ETV Bharat / bharat

আসছে বর্ষা, মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচবেন কীভাবে ? - Chikungunya

"মসকুইটো ফগিং" বিধি কার্যকর করা এবং মশার লার্ভা নিধনের জন্য পৌরসভার কর্মীদের উপর নির্ভর করার পরিবর্তে বাড়িতেই সহজ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে ৷ যার মাধ্যমে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত মারণ রোগকে দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব ।

আসছে বর্ষা, মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচবেন কীভাবে ?
আসছে বর্ষা, মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচবেন কীভাবে ?
author img

By

Published : May 30, 2020, 5:09 PM IST

একদিকে প্যানডেমিকের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে । অন্যদিকে মশার বাড়বাড়ন্তের সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার দিকেও এগোচ্ছে ভারত । বর্ষার মরশুমই মশার প্রজননের সময় । কিন্তু কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে আমরা মশাবাহিত রোগ এড়াতে পারব । মাস্ক পরে এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে আমরা নিজেদের কোরোনার হাত থেকে রক্ষা করতে পারি । এই সমস্ত পদক্ষেপ করার পাশাপাশি মশার আক্রমণ প্রতিহত করার জন্যও আগাম কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি । "মসকুইটো ফগিং" বিধি কার্যকর করা এবং মশার লার্ভা নিধনের জন্য পৌরসভার কর্মীদের উপর নির্ভর করার পরিবর্তে বাড়িতেই সহজ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে ৷ যার মাধ্যমে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত মারণ রোগকে দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব । এই নিয়ে ইনাডুর সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করলেন GHMC-র মুখ্য পতঙ্গবিজ্ঞানী ডা. রামবাবু ।

বিশেষজ্ঞ বলছেন, নিম তেল এবং নারকেল তেল সমপরিমাণে নিয়ে দুটিকে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে আট ঘণ্টা পর্যন্ত মশার দল কাছে ঘেঁষবে না । নিম তেলে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া নাশক, ভাইরাসনাশক এবং প্রোটোজোয়ানাশক গুণাগুণ । দুই তেলের এই মিশ্রণ জমা জলেও স্প্রে করা যেতে পারে । এতে জলের উপর তেলের যে পিচ্ছিল আবরণী তৈরি হবে তাতে মরবে মশার লার্ভা । তবে যেকোনও তেলই এই কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে ।

বাগান এলাকায় জমা জলে লার্ভার বংশবৃদ্ধি হয় । তুলসি, পুদিনা, সিট্রোনেলা, লেমনগ্রাসের মতো উদ্ভিদ মশার বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । "অ্যাপার্টমেন্ট" সংস্কৃতির রমরমার ফলে শহর এলাকায় মশারির চাহিদা কমে আসছে । যদিও গ্রামীণ এলাকাগুলিতে মশারি এখনও জনপ্রিয় । মশার কামড় প্রতিহত করতে মশারি অনেকটাই সাহায্য করে । সূর্যাস্তের পর ঘরের জানালা, দরজা বন্ধ রাখাই বাঞ্ছনীয় । তবে বায়ু চলাচলের সুবিধার জন্য জানালা, দরজার সঙ্গে গ্রিলও আটকে দেওয়া যেতে পারে ।

নিচু এলাকাগুলিতে জল ধরে রেখে, কৃষিকাজ চালানোর জন্য বর্ষা আসার আগেই গর্ত খুঁড়ে রাখা উচিত । কিন্তু জল জমে পড়ে যাতে সমস্যার সৃষ্টি না হয় তার জন্য এই গর্তগুলির মাধ্যমে মাটির তলায় বৃষ্টির জল পাম্প করে রাখা যেতে পারে । জলের ট্যাঙ্ক, খাল এবং পুকুরগুলিতে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ক্লোরিন ছড়াতে হবে । বর্ষার আগে জলাশয়গুলিতে গাম্বুলা মাছ ছাড়তে হবে ।

জমা জলে মশা ডিম পাড়ে । ছোটখাটো গর্ত, হ্যান্ড পাম্প, নর্দমার গর্ত, ডোবা, পুকুর, জল নিকাশের যাবতীয় মাধ্যম, বাগানের টব, ডিম পাড়ার জন্য মশারা সাধারণত এই জায়গাগুলিকেই বেছে নেয় । তাই জলের ট্যাঙ্ক আর পাইপ সব সময় ঢেকে রাখতে হবে । জমা জলের পার্শ্ববর্তী স্থানে কোনও আবর্জনা পড়ে থাকলে অবিলম্বে তা সরিয়ে ফেলতে হবে । নিম তেল, নারকেল তেল বা কেরোসিন জমা জলে ছেটাতে হবে ৷ যাতে মশার লার্ভা নষ্ট করা যায় ।

