ETV Bharat / bharat

"মৃত্যুমুখে দাঁড়িয়েও মাকে ডাকছিলাম"

মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসেছে ওরা । নিজের চোখে দেখেছি, কত বন্ধুবান্ধবের প্রাণ চলে গেছে । গতকালে সুরাতে ঘটা সেই ঘটনার বর্ণনা দিল এক ছাত্রী

ছবি
author img

By

Published : May 25, 2019, 9:45 PM IST

গুজরাত, 25 মে : তখন ক্লাস চলছে পুরোদমে । হঠাৎ আগুনের ঝলকানি । ধোঁয়া বেরোতে শুরু করেছে গলগল করে । নিচে যাওয়ার পথ বন্ধ । অতএব ! প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই । একে একে মরণঝাঁপই মৃত্যু মুখে ঠেলে দিল ওদের । কয়েকজন বাঁচল বরাতজোরে । তাদের চোখে-মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ।

সুরাতের সারথানা এলাকায় তক্ষশীলা কমপ্লেক্সে চলত চারটি কোচিং সেন্টার । ওই বহুতলের উপর দুটি তলায় গতকাল দুপুরে আনুমানিক সাড়ে তিনটে নাগাদ আগুন লেগে যায় । প্রায় 60 জন ছাত্র-ছাত্রী তখন ওই চারটি কোচিং সেন্টারে উপস্থিত ছিল । প্রাণ বাঁচাতে একে একে ঝাঁপ দিতে শুরু করে তারা । কয়েকজনের মৃত্যু হয় । কয়েকজন আহত হয়ে এখন হাসপাতালে ভরতি । এরমধ্যে একজন উর্মিলা প্যাটেল । তার মাথা, কোমর ও পায়ে আঘাত লেগেছে । বর্তমানে পিপি সাবানি হাসপাতালে ভরতি উর্মিলা ।

কাল দুপুরের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে উর্মিলা বলে, "আমরা তখন পড়ছিলাম । হঠাৎ দেখি কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে এলাকা । সব কিছু যেন অন্ধকার হয়ে গেল । নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না । সাহায্যের জন্য চিৎকার করলাম । কিন্তু, সবাই তো দৌড়াচ্ছে । এই সময় মা-কে মনে পড়ছিল । দৌড়ালাম সিঁড়ির দিকে । কিছুই দেখতে পাইনি । ফিরে এলাম । তখন দেখি, একে একে সবাই ঝাঁপ দিচ্ছে । নিজেকেও শক্ত করে বললাম, আমাকে বাঁচতে হবে । ঝাঁপ দিলাম । তারপর আর কিছু মনে নেই । আজ সকালে চোখ খুলে দেখি আমি হাসপাতালে ।"

ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর দমকল আসে । তখনও আগুনের লেলিহান শিখায় টিকে থাকা দায় । প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র হিমান্ত জয়ানির কথায়, দমকল তো এসেছিল । কিন্তু, উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ছিল না । ওদের ল্যাডার তিনতলা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছিল না । জালও ছিল না । নাহলে বেশ কয়েকজনকে বাঁচানো যেত ।

ঘটনার পরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি । মৃতদের পরিবারকে 4 লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেন তিনি । আহতদের জন্য উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে বলেও জানান । এদিকে, রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী বলেন, "আমরা দেখব এই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় ।" দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি ।

দমকলের এক আধিকারিক বলেন, "অবৈধভাবে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল । অনুমতি ছিল দু'তলার । করেছে চারতলা । তার উপর অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাও ছিল না ।"

ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠছে অনেক । প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও । কীভাবে অনুমতি ছাড়াই এত বড় বাড়ি বানানো হল ? কেনই বা পদক্ষেপ নিল না পৌরসভা ? এবিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই ।

গুজরাত, 25 মে : তখন ক্লাস চলছে পুরোদমে । হঠাৎ আগুনের ঝলকানি । ধোঁয়া বেরোতে শুরু করেছে গলগল করে । নিচে যাওয়ার পথ বন্ধ । অতএব ! প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই । একে একে মরণঝাঁপই মৃত্যু মুখে ঠেলে দিল ওদের । কয়েকজন বাঁচল বরাতজোরে । তাদের চোখে-মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ।

সুরাতের সারথানা এলাকায় তক্ষশীলা কমপ্লেক্সে চলত চারটি কোচিং সেন্টার । ওই বহুতলের উপর দুটি তলায় গতকাল দুপুরে আনুমানিক সাড়ে তিনটে নাগাদ আগুন লেগে যায় । প্রায় 60 জন ছাত্র-ছাত্রী তখন ওই চারটি কোচিং সেন্টারে উপস্থিত ছিল । প্রাণ বাঁচাতে একে একে ঝাঁপ দিতে শুরু করে তারা । কয়েকজনের মৃত্যু হয় । কয়েকজন আহত হয়ে এখন হাসপাতালে ভরতি । এরমধ্যে একজন উর্মিলা প্যাটেল । তার মাথা, কোমর ও পায়ে আঘাত লেগেছে । বর্তমানে পিপি সাবানি হাসপাতালে ভরতি উর্মিলা ।

কাল দুপুরের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে উর্মিলা বলে, "আমরা তখন পড়ছিলাম । হঠাৎ দেখি কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে এলাকা । সব কিছু যেন অন্ধকার হয়ে গেল । নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না । সাহায্যের জন্য চিৎকার করলাম । কিন্তু, সবাই তো দৌড়াচ্ছে । এই সময় মা-কে মনে পড়ছিল । দৌড়ালাম সিঁড়ির দিকে । কিছুই দেখতে পাইনি । ফিরে এলাম । তখন দেখি, একে একে সবাই ঝাঁপ দিচ্ছে । নিজেকেও শক্ত করে বললাম, আমাকে বাঁচতে হবে । ঝাঁপ দিলাম । তারপর আর কিছু মনে নেই । আজ সকালে চোখ খুলে দেখি আমি হাসপাতালে ।"

ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর দমকল আসে । তখনও আগুনের লেলিহান শিখায় টিকে থাকা দায় । প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র হিমান্ত জয়ানির কথায়, দমকল তো এসেছিল । কিন্তু, উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ছিল না । ওদের ল্যাডার তিনতলা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছিল না । জালও ছিল না । নাহলে বেশ কয়েকজনকে বাঁচানো যেত ।

ঘটনার পরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি । মৃতদের পরিবারকে 4 লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেন তিনি । আহতদের জন্য উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে বলেও জানান । এদিকে, রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী বলেন, "আমরা দেখব এই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় ।" দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি ।

দমকলের এক আধিকারিক বলেন, "অবৈধভাবে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল । অনুমতি ছিল দু'তলার । করেছে চারতলা । তার উপর অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাও ছিল না ।"

ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠছে অনেক । প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও । কীভাবে অনুমতি ছাড়াই এত বড় বাড়ি বানানো হল ? কেনই বা পদক্ষেপ নিল না পৌরসভা ? এবিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই ।


New Delhi, May 25 (ANI): Congress leader Randeep Singh Surjewala on Saturday briefed about the Congress Working Committee (CWC) which was held in Delhi. He said that the party has given its president Rahul Gandhi the right to makes changes to restructure the party. The plan of this will be brought soon by the Congress. Rahul Gandhi also offered his resignation in meeting but it was rejected by the members of CWC unanimously.
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.