পাকিস্তান কার্গিল যুদ্ধের শুরু থেকেই অস্বীকার করেছিল যে তাদের সেনারা ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে ঢুকেছে । তারা বলেছিল, জিহাদিরা কার্গিল দখল করেছে ।
কিন্তু একটি ফোন কলের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় যে তারা মিথ্যে কথা বলছিল । সেটি ছিল পাকিস্তানের চিফ অফ আর্মি পারভেজ মোশারফ ও লেফটেন্যান্ট জেনেরাল মোহাম্মদ আজিজ খানের ফোনের কথোপকথন ।
সত্যি কাহিনী
1999 সালের 26 মে লেফটেন্যান্ট জেনেরাল মোহাম্মদ আজিজ খান ও জেনেরাল পারভেজ মোশারফের মধ্যে প্রথম কথোপকথন হয় । সেই সময় মোহাম্মদ আজিজ খান ছিলেন পাকিস্তানে ও পারভেজ মোশাররফ গিয়েছিলেন চিন সফরে ।
1999 সালের 29 মে তাদের মধ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য কথোপকথন হয় ।
সেই সময় পাকিস্তান সেনা চিফ জেনেরাল পারভেজ মোশারফ গিয়েছিলেন চিন সফরে এবং লেফটেন্যান্ট জেনেরাল মোহাম্মদ আজিজ খান ছিলেন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে ।
পাকিস্তানের উদ্দেশ্য বিশ্বকে জানানোর জন্য ভারত সরকার 11 জুন সেই কথোপকথনের প্রতিলিপি প্রকাশ করেছিল। কিন্তু কথোপকথনের সেই প্রতিলিপি প্রকাশ হওয়ার এক সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের এক কূটনৈতিক চালের জন্য প্রতিলিপি ও টেপগুলি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
কথোপকথনের মধ্যে অনেকগুলি বিষয় ছিল । যেমন - কার্গিল সেক্টরে পরিস্থিতি কেমন দিকে এগোচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা কমাতে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী সারতাজ আজিজের ভারত সফর । কারগিল নিয়ে মুশাররফের পর্যবেক্ষণ ও দিক নির্ণয় । সিনিয়র মিলিটারি কমান্ডারস ও মুজাহিদ্দিনের কার্যকলাপ ইত্যাদি । এছাড়াও ওই কথোপকথনের থেকে জানা গেছিল মোশারফ প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ঠিক ততটাই তথ্য দিতেন যা তার জানার প্রয়োজন ছিল ।
ফোনে কথোপকথনের ওই প্রতিলিপি থেকে ভারতীয় সেনার জানতে অবকাশ ছিল না যে পাকিস্তান সেনা ছক কষছে । তারা কৌশলে কার্গিল দখলের জন্য নিজেদের সেনা প্রস্তুত করছে ।