পালাক্কাড়, 9 অগাস্ট : বছর দেড়েক আগের কথা ৷ কেরালার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে দুবাইয়ে গিয়েছিল রিয়াজ় ৷ উদ্দেশ্য ছিল, দু-পয়সা রোজগার করে পরিবারের অবস্থা স্বচ্ছল রাখা ৷ সেই উদ্দেশ্যে সফল হচ্ছিল সে ৷ বাড়ির লোক ঠিক করেছিল, এবারে ছেলের বিয়ে দেবে ৷ পাত্রীও ঠিক হয়ে গিয়েছিল ৷ শুধু রিয়াজ়ের ফেরার অপেক্ষা ছিল ৷ মা-বাবার কথা মতো রিয়াজ় দুবাই থেকে ফিরল ৷ তবে শবদেহ হয়ে ৷
বছর আঠাশের মহম্মদ রিয়াজ় ৷ কোঝিকোড়ে বিমান দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছে তাদের একজন ৷ মোল্লুর গ্রামের বাসিন্দা রিয়াজ়ের মৃত্যুতে শোকাহত গোটা গ্রাম ৷ প্রতিবেশী একজনের কথায়, ''রিয়াজ়ের বিয়ের সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল ৷ শুধু ওর ফেরার অপেক্ষা ছিল ৷ কোঝিকোড়ের বিমান দুর্ঘটনা সব শেষ করে দিল ৷''
রিয়াজের এক বন্ধুর কথায়, ''রিয়াজ় এভাবে চলে যাবে ভাবতেই পারিনি ৷ ওর মতো প্রাণোচ্ছ্বল ছেলে গ্রামে কমই আছে ৷ গ্রামের সবাই ওকে খুব ভালোবাসত ৷ সব ধরনের খেলাধুলো করত ৷ সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করত ৷ গোটা গ্রামের নয়নের মণি ছিল আমাদের রিয়াজ় ৷''
দেড় বছর আগে ভাই নিজামুদ্দিনের সঙ্গে দুবাইয়ে যান রিয়াজ় ৷ নিজামুদ্দিনের সঙ্গেই ফিরছিল সে ৷ কিন্তু, দুর্ঘটনায় মারা যায় ৷ গুরুতর জখম হয় নিজামুদ্দিনও ৷ সে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ৷ গতকাল দুপুরে গ্রামে কবর দেওয়া হয় রিয়াজ়কে ৷ তবে সদাহাস্যময় ছেলেটি যে আর নেই তা এখনও যেন বিশ্বাস করতে পারছে না এলাকার লোকজন ৷