দিল্লি, 3 ফেব্রুয়ারি : কেরালার সবরীমালা মন্দির সহ বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে নারীর প্রতি বৈষম্য সম্পর্কিত বিষয়গুলি বিবেচনা করবে সুপ্রিম কোর্ট। 9 সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সবরীমালা মন্দিরে নারীর প্রবেশ ছাড়াও মুসলিম মহিলাদের মসজিদে প্রবেশ, দাউদি বোহরা মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলাদের যৌনাঙ্গে আঘাত এবং অ-পার্সিদের বিয়ে করা পার্সি মহিলাদের ধর্মীয় স্থানে প্রবেশ নিয়ে যেসব নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা খতিয়ে দেখবে।
এই সংক্রান্ত শুনানির জন্য গঠিত বেঞ্চে থাকবেন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি আর বাণুমতি, অশোক ভূষণ, সূর্য কান্ত, এস এ নাজির, আর সুভাষ রেড্ডি, এল নাগেশ্বর রাও ৷ 13 জানুয়রি সুপ্রিম কোর্ট 4 সিনিয়র বিচারপতিকে এবিষয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন ৷
2018 সালে 28 সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ কেরালার সবরীমালা মন্দিরে নারীদের প্রবেশের অধিকারে স্বীকৃতি দেন এবং বলেন যে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নারীদের অধিকারে বাধা দেওয়ার ঘটনা কেবল হিন্দু ধর্মের মধ্যে সীমিত নয়, অন্য ধর্মেও এই ঘটনা বর্তমান ৷ এবিষয়ে আলোচনা ও পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন ৷ সবরীমালা মন্দির নিয়ে রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে 65টি পিটিশন জমা পড়ে ৷ বৃহত্তর বেঞ্চের পর্যালোচনার জন্য মোট সাতটি প্রশ্ন রাখা হয় ৷ এই প্রশ্নগুলির মধ্যে সংবিধানের 25 ও 26 অনুচ্ছেদের অধীনে ধর্মের স্বাধীনতার বিষয়টি রয়েছে ৷ ‘‘সাংবিধানিক নৈতিকতা’’ বিষয়টি বর্ণনা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । কারণ আদালত কতটা পর্যন্ত ধর্মীয় অনুশীলনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে এবং অনুচ্ছেদ 26-এর অধীনে আদৌ ‘‘প্রয়োজনীয় ধর্মীয় অনুশীলন’’ সুরক্ষিত রয়েছে কি না তা পর্যালোচনার প্রয়োজন ।
সবরীমালায় নারীদের প্রবেশাধিকার নিয়ে লড়াই যেন থামতেই চায় না ৷ 2018 সালের সেপ্টেম্বর মাসে কেরালার সবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতীদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয় ৷ এরপর 2019 সালের নভেম্বর মাসে সব বয়সি মহিলাকেই মন্দিরে প্রবেশের অধিকার দেওয়া হয় ৷ সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত ফের পুনর্বিবেচনার আর্জিও জমা পড়ে ৷
প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে গত বৃহস্পতিবার বলেন, "ধর্মীয় বিশ্বাস ও নারী অধিকার- এই দুটি বিষয়কে মাথায় রেখেই কোর্ট তার সিদ্ধান্ত বদল করবে কি না তা ঠিক করবে ।"