দিল্লি, 21 অগাস্ট : চরম মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সুনন্দা পুষ্কর । ভিসেরা (দেহাংশ) পরীক্ষায় প্রতিটি দেহাংশে শুধু বিষই পাওয়া যায়নি, সুনন্দার শরীরের অন্তত 15টি জায়গায় ছিল আঘাতের চিহ্ন । অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ আদালতে একথাই জানিয়েছে ৷
শশী থারুরের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিই এর প্রধান কারণ বলে এদিন দাবি করে দিল্লি পুলিশ । পুলিশের অভিযোগ সুনন্দার উপর নিয়মিত অত্যাচার করতেন শশী থারুর । 2014 সালের 17 জানুয়ারি দিল্লির এক হোটেলে উদ্ধার হয় 52 বছর বয়সি সুনন্দার দেহ । ময়নাতদন্তে পাকস্থলীতে বিষ মেলে । ওয়াশিংটনে FBI-এর কাছে ভিসেরার নমুনা পাঠানো হয় । পাকস্থলী, প্লীহা, লিভার, কিডনি ও মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট পাঠায় তারা । রিপোর্টে বলা হয়, প্রত্যেকটি দেহাংশেই বিষ মিলেছে । বিষক্রিয়াই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ । সুনন্দা পুষ্কর হত্যা মামলায় এই মুহূর্তে জামিনে রয়েছেন শশী । তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 498এ এবং 306 ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ।
বিশেষ বিচারপতি অজয় কুমার কুহারকে দিল্লি পুলিশ এদিন জানায়, সুনন্দা পুষ্করের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর সারা শরীরে বিশেষ করে হাতে ও পায়ে 15টি আঘাতের চিহ্ন ছিল । বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি অতুল শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত অশান্তির জেরে সুনন্দা মৃত্যুর কয়েকদিন আগে থেকেই চরম মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন ৷
অতুল শ্রীবাস্তব আরও জানান, পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহর তারারের সঙ্গে শশীর ঘনিষ্ঠতার অনেক প্রমাণ রয়েছে । নিকট বন্ধুদের কাছে সুনন্দার অভিযোগ ছাড়াও পাওয়া গেছে মেহর তারার-কে পাঠানো শশী থারুরের ই-মেইল যেখানে ওই সাংবাদিককে কংগ্রেস সাংসদ ‘মাই ডার্লিংয়েস্ট’, (আমার প্রিয়তমা) বলে সম্বোধন করেছেন । শশী থারুরের আইনজীবী বিকাশ পাহওয়া অবশ্য সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন । মামলার পরবর্তী শুনানি 31 অগাস্ট ।