ভুবনেশ্বর, 17 জুন : রক্ত ঝরছে সীমান্তে । শহিদ হয়েছেন 20 জন ভারতীয় জওয়ান । আর সীমান্ত সংঘর্ষে কান্নার রোল ওড়িশাতেও । ওড়িশার কান্ধামাল জেলার চন্দ্রকান্ত প্রধান ও ময়ূরভঞ্জ জেলার নন্দুরাম সোরেন । সোমবারের রাতে যখন গোটা দেশ ঘুমাচ্ছিল, তখন সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে ব্যস্ত ছিলেন ওঁরা । সংঘর্ষে দুই জওয়ানের শহিদ হওয়ার খবর ওড়িশায় এসে পৌঁছাতেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া ।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে লাদাখে ভারত-চিন সীমান্ত । সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত সীমান্তরেখা (LAC) বরাবর সংঘর্ষ বাধে ভারতীয় সেনা ও চিনের লিবারেশন আর্মির । গতকাল প্রাথমিকভাবে তিন জওয়ানের শহিদ হওয়ার খবর সামনে এসেছিল । দিনের শেষে জানা যায়, সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ভারতীয় সেনার 20 জন জওয়ান । সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ওই 20 জন ছাড়াও গুরুতর জখম হয়েছেন একাধিক জওয়ান । সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
সোমবার রাতে প্রায় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ধরে ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষ চলে । গতকাল গালওয়ান উপত্যকা থেকে শহিদ ও জখম হওয়া জওয়ানদের ফিরিয়ে আনতে 16 বার হেলিকপ্টার যাতায়াত করে । আজ সকালে আরও চার শহিদ জওয়ানের দেহ হেলিকপ্টারে করে গালওয়ান থেকে লে নিয়ে আসা হয় । এদিকে ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি যে পথে এগোচ্ছে, তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দিল্লিতে । পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে 19 জুন বিকেল পাঁচটায় সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