দিল্লি, 25 জানুয়ারি : জম্মু ও কাশ্মীরে বিদেশি প্রতিনিধি দলের সফর গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল, এমনটাই মত অ্যামেরিকার এক উচ্চপর্যায়ের কূটনীতিবিদের ৷ একই সঙ্গে তিনি সরকারের কাছে গৃহবন্দী করে রাখা রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের নিঃশর্তে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন ৷ এই নেতা-নেত্রীদের জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার সময় থেকে গৃহবন্দী করা হয়েছিল ৷
ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি সংবাদ মাধ্যমে দক্ষিণ ও মধ্যে এশিয়ায় অ্যামেরিকার দ্য প্রিন্সিপ্যাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস এই নিয়ে বক্তব্য রাখেন ৷ তাঁর কথায়, ''আমি কাশ্মীরের পরিস্থিতির আংশিক পরিবর্তন ও ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হওয়ার জন্য খুশি ৷ আমাদের রাষ্ট্রদূত ও বিদেশি কূটনীতিবিদের যে দল কাশ্মীর সফরে গিয়েছিল সেটা সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল ৷ আমরা এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবেই দেখছি ৷’’
15টি দেশের কূটনীতিবিদরা এই মাসের প্রথম দিকে জম্মু ও কাশ্মীর সফরে এসেছিলেন ৷ রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওযার পর বিদেশি কূটনীতিবিদরা জম্মু ও কাশ্মীর সফরে এসেছিলেন ৷ যদিও ইউরোপের কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা আসেননি ৷
সেই প্রতিনিধি দলকে ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিসহ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি ৷ জম্মু ও কাশ্মীরের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয় ৷ সুপ্রিম কোর্টের কড়া ভর্ৎসনার পর কিছু এলাকায় আংশিক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হয় ৷ যদিও সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখা ও আতঙ্কবাদী আক্রমণ প্রতিরোধ করতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল ৷