লখনউ, 3 অক্টোবর : হাথরসের ঘটনায় বারবার কাঠগড়ায় উঠেছে পুলিশের ভূমিকা । নির্যাতিতার দেহ জোর করে পুড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমকে হাথরসে ঢুকতে বাধা । পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক । এইবার সেই নিয়েই মুখ খুললেন BJP নেত্রী উমা ভারতী । বলেন, পুলিশের ভূমিকা উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং BJP-র ভাবমূর্তি নষ্ট করছে । মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাথরস থেকে পুলিশকর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার আর্জিও জানান তিনি ।
1 অক্টোবর হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রওনা হয়েছিলেন রাহুল গান্ধি । ছিলেন প্রিয়াঙ্কাও । কিন্তু সেই সময়েই হাথরসে জারি হয় 144 ধারা । ঘিরে ফেলা হয় হাথরস সীমান্ত । কড়া নিরাপত্তা জারি হয় নির্যাতিতার বাড়ির চারদিকে । গতকাল নির্যাতিতার ভাই খেতের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে আসে । সংবাদমাধ্যমকে জানায়, তাদের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে । কারও সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না । সংবাদমাধ্যমকেও আটকানো হয় । আটকানো হয় বিরোধী দলগুলিকে । তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে মাটিতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে যোগীর পুলিশের বিরুদ্ধে ।
এই সময়ের পর পরই মুখ খোলেন উমা ভারতী । একের পর এক টুইট করেন । মোট ন'টি টুইটে একাধিক আর্জি জানান । প্রথমেই যোগী আদিত্যনাথকে সংবাদমাধ্যম এবং বিরোধী দলকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার অনুরোধ জানান ।
উমা ভারতী লেখেন, "উনি দলিত পরিবারের সন্তান ছিলেন । পুলিশ তাড়াহুড়োয় তাঁর মৃতদেহ সৎকার করেছে । এখন তাঁর গ্রাম ও পরিবারকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ । "
আজ হাথরস যাচ্ছে রাহুল গান্ধি নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল
এরপর যোগী আদিত্যনাথের উদ্দেশে তাঁর সংযোজন, "প্রথমে ভেবেছিলাম কিছু বলব না । কারণ ভেবেছিলাম আপনি কোনও পদক্ষেপ করবেন । কিন্তু গ্রাম ও নির্যাতিতার পরিবারকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ । আমি জানি না কোন নিয়মের আওতায় নির্যাতিতার পরিবারকে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না । শুধুমাত্র বিশেষ তদন্তকারী দল তদন্ত করছে বলে ? এতে তাদের তদন্তের উপরেই সন্দেহ তৈরি হবে ।"
কোরোনায় আক্রান্ত উমা ভারতী । তাঁর চিকিৎসা চলছে । সেই কথাও টুইটে উল্লেখ করে উমা ভারতী লেখেন, যদি কোরোনায় আক্রান্ত না হতাম, তাহলে আমি পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম । আমি সুস্থ হওয়ার পর অবশ্যই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম । আমি আপনার দিদির মতো । আমার অনুরোধ ফেরাবেন না ।