ETV Bharat / bharat

"বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা ও পৌষমেলার দায়িত্ব নিক কেন্দ্র", সংসদে সরব BJP

বিশ্বভারতীর পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে তরজা অব্যাহত । আজ সংসদে এই বিষয়ে সরব হলেন BJP-র রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাসগুপ্ত ।

visva bharati
বিশ্বভারতী, ফাইল ছবি
author img

By

Published : Sep 16, 2020, 4:08 PM IST

Updated : Sep 16, 2020, 4:19 PM IST

দিল্লি, 16 সেপ্টেম্বর : এক মাস আগে বিশ্বভারতীর পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ৷ ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা রাজ্য । সেই থেকে পক্ষ-বিপক্ষে তরজা চলছে রাজনৈতিক মহলে । বাদল অধিবেশনে জ়িরো আওয়ারে ফের সেই বিশ্বভারতী প্রসঙ্গ তোলা হল । BJP-র রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাসগুপ্ত এইদিন অধিবেশনে বিশ্বভারতীর প্রসঙ্গ তুললেন । বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ভবন ও এখানকার কর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার দাবি করেন তিনি ।

বিশ্বভারতীর পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে তরজা একদিনের নয় । সূত্রের খবর, গত বছর পৌষমেলার পর থেকেই মাঠ ঘেরার পরিকল্পনা ছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । উলটো দিকে, পৌষমেলার মাঠ ঘেরা যাবে না, এই দাবিতে সরব হয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা । স্থানীয়রা অনেকেই পাঁচিলের বিপক্ষে ছিলেন ।

কী বললেন স্বপন দাসগুপ্ত ৷

চলতি বছরে 15 অগাস্ট পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হয় । 17 অগাস্ট ধুন্ধুমার হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে । অসংখ্য মানুষ মিছিল করে এসে ভেঙে দেন পাঁচিল তৈরির নির্মাণ সামগ্রী । শ্রমিকদের সরিয়ে দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ । বিশ্বভারতীর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয় সেদিন । মিছিল দেখা যায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে ৷ পাঁচিল ভাঙার ঘটনার পরেই পক্ষ-বিপক্ষ মত তৈরি হয় । একপক্ষ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান । যাঁরা পাঁচিলের বিপক্ষে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন । রাজ্য BJP-র তরফে শাসকদলের গাফিলতির দিকেই আঙুল তোলা হয় । রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই বলে সমালোচনা করেন রাজ্যপাল ।

গত একমাসে পরিস্থিতি কিছুটা থিতু হলেও আজ আবার সংসদে সেই প্রসঙ্গই তুলল BJP । রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাসগুপ্ত গোয় ঘটনায় রাজ্য সরকারের গাফিলতি রয়েছে বলে জানালেন ।

স্বপন দাসগুপ্ত বলেন, "পৌষমেলায় প্রায় দুই তিন লাখ মানুষ আসেন । সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের কথা ভেবেছে বিশ্বভারতী । তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়ে শিথিল মনোভাব দেখাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন ।" তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে বলে সংসদে জানান তিনি ।

কী কারণে পাঁচিলের প্রয়োজন, স্পষ্ট করল বিশ্বভারতী

সংসদে তিনি দু'টি প্রস্তাব পেশ করেন । স্বপনবাবু বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন এবং কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার প্রয়োজন । আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হোক সেখানে । দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রকে পৌষমেলার দায়িত্ব নেওয়ার আর্জি জানান তিনি । এই প্রস্তাব পেশ করতেই সরব হন বিরোধীরা । তাঁরা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন ।

পৌষমেলার মাঠ ঘেরা নিয়ে বিশ্বভারতীতে ধুন্ধুমার, অস্থায়ী ক্যাম্পে ভাঙচুর

এক মাসের আগের ঘটনার পর বিশ্বভারতীর প্রসঙ্গ নিয়ে যেভাবে সরব হয়েছিল রাজ্য BJP । তাতে এই বিষয়টি নিয়ে যে পরবর্তীতেও আলোচনা বহাল রাখা হবে, তা আগেই ধারণা করেছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ । আজ সংসদে বাদল অধিবেশনে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তায় কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাওয়ায় সেই ধারণাই স্পষ্ট হল । পরোক্ষভাবে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হল ।

