ETV Bharat / bharat

সম্মান জানাতে গায়ে থুতু ! - Unknown Facts

উত্তর ট্যানজ়ানিয়া এবং কেনিয়ার মাসাই উপজাতির মানুষ । তাঁদের কাছে একে অপরের গায়ে থুতু ছিটানো অসম্মানজনক কিছু নয় । শুভ অনুষ্ঠানে বা কাউকে শুভেচ্ছা জানাতে এই রীতিই পালন করেন তাঁরা ।

jana ajana
jana ajana
author img

By

Published : Aug 30, 2020, 7:00 AM IST

Updated : Sep 2, 2020, 2:17 PM IST

হাত মেলানোর আগে হাতে থুতু লাগিয়ে নেয় ! সম্মান জানাতেও গায়ে থুতু ছেটায় ! এই আবার কোন দেশী আচার ? বরং পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে কারও গায়ে থুতু দেওয়াকে যথেষ্ট অসম্মানজনক বলে মনে করা হয় । আর বাড়িতে ছোটো থেকে শেখানো হয়, রাস্তায় বা যেখানে সেখানে একদম থুতু ফেলবে না । প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে তো সেই সতর্কতা আরও কড়া হয়েছে । কারণ এই মানুষের লালা রস থেকেই সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থেকে যায় । কিন্তু পৃথিবীর কোন প্রদেশ এই অদ্ভুত নিয়মে অভ্যস্ত? যাঁরা শুভেচ্ছা জানাতে গায়ে থুতু দেন ?

উত্তর ট্যানজ়ানিয়া এবং কেনিয়ার মাসাই উপজাতির মানুষ । যদিও বর্তমানে কাজিয়াডো এবং নারোক জেলায় তাঁদের উপস্থিতি । পূর্ব আফ্রিকার আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ মাসাই উপজাতি । আফ্রিকার এই উপজাতি তাঁদের পুরনো রীতি ও সংস্কৃতির জন্যই জনপ্রিয় । পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ মাসাই ।

এই মাসাই উপজাতির কাছে একে অপরের গায়ে থুতু ছেটানো অসম্মানজনক কিছু নয় । বরং শুভ অনুষ্ঠানে বা কাউকে শুভেচ্ছা জানাতে এই রীতিই পালন করেন তাঁরা । সত্যি বলতে দশকের পর দশক ধরে তাঁরা এই রীতি পালন করে আসছেন ।

কোনও ব্যক্তির সঙ্গে হাত মেলানোর আগে তাঁরা হাতের তালুতে থুতু লাগিয়ে নেন । আবার কোনও বন্ধুকে বিদায় জানানোর সময়েও তাঁর গায়ে থুতু দেওয়া হয় । আবার কাউকে শুভেচ্ছা জানাতেও পালন হয় এই রীতিই । আশীর্বাদের প্রতীকও বটে । নবজাতককে আশীর্বাদ করে এবং তার দীর্ঘায়ু কামনায় অভিভাবক এবং পরিবারের সদস্যরা নবজাতকের উপর থুতু দিয়ে থাকেন । এমনকী মাসাই বিবাহতেও বাবা তাঁর মেয়েকে আশীর্বাদ করার সময় কপালে ও বুকে থুতু দেয় ।

কিন্তু কেন এই অদ্ভুত নিয়মে বিশ্বাসী এই মাসাই উপজাতির মানুষ ? পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যখন গায়ে থুতু দেওয়াকে অত্যন্ত অসম্মানজনক মনে করে, সেক্ষেত্রে কেন মাসাই এই রীতি পালন করে ? তাঁদের পূর্ব প্রজন্মরা এর উত্তর হয়তো জানতেন, কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশের কাছেই সেই উত্তর নেই । একটা রীতি হয়েই থেকে গেছে তাঁদের এই অদ্ভুত নিয়ম !

