ETV Bharat / bharat

ভারতের ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ পে - হোয়াটসঅ্যাপ পে

ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বর্তমানে জরুরি পরিষেবায় পরিণত হয়েছে । ভারতে ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চালু হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ পে ।

Whatsapp Pay
হোয়াটসঅ্যাপ পে
author img

By

Published : Jun 16, 2020, 3:59 AM IST

দিল্লি, 15 জুন : এবার ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় যুক্ত হতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ । অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে ইউজ়ারদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ আনছে হোয়াটসঅ্যাপ পে । দেশের 400 মিলিয়নের বেশি ইউজ়ার রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের । ইউজ়ারদের কাছে পৌঁছানোর আগে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক হোয়াটসঅ্যাপ পে ব্যবহার করা শুরু করেছে । এর ফলে যারা ডিজিটাল লেনদেন করেন না, তাঁঁদের মতো গ্রাহক প্রথম ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় যুক্ত হবেন বলে মনে করছে হোয়াটসঅ্যাপ । বিশেষত এখন সব জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । সে ক্ষেত্রে ডিজিটাল লেনদেনে হোয়াটসঅ্যাপ পে বড় ভূমিকা নিতে পারে ।

ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ এখন নিরন্তর সুবিধাযুক্ত একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে । 2018 সালে দেশে প্রথম কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু করে । কোটাক মাহিন্দ্রার 20 লাখ গ্রাহক বর্তমানে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সুবিধা নিচ্ছেন । 2020 আর্থিক বর্ষে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাঙ্কিয়ের ক্ষেত্রে 98 শতাংশ গ্রাহক পেয়েছে কোটাক মাহিন্দ্রা । গত আর্থিক বছরের তুলনায় যা অনেক বেশি । সংবাদ সংস্থা IANS-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের সভাপতি এবং ডিজিটাল অফিসার দীপক শর্মা জানান, “হোয়াটসঅ্যাপে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু লাভজনক প্রমাণিত হয়েছে । বহু গ্রাহক ছিলেন যাঁরা ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং করতেন না । হোয়াটসঅ্যাপে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু হওয়ায় তাঁঁরা এই পরিষেবা নিচ্ছেন ।”

গ্রাহকদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস API ব্যবহার করছে HDFC ব্যাঙ্ক । এর মাধ্যমে নতুন গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ, ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য এবং ব্যাঙ্কের সমস্ত পরিষেবার সুবিধা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে । HDFC ব্যাঙ্কের মুখ্য ডিজিটাল আধিকারিক অঞ্জনি রাঠোর জানান, “ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, অ্যাপ্লিকেশনের লিঙ্ক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে 8,000 এর বেশি FAQs ব্যবহার করার সুবিধা দেয় হোয়াটসঅ্যাপ ।” হোয়াটসঅ্যাপের ভারতের প্রধান অভিজিৎ বোস জানিয়েছেন, “অনেক বড় বড় সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস API-এর মাধ্যমে তাদের গ্রাহকদের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছে । যখন কোনও গ্রাহক হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত কিছু জানতে চাইছেন, তখন ব্যবসায়ীরা API ব্যবহার করে তাদের নোটিফিকেশন পাঠাতে পারছে । এতে গ্রাহক ও ব্যাঙ্কের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হচ্ছে এবং লাভবান হচ্ছে সংস্থাগুলি ।”

কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাঙ্কিং চ্যানেলকে প্রাথমিকভাবে দুই ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে । এক, গ্রাহকদের EMI-এর সময় এবং লেনদেনের বিষয়ে নোটিফিকেশন পাঠাচ্ছে । দুই, ব্যাঙ্কের বিভিন্ন পরিষেবা এবং গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে । এর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ পে-তে কেউ অ্যাকাউন্ট খুললে তাঁকে একটি ওয়েলকাম কিট দিচ্ছে কোটাক মাহিন্দ্রা । হোয়াটসঅ্যাপে কোটাকের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিতে গেলে, তাদের ওয়েবসাইট এবং মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপে তার নোটিফিকেশন পাবেন গ্রাহকরা । এরমধ্যে মোবাইল নাম্বার, ই মেল ID, PAN নম্বর আপডেট করা । FATCA ডিক্লেয়ারেশন, NACH বাতিল, পাস বই চালু রাখা বা বন্ধ করা । লোনের ও ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করা এবং বিনিয়োগের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলা । সব বিষয়ে নোটিফিকেশন যাবে গ্রাহকদের কাছে ।

অভিজিৎ বোস জানান, “লকডাউনের সময় ব্যবসার ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জরুরি পরিষেবায় পরিণত হয়েছে । যারা আগে মুদি দোকান থেকে ব্যাঙ্ক, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সশরীরে উপস্থিত হতেন । তাঁঁরা এখন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পরিষেবা নিতে চাইছেন । অন্যদিকে গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিচ্ছে ছোটো-বড় বিভিন্ন সংস্থা ।”

