দিল্লি, 4 অক্টোবর : খেতি বাঁচাও যাত্রায় প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকেই নিশানা রাহুল গান্ধির । তাঁর প্রশ্ন, যদি দেশের কৃষকরা আইন নিয়ে সন্তুষ্টই হতেন, তবে প্রতিবাদ কেন চলছে ? কৃষকদের ধ্বংস হতে দেবে না কংগ্রেস বলে কেন্দ্রকে হঁশিয়ার করেন তিনি ।
মোগায় প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে কৃষকদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেন রাহুল । বলেন, কেন্দ্রের ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস নয়া কৃষি আইন সরিয়ে দেবে । ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, খাদ্য সংগ্রহ এবং পাইকারি বাজারকে দেশের 'তিনটি স্তম্ভ' বলে উল্লেখ করেন তিনি । নরেন্দ্র মোদির দিকেও অভিযোগের আঙুল ছিল তাঁর । বলেন, "প্রধানমন্ত্রী এই ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাইছেন । "
তাঁর সংযোজন, "BJP-র একমাত্র লক্ষ্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এবং খাদ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করা । কংগ্রেস তা কখনও করতে দেবে না ।"
কৃষি আইনের প্রতিবাদে আজ থেকে খেতি বাঁচাও যাত্রা শুরু করেন রাহুল গান্ধি । তিনদিন ধরে এই কর্মসূচি চলবে । পঞ্জাব থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে দিল্লিতে ।
এই প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে আইন আরোপের প্রয়োজনীয়তা কী ছিল ? এই প্রশ্নও তোলেন রাহুল । এই আইন যদি আরোপ করারই ছিল, তবে সংসদে সেই নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন ছিল । প্রধানমন্ত্রী বলছেন এই আইন কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে । তাই যদি হয়, তবে খোলাখুলি সংসদে সেই নিয়ে আলোচনা হল না কেন ? প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রশ্ন ছোড়েন তিনি ।
কৃষি আইন সংসদে পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয় । প্রতিবাদে রাস্তায় নামে কৃষক সংগঠনগুলি । বিক্ষোভ তীব্র হয় পঞ্জাবে । NDA জোট ছাড়ে শিরমণি অকালি দল । তবে কেন্দ্রের বরাবরই অভিযোগ ছিল, বিরোধী দলগুলি কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে । এই আইন কৃষকদের স্বার্থরক্ষা করবে ।
কেন্দ্রের সেই অভিযোগের আজ পালটা জবাব দেন রাহুল গান্ধি । প্রশ্ন করেন, "যদি এই আইনে কৃষকরা খুশিই হতেন, তবে দেশে প্রতিবাদ কেন হচ্ছে?" যদিও কেন্দ্রের এই অভিযোগ অনেকদিন আগেই উড়িয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি । তারা স্পষ্ট জানিয়েছিল, কোনও বিরোধীদলের দ্বারা তারা ভুল পথে চালিত হচ্ছে না ।
কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কৃষি আইন ফিরিয়ে নেবে । BJP সরকারের বিরুদ্ধে লড়বে । আইনের বিরুদ্ধ লড়বে বলে পঞ্জাবের কৃষকদের আশ্বাস দেন রাহুল গান্ধি । প্রথমে মোগা জেলায় এক জনসভায় বক্তৃতা দেন । বাধনি কালান থেকে জাটপুরা পর্যন্ত ট্রাক্টর ব়্যালি করেন ।
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে 24 সেপ্টেম্বর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলনে নেমেছে কংগ্রেস । যা 14 নভেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে । কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, এই কিষাণ যাত্রার লক্ষ্য কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান এবং কেন্দ্রীয় সরকারের "কৃষক বিরোধী" চেহারা তুলে ধরা ।