রান্নায় স্বাদ অনুযায়ী লঙ্কা ব্যবহার তো করাই হয় । কেউ বেশি ঝাল খান, কেউ বা কম । কিন্তু এমনও লঙ্কা হয়, যা খেলে কারও প্রাণও যেতে পারে ? হয় ! তবে কোথায় পাওয়া যায় সেই লঙ্কা ? কীরকম দেখতে ?
একদিন গবেষকরা হঠাৎই আবিষ্কার করে ফেলেন এই লঙ্কা । নামও তেমন । ড্রাগন'স ব্রেথ, অর্থাৎ ড্রাগনের নিশ্বাস ! লঙ্কা চাষ করেছিলেন মাইক স্মিথ নামে এক কৃষক । ব্রিটেনের নট্টিনগম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উৎপাদিত হয় ড্রাগন'স ব্রেথ । বিশ্বের সবথেকে ঝাল লঙ্কা হিসেবে গিনেস বুকে নামও তুলেছে এই লঙ্কা ।
আকারে তেমন বড় নয় । লাল রঙের ছোটো আকার । কিন্তু এত ঝাল যে কোনও ব্যক্তি সামান্য বেশি পরিমাণে খেলেই মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা । কোনও ব্যক্তি যদি একটি লঙ্কা খেতে চেষ্টা করেন । তবে অ্যানাফিল্যাটিক শকের কারণে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে । অর্থাৎ, শরীরে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া । ত্বকে ব়্যাশ, লো পালস এমন কী শক পর্যন্ত হতে পারে । শেষ পর্যন্ত মৃত্যু । এতটাই ক্ষমতা রাখে একটা লঙ্কা ! ভাবা যায় ?
গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই লঙ্কা থেকে এক প্রকার তেল পাওয়া যায় । হয়ত কোনও ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট ড্রাগে অ্যালার্জেটিক । তার পরিবর্তে সেই ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই লঙ্কার তেল অ্যানাস্থেটিক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে । এই তেলের একটি ফোঁটা প্রায় 25 লাখ জলের ফোঁটার মধ্যেও চিহ্নিত করা যেতে পারে ।
কিন্তু কোনও ব্যক্তি কি কখনও খেয়েছেন এই লঙ্কা ? শেষে সেই ব্যক্তির কথাই বলি । স্মিথ নামে এক ব্যক্তি একবার এই লঙ্কার স্বাদ নিয়েছিলেন । মাত্র 10 সেকেন্ড জিভের উপর রেখেছিলেন লঙ্কাটি । তারপর তাঁকে কী বলতে শোনা যায় জানেন ? "পুড়ে যাচ্ছে ! পুড়ে যাচ্ছে !"