন, "আমাদের নীতিই হল শত্রুপক্ষকে তাদের এলাকাতেই খতম করা। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করাটা পছন্দ নয়।"
গতকালের সভা থেকে বিরোধীদেরও একহাত নেন মোদি। এয়ার স্ট্রাইকের পর বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল, বায়ুসেনার অভিযানের রাজনীতিকরণ করছে BJP। খোদ BJP-র বর্ষীয়ান নেতা ইয়েদুরাপ্পা সেই অভিযোগে আরও ঘি ঢালেন। বলেছিলেন, "এয়ার স্ট্রাইকের দৌলতে কর্নাটকে BJP কমপক্ষে ২২টি আসন পাবে।" সে প্রসঙ্গে মোদি বলেন, "প্রথম বার ২০১৬ সালে আমরা যখন সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছিলাম তখন সামনে কি কোনও নির্বাচন ছিল? গত ৪০ বছর ধরে আমরা সন্ত্রাসবাদের শিকার। আমি ক্ষমতার পরোয়া করি না। আমি শুধুমাত্র দেশের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।"
এছাড়াও, এয়ার স্ট্রাইকে কতজন জঙ্গি খতম করা হয়েছে ও তার বিস্তারিত তথ্য নিয়েও শাসক-বিরোধী তরজা চলছে। বিরোধীদের দাবি, এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে সরকার সঠিক তথ্য জানাক। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "কতজন জঙ্গি খতম হয়েছে? আসলে বোমা কোথায় পড়েছে? সেটি কি নির্দিষ্ট টার্গেটেই পড়েছিল? আমাদের তা জানার অধিকার রয়েছে।" মোদির প্রশ্ন, "এভাবে আপনারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করছেন? আপনারা আমার নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। আমাকে বিশ্বাস না করতে পারেন। কিন্তু, নিদেনপক্ষে আমাদের সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করুন। তাঁদের বীরত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না।"