দিল্লি, 16 সেপ্টেম্বর : এক মাস আগে বিশ্বভারতীর পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ৷ ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা রাজ্য । সেই থেকে পক্ষ-বিপক্ষে তরজা চলছে রাজনৈতিক মহলে । বাদল অধিবেশনে জ়িরো আওয়ারে ফের সেই বিশ্বভারতী প্রসঙ্গ তোলা হল । BJP-র রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাসগুপ্ত এইদিন অধিবেশনে বিশ্বভারতীর প্রসঙ্গ তুললেন । বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ভবন ও এখানকার কর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার দাবি করেন তিনি ।

বিশ্বভারতীর পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে তরজা একদিনের নয় । সূত্রের খবর, গত বছর পৌষমেলার পর থেকেই মাঠ ঘেরার পরিকল্পনা ছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । উলটো দিকে, পৌষমেলার মাঠ ঘেরা যাবে না, এই দাবিতে সরব হয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা । স্থানীয়রা অনেকেই পাঁচিলের বিপক্ষে ছিলেন ।

কী বললেন স্বপন দাসগুপ্ত ৷

চলতি বছরে 15 অগাস্ট পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হয় । 17 অগাস্ট ধুন্ধুমার হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে । অসংখ্য মানুষ মিছিল করে এসে ভেঙে দেন পাঁচিল তৈরির নির্মাণ সামগ্রী । শ্রমিকদের সরিয়ে দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ । বিশ্বভারতীর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয় সেদিন । মিছিল দেখা যায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে ৷ পাঁচিল ভাঙার ঘটনার পরেই পক্ষ-বিপক্ষ মত তৈরি হয় । একপক্ষ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান । যাঁরা পাঁচিলের বিপক্ষে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন । রাজ্য BJP-র তরফে শাসকদলের গাফিলতির দিকেই আঙুল তোলা হয় । রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই বলে সমালোচনা করেন রাজ্যপাল ।

গত একমাসে পরিস্থিতি কিছুটা থিতু হলেও আজ আবার সংসদে সেই প্রসঙ্গই তুলল BJP । রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাসগুপ্ত গোয় ঘটনায় রাজ্য সরকারের গাফিলতি রয়েছে বলে জানালেন ।

স্বপন দাসগুপ্ত বলেন, "পৌষমেলায় প্রায় দুই তিন লাখ মানুষ আসেন । সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের কথা ভেবেছে বিশ্বভারতী । তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়ে শিথিল মনোভাব দেখাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন ।" তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে বলে সংসদে জানান তিনি ।

কী কারণে পাঁচিলের প্রয়োজন, স্পষ্ট করল বিশ্বভারতী

সংসদে তিনি দু'টি প্রস্তাব পেশ করেন । স্বপনবাবু বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন এবং কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার প্রয়োজন । আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হোক সেখানে । দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রকে পৌষমেলার দায়িত্ব নেওয়ার আর্জি জানান তিনি । এই প্রস্তাব পেশ করতেই সরব হন বিরোধীরা । তাঁরা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন ।

পৌষমেলার মাঠ ঘেরা নিয়ে বিশ্বভারতীতে ধুন্ধুমার, অস্থায়ী ক্যাম্পে ভাঙচুর

এক মাসের আগের ঘটনার পর বিশ্বভারতীর প্রসঙ্গ নিয়ে যেভাবে সরব হয়েছিল রাজ্য BJP । তাতে এই বিষয়টি নিয়ে যে পরবর্তীতেও আলোচনা বহাল রাখা হবে, তা আগেই ধারণা করেছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ । আজ সংসদে বাদল অধিবেশনে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তায় কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাওয়ায় সেই ধারণাই স্পষ্ট হল । পরোক্ষভাবে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হল ।

Last Updated : Sep 16, 2020, 4:19 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.