দিল্লি, 9 নভেম্বর : 490 বছরের বিতর্কের অবসান । আজ এক ঐতিহাসিক রায়ে এই বিতর্কের সমাধান করার চেষ্টা করল সুপ্রিম কোর্ট । শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মন্দির হবে । আর বিকল্প হিসেবে মসজিদ তৈরির জন্য পাঁচ একর জমি পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ।
বিতর্ক শুরু হয়েছিল মুঘল আমলে । সম্রাট বাবরের নির্দেশে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন তাঁর সেনাপতি মীর বাকি । পরবর্তীতে মহন্ত রঘুবীর দাস ফৈজাবাদ জেলা আদালতে মামলা করে মসজিদ লাগোয়া জমিতে রামমন্দির নির্মাণের আবেদন জানান । তখন দেশে ব্রিটিশ শাসন চলছে । মহন্তের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল ব্রিটিশ আদালত । বিতর্ক জোরদার গত শতাব্দীর নয়ের দশকে । অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে আন্দোলন জোরদার হয় । 1992 সালের 6 ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে দেন করসেবকদের একাংশ ।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস । প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নরসিমা রাও । তাঁর সরকার বিতর্কিত 2.77 একর জমি-সহ সংলগ্ন 67 একর জমি অধিগ্রহণ করে । 2002 সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিতর্কিত জমির মালিকানা নিয়ে শুনানি শুরু হয় । 2003 সালের মার্চ একটি মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় সরকারের অধিগৃহীত জমিতে কোনও ধর্মীয় কাজ করা যাবে না ।
-
PM Modi: Today is 9th November, the day when Berlin wall was brought down. Today the #KartarpurCorridor was also inaugurated. Now the Ayodhya verdict, so this date gives us the message to stay united and move forward https://t.co/ugFLOzroE4 pic.twitter.com/fK0Cwc2KG2
— ANI (@ANI) November 9, 2019 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">PM Modi: Today is 9th November, the day when Berlin wall was brought down. Today the #KartarpurCorridor was also inaugurated. Now the Ayodhya verdict, so this date gives us the message to stay united and move forward https://t.co/ugFLOzroE4 pic.twitter.com/fK0Cwc2KG2
— ANI (@ANI) November 9, 2019PM Modi: Today is 9th November, the day when Berlin wall was brought down. Today the #KartarpurCorridor was also inaugurated. Now the Ayodhya verdict, so this date gives us the message to stay united and move forward https://t.co/ugFLOzroE4 pic.twitter.com/fK0Cwc2KG2
— ANI (@ANI) November 9, 2019
এর পর বিতর্ক একাধিক বাঁকে মোড় নেয় । 2010 সালের 30 সেপ্টেম্বর বিতর্কিত জমির মালিকানা নিয়ে মামলার রায় দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট । বিরোধ মেটানোর জন্য 2.77 একর বিতর্কিত জমিকে মামলাকারী তিন পক্ষের মধ্যে ভাগ করার নির্দেশ দেয় আদালত । রামলালা বিরাজমান, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং নির্মোহী আখড়ার মধ্যে জমি ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত ।
কিন্তু, কোনও পক্ষই এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় মানতে চায়নি । তারা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে । হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট । 2017 - তে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কে এস কেহর পরামর্শ দেন আদালতের বাইরে আলোচনা করে বিরোধ মীমাংসা করা হোক । কিন্তু তা হয়নি । তারপর সে বছরের অগাস্টে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র-র নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয় । পরের বছর মামলাটির নতুন করে শুনানি শুরু হয় শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে । এই বেঞ্চেই টানা 40 দিন মামলার শুনানি চলে । গত মাসে শুনানি শেষে রায় দান স্থগিত রাখে শীর্ষ আদালত । এরপর আজ রায় দেয় আদালত ।
-
मुझे पूर्ण विश्वास है कि सर्वोच्च न्यायालय द्वारा दिया गया यह ऐतिहासिक निर्णय अपने आप में एक मील का पत्थर साबित होगा। यह निर्णय भारत की एकता, अखंडता और महान संस्कृति को और बल प्रदान करेगा।
— Amit Shah (@AmitShah) November 9, 2019 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">मुझे पूर्ण विश्वास है कि सर्वोच्च न्यायालय द्वारा दिया गया यह ऐतिहासिक निर्णय अपने आप में एक मील का पत्थर साबित होगा। यह निर्णय भारत की एकता, अखंडता और महान संस्कृति को और बल प्रदान करेगा।
— Amit Shah (@AmitShah) November 9, 2019मुझे पूर्ण विश्वास है कि सर्वोच्च न्यायालय द्वारा दिया गया यह ऐतिहासिक निर्णय अपने आप में एक मील का पत्थर साबित होगा। यह निर्णय भारत की एकता, अखंडता और महान संस्कृति को और बल प्रदान करेगा।
— Amit Shah (@AmitShah) November 9, 2019
শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, বিতর্কিত 2.77 একর জমিতে তৈরি হবে রামমন্দির ৷ জমির ভিতর ও বাইরের চত্বরের মালিকানা থাকবে ট্রাস্টের হাতে ৷ কিন্তু বিতর্কিত জমির মালিকানা থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ৷ বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রকে একটি ট্রাস্ট বোর্ড গঠন করতে হবে ৷ পাশাপাশি অযোধ্যাতেই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দেবে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার ৷
আজ রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, "মুসলিম সম্প্রদায় বিতর্কিত জমির উপর নিজেদের মালিকানার দাবি প্রমাণ করতে পারেনি ৷ বিতর্কিত জমিকে সম্পূর্ণ একটি কাঠামো হিসেবে গণ্য করা হবে ৷ বাবরি মসজিদ ফাঁকা জমিতে তৈরি হয়নি ৷" সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, "বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে আইন হয় না । বিতর্কিত এলাকায় প্রার্থনা করতেন মুসলিমরা । সেই অধিকার কেড়ে নিতে পারি না ।"
পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, মসজিদের নিচের স্থাপত্য ইসালামিক নয় ৷ পাশাপাশি, পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের রিপোর্টকে স্বীকৃতিও দেন বিচারপতিরা । পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের সর্বসম্মত রায় যদিও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে খুশি করতে পারেনি । তারা বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছে । যদিও রায় নিয়ে কংগ্রেস, BJP সকলেই সতর্ক মন্তব্য করেছে । শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ।
উল্লেখ্য, 1989 সালের 9 নভেম্বর পতন হয়েছিল বার্লিন প্রাচীরের । আর তার 30 বছর পর 9 নভেম্বর ঘোষণা হল অযোধ্যা মামলার রায় । তারিখের এই মেলবন্ধনের কথা উল্লেখ করেই প্রধানমন্ত্রী আজ নতুন ভারতের স্বপ্ন ফেরি করলেন ।