চণ্ডীগড়, 22 অগাস্ট : উৎসবের দিনেও যেন নাশকতার গন্ধ ।
দিল্লিতে যখন বিস্ফোরক-সহ জঙ্গি গ্রেপ্তার, ঠিক সেদিনই সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে BSF-র গুলির সংঘর্ষ । নিকেশ পাঁচ অনুপ্রবেশকারী । পঞ্জাবের তরণ তারণের খেমকরণ সীমান্তে পাকিস্তানের জিক থেকে ওই পাঁচজন কাঁটাতারের বেড়া টপকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল । চারিদিক তখন অন্ধকার । ঘড়িতে 4টে 45-এর কাছাকাছি । অন্ধকারকে কাজে লাগিয়ে সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছিল বলে BSF-এর প্রাথমিক অনুমান ।
BSF-এর তরফে জানানো হয়েছে, আজ ভোরের দিকে ঝোপের আড়ালে সন্দেহভাজন কিছু নজরে আসে । তখনই ওই এলাকা ঘিরে ফেলে তারা । প্রথমে মাইকে ঘোষণা । তারপর শূন্যে গুলি । অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে চেষ্টা করেন BSF-এর জওয়ানরা । কিন্তু জওয়ানদের সেই সতর্কবাণীকে তোয়াক্কা করেনি তারা । তখনই বাধ্য হয়ে গুলি চালায় BSF । ঘটনাস্থানেই পাঁচজনের মৃত্যু হয় । এই অনুপ্রবেশকারীরা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি BSF । কী উদ্দেশ্যে অনুপ্রবেশ, তা'ও স্পষ্ট জানা যায়নি । এই ঘটনার সঙ্গে কোনও বড়সড় নাশকতার ছক ছিল কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
দিল্লিতে যখন বিস্ফোরক-সহ জঙ্গি গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘেটেছে, সেদিন এই ঘটনা- এই দুইয়ের মধ্যে কোনও মিল আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা । বেশকিছুদিন ধরেই সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে আসছিল দিল্লি । যদিও সেই দাবিকে কখনওই মেনে নেয়নি ইসলামাবাদ । উলটে ভারতীয় সেনা বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছিল ইমরান খান প্রশাসন । কিন্তু সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই দিল্লির সেই অভিযোগকেই আরেকবার স্বীকৃতি দিল বলে মনে করা হচ্ছে ।