দিল্লি, 13 ডিসেম্বর : অযোধ্যা রায়ের সমস্ত রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ বৃহস্পতিবার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জির শুনানি হয় পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে ।
9 নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার ঐতিহাসিক রায়দানের পরই পুনর্বিবেচনার আর্জি জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে ৷ ওই মামলার রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং আবদুল নাজ়িরের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে 18টি আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতের কাছে ৷ আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল বোর্ড। মামলা দায়ের হয় নির্মোহী আখড়ার তরফেও ৷
বৃহস্পতিবার 'ইন চেম্বার হিয়ারিং' (বিচারপতির চেম্বারে শুনানি হয় । সংবাদমাধ্যম ও কোনও সাধারণ মানুষ অংশ নিতে পারেননি এই শুনানিতে) শুনানিতে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত । পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, ''আমরা আর্জি সংক্রান্ত সমস্ত নথি খতিয়ে দেখেছি ৷ রায় পুনর্বিবেচনার কোনও অর্থই খুঁজে পাইনি৷ ''
রায় পুনর্বিবেচনার আর্জির ক্ষেত্রে সাধারণত প্রত্যেক বিচারপতি সবটাই খুঁটিয়ে দেখেন ৷ কোনওরকম গলদ থাকলেই ফের তা প্রকাশ্যে শুনানি শুরু হয় ৷ বৃহস্পতিবারের রায়ের পর আবেদনকারীদের কাছে একটাই পথ ৷ তা হল 'কিউরেটিভ পিটিশন' ৷ তবে তার জন্যও একটা ভিত্তি থাকা দরকার ৷ অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরনের মামলার 'কিউরেটিভ পিটিশন' ব্যর্থ হয় ৷
গত 2 ডিসেম্বর অযোধ্যা রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জমা পড়ে । রায়ের পুনর্বিবেচনার প্রথম আর্জি জানান জামিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের উত্তরপ্রদেশের সভাপতি মৌলানা সৈয়দ আসাদ রশিদি । 9 ডিসেম্বর অপর একটি পিটিশন দাখিল করা হয় 40 জন বিশিষ্ট ব্যক্তির তরফে ৷ এঁদের মধ্যে রয়েছেন ইরফান হাবিব, হর্ষ মান্দার, জয়তী ঘোষ, নন্দিনী সুন্দর, জন দয়াল, শবনম হাসমি প্রমুখ ৷ প্রতিটি পুনর্বিবেচনার আর্জিই খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত ৷