দিল্লি, 15 জুন : এবার ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় যুক্ত হতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ । অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে ইউজ়ারদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ আনছে হোয়াটসঅ্যাপ পে । দেশের 400 মিলিয়নের বেশি ইউজ়ার রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের । ইউজ়ারদের কাছে পৌঁছানোর আগে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক হোয়াটসঅ্যাপ পে ব্যবহার করা শুরু করেছে । এর ফলে যারা ডিজিটাল লেনদেন করেন না, তাঁঁদের মতো গ্রাহক প্রথম ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় যুক্ত হবেন বলে মনে করছে হোয়াটসঅ্যাপ । বিশেষত এখন সব জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । সে ক্ষেত্রে ডিজিটাল লেনদেনে হোয়াটসঅ্যাপ পে বড় ভূমিকা নিতে পারে ।

ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ এখন নিরন্তর সুবিধাযুক্ত একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে । 2018 সালে দেশে প্রথম কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু করে । কোটাক মাহিন্দ্রার 20 লাখ গ্রাহক বর্তমানে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সুবিধা নিচ্ছেন । 2020 আর্থিক বর্ষে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাঙ্কিয়ের ক্ষেত্রে 98 শতাংশ গ্রাহক পেয়েছে কোটাক মাহিন্দ্রা । গত আর্থিক বছরের তুলনায় যা অনেক বেশি । সংবাদ সংস্থা IANS-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের সভাপতি এবং ডিজিটাল অফিসার দীপক শর্মা জানান, “হোয়াটসঅ্যাপে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু লাভজনক প্রমাণিত হয়েছে । বহু গ্রাহক ছিলেন যাঁরা ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং করতেন না । হোয়াটসঅ্যাপে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু হওয়ায় তাঁঁরা এই পরিষেবা নিচ্ছেন ।”

গ্রাহকদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস API ব্যবহার করছে HDFC ব্যাঙ্ক । এর মাধ্যমে নতুন গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ, ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য এবং ব্যাঙ্কের সমস্ত পরিষেবার সুবিধা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে । HDFC ব্যাঙ্কের মুখ্য ডিজিটাল আধিকারিক অঞ্জনি রাঠোর জানান, “ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, অ্যাপ্লিকেশনের লিঙ্ক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে 8,000 এর বেশি FAQs ব্যবহার করার সুবিধা দেয় হোয়াটসঅ্যাপ ।” হোয়াটসঅ্যাপের ভারতের প্রধান অভিজিৎ বোস জানিয়েছেন, “অনেক বড় বড় সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস API-এর মাধ্যমে তাদের গ্রাহকদের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছে । যখন কোনও গ্রাহক হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত কিছু জানতে চাইছেন, তখন ব্যবসায়ীরা API ব্যবহার করে তাদের নোটিফিকেশন পাঠাতে পারছে । এতে গ্রাহক ও ব্যাঙ্কের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হচ্ছে এবং লাভবান হচ্ছে সংস্থাগুলি ।”

কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাঙ্কিং চ্যানেলকে প্রাথমিকভাবে দুই ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে । এক, গ্রাহকদের EMI-এর সময় এবং লেনদেনের বিষয়ে নোটিফিকেশন পাঠাচ্ছে । দুই, ব্যাঙ্কের বিভিন্ন পরিষেবা এবং গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে । এর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ পে-তে কেউ অ্যাকাউন্ট খুললে তাঁকে একটি ওয়েলকাম কিট দিচ্ছে কোটাক মাহিন্দ্রা । হোয়াটসঅ্যাপে কোটাকের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিতে গেলে, তাদের ওয়েবসাইট এবং মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপে তার নোটিফিকেশন পাবেন গ্রাহকরা । এরমধ্যে মোবাইল নাম্বার, ই মেল ID, PAN নম্বর আপডেট করা । FATCA ডিক্লেয়ারেশন, NACH বাতিল, পাস বই চালু রাখা বা বন্ধ করা । লোনের ও ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করা এবং বিনিয়োগের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলা । সব বিষয়ে নোটিফিকেশন যাবে গ্রাহকদের কাছে ।

অভিজিৎ বোস জানান, “লকডাউনের সময় ব্যবসার ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জরুরি পরিষেবায় পরিণত হয়েছে । যারা আগে মুদি দোকান থেকে ব্যাঙ্ক, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সশরীরে উপস্থিত হতেন । তাঁঁরা এখন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পরিষেবা নিতে চাইছেন । অন্যদিকে গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিচ্ছে ছোটো-বড় বিভিন্ন সংস্থা ।”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.