দিল্লি, 9 মে : BSF ও CRPF কর্মীদের মধ্যে ক্রমশ কোরোনা সংক্রমণ বাড়ছে । এমনকী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কন্ট্রোল রুমেও প্রবেশ করেছে কোরোনা । তাই কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর(CAPF) ডিরেক্টর জেনেরালদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যে পদক্ষেপগুলি নেওয়া হয়েছে সেগুলি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় । পাশাপাশি ভাইরাস মোকাবিলায় বাহিনীগুলির তরফে যে প্রয়াস করা হচ্ছে তা নিয়েও আলোচনা হয় । বাহিনীকে সংক্রমণমুক্ত করতে মেসের কিছু ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা, ব্যারাকগুলিতে থাকার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া, আয়ূষ মন্ত্রকের বিধিনিষেধ অনুযায়ী প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা ও যথাযথ কর্মী পরিচালনা-সহ একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয় বৈঠকে । একইসঙ্গে কোনও কর্মী মারা গেলে তাঁর বকেয়া বেতন সময়মতো দিয়ে দেওয়ার বিষয়টির উপরেও বৈঠকে জোর দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী । এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই ও কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীগুলির সমস্ত DG-সহ মন্ত্রকের অন্যান্য সিনিয়র অফিসাররাও উপস্থিত ছিলেন ।
আধাসামরিক বাহিনীতে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন 380 ছাড়িয়ে গেছে । মৃত্যু হয়েছে তিনজনের । বৃহস্পতিবার BSF-এর দুই আধিকারিকের কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে । 28 এপ্রিল CRPF-এর এক 55 বছর বয়সি সাব ইন্সপেক্টরের কোরোনায় মৃত্যু হয় । কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে BSF-এর সবথেকে বেশি আধিকারিক কোরোনায় আক্রান্ত । সংখ্যাটা 193 । অন্যদিকে CRPF-এ এখনও পর্যন্ত কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 158 ।
CISF-এ এখনও পর্যন্ত 22 জন কোরোনায় আক্রান্ত । ইন্দো-টিবেটিয়ান সীমান্ত পুলিশ(ITBP)-এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 45 । সশস্ত্র সীমা বল(SSB)-এ চারজন কোরোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছে । তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীগুলিতে সংক্রমিতের বেশিরভাগই দিল্লির ।
3 মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সকল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দেওয়া হয় । তাতে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীগুলির পুলিশ বা আধিকারিকদের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়ম সম্পর্কে জানানো হয় । পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর প্রধানদের ও পুলিশের ডিরেক্টর জেনেরালদের কর্মীদের জন্য ওয়ার্ক ফর্ম হোমের সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয় ।