ETV Bharat / bharat

বিহার ভোটে বেকারত্বই প্রধান ইশু JD(U) ও RJD-র

author img

By

Published : Sep 28, 2020, 10:19 PM IST

ভোটের গুটি সাজাতে ব্যস্ত বিহারের সব রাজনৈতিক দলগুলি । প্রচারের আসরে নেমে পড়েছে JD(U) ও RJD সহ অন্য দলগুলি । বেকার যুব সম্প্রদায়কে হাতে রাখাই দুই দলের প্রধান উদ্দেশ্য । চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ভোট পেতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে দুই দলই ।

Aa
Aw

পটনা, 28 সেপ্টেম্বর : সামনেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন । ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে । জেতার সুযোগকে হাত ছাড়া করতে চায় না কেউই । আর তাই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আদা জল খেয়ে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে সব দলের অন্দরে । ভোটের আগে একগাদা প্রতিশ্রুতিগুচ্ছ ভোটারদের কান পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া যে এক মোক্ষম চাল তা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না । ঢাক পিটিয়ে সেই কাজে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলি ।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন বিহারের মুখমন্ত্রী তথা বর্তমান শাসক দলের (জনতা দল ইউনাইটেড-JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার । বসে নেই প্রধান বিরোধী পক্ষ রাষ্ট্রীয় জনতা দলও (RJD) । ভোটের গুটি সাজাতে ব্যস্ত তেজস্বী যাদব । নেমে পড়েছেন প্রচারে । দুই দলেরই এখন পাখির চোখ বেকার যুব সম্প্রদায় । তাঁদের ভোটেই বাজিমাত করতে চাইছেন দুই দলের নেতা । JD(U) এবং RJD দুই দলই 15 বছর ধরে বিহারের ক্ষমতায় থেকেছে ।

ফের ক্ষমতায় আসলে 'সাত কর্মসূচি-পার্ট 2' মেনে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নীতিশ কুমার । যুব শক্তি বিহার কী প্রগতি কর্মসূচির আওতায় যুবকদের চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি । এছাড়াও কৌশল বিকাশ যোজনার আওতায় (দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প) আরও বেশি যুবক সুযোগ সুবিধা পাবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি । এর জন্য প্রত্যেক জেলায় জেলায় বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি । সেইসব কেন্দ্রে দক্ষতা উন্নয়নে আলাদা আলাদা বিভাগও খোলা হবে । যুব সম্প্রদায়কে সমস্ত রকম সহায়তা প্রদানে আশ্বাস দেন মন্ত্রী ।

নির্বাচনের ময়দান সাজানোর থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই RJD নেতা তেজস্বী যাদবও । সাংবাদিকদের গতকাল তিনি জানান, ক্ষমতায় আসলে দুই মাসের মধ্যে তাঁর সরকার 10 লাখ মানুষকে সরকারি চাকরি দেবে । বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে মোট শূন্যপদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যদি RJD ক্ষমতায় আসে তবে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকই 10 লাখ মানুষকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে হবে । একবার যদি মানুষ আমার দলকে ক্ষমতায় আসার সুযোগ দেয় তবে সরকারি কোনও পদ শূন্য থাকবে না ।”

এদিকে দুই দলের এই সব প্রতিশ্রুতি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি RJD এবং JD (U) বিরোধী দলগুলিও । ক্ষমতায় থাকাকালীন কেন দুই দল প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ অজয় কুমারের কথায়, "ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলির ভূরি ভূরি ঘোষণা ও প্রতিশ্রুতি কোনও নতুন বিষয় নয় । বহু কাল ধরেই এরকম চলে আসছে ।" তিনি বলেন, "কোরোনার কারণে ভিন রাজ্য থেকে বহু শ্রমিক ফিরে এসেছেন । কিন্তু এখন ভোটের আগে আগে বিরোধী দলগুলি বেকারত্বের বিষয়টি তুলে ধরছে । বিরোধীদের বক্তব্যকে ভুল প্রমাণ করতে এখন শাসক দল চাকরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ।" তাঁর কথায়, "JDU ও RJD দু'টি দলই 15 বছর করে ক্ষমতায় থেকেছে । প্রথম থেকেই যদি এই বিষয়টিতে নজর দিত তাহলে রাজ্যের পরিস্থিতিটা অন্যরকম হতে পারত ।"