একদিকে প্যানডেমিকের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে । অন্যদিকে মশার বাড়বাড়ন্তের সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার দিকেও এগোচ্ছে ভারত । বর্ষার মরশুমই মশার প্রজননের সময় । কিন্তু কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে আমরা মশাবাহিত রোগ এড়াতে পারব । মাস্ক পরে এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে আমরা নিজেদের কোরোনার হাত থেকে রক্ষা করতে পারি । এই সমস্ত পদক্ষেপ করার পাশাপাশি মশার আক্রমণ প্রতিহত করার জন্যও আগাম কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি । "মসকুইটো ফগিং" বিধি কার্যকর করা এবং মশার লার্ভা নিধনের জন্য পৌরসভার কর্মীদের উপর নির্ভর করার পরিবর্তে বাড়িতেই সহজ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে ৷ যার মাধ্যমে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত মারণ রোগকে দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব । এই নিয়ে ইনাডুর সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করলেন GHMC-র মুখ্য পতঙ্গবিজ্ঞানী ডা. রামবাবু ।

বিশেষজ্ঞ বলছেন, নিম তেল এবং নারকেল তেল সমপরিমাণে নিয়ে দুটিকে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে আট ঘণ্টা পর্যন্ত মশার দল কাছে ঘেঁষবে না । নিম তেলে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া নাশক, ভাইরাসনাশক এবং প্রোটোজোয়ানাশক গুণাগুণ । দুই তেলের এই মিশ্রণ জমা জলেও স্প্রে করা যেতে পারে । এতে জলের উপর তেলের যে পিচ্ছিল আবরণী তৈরি হবে তাতে মরবে মশার লার্ভা । তবে যেকোনও তেলই এই কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে ।

বাগান এলাকায় জমা জলে লার্ভার বংশবৃদ্ধি হয় । তুলসি, পুদিনা, সিট্রোনেলা, লেমনগ্রাসের মতো উদ্ভিদ মশার বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । "অ্যাপার্টমেন্ট" সংস্কৃতির রমরমার ফলে শহর এলাকায় মশারির চাহিদা কমে আসছে । যদিও গ্রামীণ এলাকাগুলিতে মশারি এখনও জনপ্রিয় । মশার কামড় প্রতিহত করতে মশারি অনেকটাই সাহায্য করে । সূর্যাস্তের পর ঘরের জানালা, দরজা বন্ধ রাখাই বাঞ্ছনীয় । তবে বায়ু চলাচলের সুবিধার জন্য জানালা, দরজার সঙ্গে গ্রিলও আটকে দেওয়া যেতে পারে ।

নিচু এলাকাগুলিতে জল ধরে রেখে, কৃষিকাজ চালানোর জন্য বর্ষা আসার আগেই গর্ত খুঁড়ে রাখা উচিত । কিন্তু জল জমে পড়ে যাতে সমস্যার সৃষ্টি না হয় তার জন্য এই গর্তগুলির মাধ্যমে মাটির তলায় বৃষ্টির জল পাম্প করে রাখা যেতে পারে । জলের ট্যাঙ্ক, খাল এবং পুকুরগুলিতে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ক্লোরিন ছড়াতে হবে । বর্ষার আগে জলাশয়গুলিতে গাম্বুলা মাছ ছাড়তে হবে ।

জমা জলে মশা ডিম পাড়ে । ছোটখাটো গর্ত, হ্যান্ড পাম্প, নর্দমার গর্ত, ডোবা, পুকুর, জল নিকাশের যাবতীয় মাধ্যম, বাগানের টব, ডিম পাড়ার জন্য মশারা সাধারণত এই জায়গাগুলিকেই বেছে নেয় । তাই জলের ট্যাঙ্ক আর পাইপ সব সময় ঢেকে রাখতে হবে । জমা জলের পার্শ্ববর্তী স্থানে কোনও আবর্জনা পড়ে থাকলে অবিলম্বে তা সরিয়ে ফেলতে হবে । নিম তেল, নারকেল তেল বা কেরোসিন জমা জলে ছেটাতে হবে ৷ যাতে মশার লার্ভা নষ্ট করা যায় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.