তবে শুধুমাত্র গায়ে থুতু দেওয়ার মতো রীতির জন্যই আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত নয় মাসাই । তাঁদের পরিচিতির কারণে তালিকায় রয়েছে সাজ-পোশাক ও সঙ্গীত । বিশেষত তাঁদের পোশাক শৈলী ও সংস্কৃতি । লাল কাপড়ে নিজেদের মুড়ে রাখেন তাঁরা । শুকা নামে খ্যাত এই পোশাক । হাতে ও গলায় পরেন পুঁথির তৈরি অনেক গহনা । খাবার এবং অর্থের জন্য মূলত গবাদি পশুর উপরেই নির্ভরশীল মাসাই উপজাতি ।

হাত মেলানোর আগে হাতে থুতু লাগিয়ে নেয় ! সম্মান জানাতেও গায়ে থুতু ছেটায় ! এই আবার কোন দেশী আচার ? বরং পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে কারও গায়ে থুতু দেওয়াকে যথেষ্ট অসম্মানজনক বলে মনে করা হয় । আর বাড়িতে ছোটো থেকে শেখানো হয়, রাস্তায় বা যেখানে সেখানে একদম থুতু ফেলবে না । প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে তো সেই সতর্কতা আরও কড়া হয়েছে । কারণ এই মানুষের লালা রস থেকেই সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থেকে যায় । কিন্তু পৃথিবীর কোন প্রদেশ এই অদ্ভুত নিয়মে অভ্যস্ত? যাঁরা শুভেচ্ছা জানাতে গায়ে থুতু দেন ?

উত্তর ট্যানজ়ানিয়া এবং কেনিয়ার মাসাই উপজাতির মানুষ । যদিও বর্তমানে কাজিয়াডো এবং নারোক জেলায় তাঁদের উপস্থিতি । পূর্ব আফ্রিকার আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ মাসাই উপজাতি । আফ্রিকার এই উপজাতি তাঁদের পুরনো রীতি ও সংস্কৃতির জন্যই জনপ্রিয় । পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ মাসাই ।

এই মাসাই উপজাতির কাছে একে অপরের গায়ে থুতু ছেটানো অসম্মানজনক কিছু নয় । বরং শুভ অনুষ্ঠানে বা কাউকে শুভেচ্ছা জানাতে এই রীতিই পালন করেন তাঁরা । সত্যি বলতে দশকের পর দশক ধরে তাঁরা এই রীতি পালন করে আসছেন ।

কোনও ব্যক্তির সঙ্গে হাত মেলানোর আগে তাঁরা হাতের তালুতে থুতু লাগিয়ে নেন । আবার কোনও বন্ধুকে বিদায় জানানোর সময়েও তাঁর গায়ে থুতু দেওয়া হয় । আবার কাউকে শুভেচ্ছা জানাতেও পালন হয় এই রীতিই । আশীর্বাদের প্রতীকও বটে । নবজাতককে আশীর্বাদ করে এবং তার দীর্ঘায়ু কামনায় অভিভাবক এবং পরিবারের সদস্যরা নবজাতকের উপর থুতু দিয়ে থাকেন । এমনকী মাসাই বিবাহতেও বাবা তাঁর মেয়েকে আশীর্বাদ করার সময় কপালে ও বুকে থুতু দেয় ।

কিন্তু কেন এই অদ্ভুত নিয়মে বিশ্বাসী এই মাসাই উপজাতির মানুষ ? পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যখন গায়ে থুতু দেওয়াকে অত্যন্ত অসম্মানজনক মনে করে, সেক্ষেত্রে কেন মাসাই এই রীতি পালন করে ? তাঁদের পূর্ব প্রজন্মরা এর উত্তর হয়তো জানতেন, কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশের কাছেই সেই উত্তর নেই । একটা রীতি হয়েই থেকে গেছে তাঁদের এই অদ্ভুত নিয়ম !

তবে শুধুমাত্র গায়ে থুতু দেওয়ার মতো রীতির জন্যই আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত নয় মাসাই । তাঁদের পরিচিতির কারণে তালিকায় রয়েছে সাজ-পোশাক ও সঙ্গীত । বিশেষত তাঁদের পোশাক শৈলী ও সংস্কৃতি । লাল কাপড়ে নিজেদের মুড়ে রাখেন তাঁরা । শুকা নামে খ্যাত এই পোশাক । হাতে ও গলায় পরেন পুঁথির তৈরি অনেক গহনা । খাবার এবং অর্থের জন্য মূলত গবাদি পশুর উপরেই নির্ভরশীল মাসাই উপজাতি ।

Last Updated : Sep 2, 2020, 2:17 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.