পটনা, 28 সেপ্টেম্বর : সামনেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন । ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে । জেতার সুযোগকে হাত ছাড়া করতে চায় না কেউই । আর তাই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আদা জল খেয়ে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে সব দলের অন্দরে । ভোটের আগে একগাদা প্রতিশ্রুতিগুচ্ছ ভোটারদের কান পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া যে এক মোক্ষম চাল তা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না । ঢাক পিটিয়ে সেই কাজে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলি ।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন বিহারের মুখমন্ত্রী তথা বর্তমান শাসক দলের (জনতা দল ইউনাইটেড-JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার । বসে নেই প্রধান বিরোধী পক্ষ রাষ্ট্রীয় জনতা দলও (RJD) । ভোটের গুটি সাজাতে ব্যস্ত তেজস্বী যাদব । নেমে পড়েছেন প্রচারে । দুই দলেরই এখন পাখির চোখ বেকার যুব সম্প্রদায় । তাঁদের ভোটেই বাজিমাত করতে চাইছেন দুই দলের নেতা । JD(U) এবং RJD দুই দলই 15 বছর ধরে বিহারের ক্ষমতায় থেকেছে ।

ফের ক্ষমতায় আসলে 'সাত কর্মসূচি-পার্ট 2' মেনে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নীতিশ কুমার । যুব শক্তি বিহার কী প্রগতি কর্মসূচির আওতায় যুবকদের চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি । এছাড়াও কৌশল বিকাশ যোজনার আওতায় (দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প) আরও বেশি যুবক সুযোগ সুবিধা পাবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি । এর জন্য প্রত্যেক জেলায় জেলায় বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি । সেইসব কেন্দ্রে দক্ষতা উন্নয়নে আলাদা আলাদা বিভাগও খোলা হবে । যুব সম্প্রদায়কে সমস্ত রকম সহায়তা প্রদানে আশ্বাস দেন মন্ত্রী ।

নির্বাচনের ময়দান সাজানোর থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই RJD নেতা তেজস্বী যাদবও । সাংবাদিকদের গতকাল তিনি জানান, ক্ষমতায় আসলে দুই মাসের মধ্যে তাঁর সরকার 10 লাখ মানুষকে সরকারি চাকরি দেবে । বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে মোট শূন্যপদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যদি RJD ক্ষমতায় আসে তবে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকই 10 লাখ মানুষকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে হবে । একবার যদি মানুষ আমার দলকে ক্ষমতায় আসার সুযোগ দেয় তবে সরকারি কোনও পদ শূন্য থাকবে না ।”

এদিকে দুই দলের এই সব প্রতিশ্রুতি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি RJD এবং JD (U) বিরোধী দলগুলিও । ক্ষমতায় থাকাকালীন কেন দুই দল প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ অজয় কুমারের কথায়, "ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলির ভূরি ভূরি ঘোষণা ও প্রতিশ্রুতি কোনও নতুন বিষয় নয় । বহু কাল ধরেই এরকম চলে আসছে ।" তিনি বলেন, "কোরোনার কারণে ভিন রাজ্য থেকে বহু শ্রমিক ফিরে এসেছেন । কিন্তু এখন ভোটের আগে আগে বিরোধী দলগুলি বেকারত্বের বিষয়টি তুলে ধরছে । বিরোধীদের বক্তব্যকে ভুল প্রমাণ করতে এখন শাসক দল চাকরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ।" তাঁর কথায়, "JDU ও RJD দু'টি দলই 15 বছর করে ক্ষমতায় থেকেছে । প্রথম থেকেই যদি এই বিষয়টিতে নজর দিত তাহলে রাজ্যের পরিস্থিতিটা অন্যরকম হতে পারত ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.