মুম্বই, 26 অক্টোবর : মহারাষ্ট্র শাসনে চাই সমান ক্ষমতা ৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহ ক্ষমতার সমবণ্টনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ শিবসেনার দাবি এবার সেই ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলাতে শিলমোহর দিতে হবে BJP-কে ৷ জোটের উভয় দলকে আড়াই বছর করে রাজ্য শাসনের সুযোগ দিতে হবে ৷
আজ উদ্ধব ঠাকরের মাতুশ্রীর বাড়িতে শিবসেনার 56 জন বিধায়ক মিলে বৈঠক করেন ৷ সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, BJP-র শীর্ষ নেতৃত্বর সই করা একটি সম্মতিপত্র দেওয়া উচিত শিবসেনাকে ৷ যেখানে অমিত শাহ ও উদ্ধব ঠাকরের মধ্যে হওয়া সেই ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলাকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হবে ৷
বৈঠক শেষে, শিবসেনা নেতা প্রতাপ সারনায়েক বলেন, "বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় জোটের উভয় দলকে পাঁচ বছরের মধ্যে অর্ধেক সময় অর্থাৎ আড়াই বছর করে রাজ্য শাসনের সুযোগ দিতে হবে ৷ এক্ষেত্রে BJP-র তরফে লিখিত আশ্বাস দেওয়া উচিত উদ্ধব ঠাকরেকে ৷"
শিবসেনা নেতা মহেশ সিন্দে বলেন, "যুবসেনার সভাপতি আদিত্য ঠাকরে মহারাষ্ট্রের যুবসমাজের প্রতিনিধি ৷ আজকের যুবসমাজ দলে চাইছে তরুণ-তুর্কি নেতাদের ৷ তাই আদিত্য ঠাকরের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত ৷"
যদিও অন্যসুরে গাইছেন মহারাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী তথা BJP নেতা আশিস সেলার ৷ তাঁর বক্তব্য, "সরকার গঠনে কোনও সংশয় নেই ৷ BJP ও শিবসেনা উভয় লড়েছে এবং নির্বাচনে জিতেছে ৷ আমরা আবার সরকার গড়ব ৷ জোটে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটাই কার্যকর হবে ৷"
মহারাষ্ট্রের মোট 288টি আসনের মধ্যে BJP জিতেছে 105টি, শিবসেনার দখলে 56টি আসন । জোটের মোট আসন 161৷ ম্যাজিক ফিগার 145 থেকে প্রায় 16 টি আসন বেশি৷ তবে গতবারের তুলনায় দু'দলেরই আসন সংখ্যা কমেছে । অন্যদিকে কংগ্রেসের জোট এবার 100 পেরিয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই BJP-কে পরোক্ষে চাপ দেওয়া শুরু করেছে শিবসেনা ৷ বৃহস্পতিবার নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই আদিত্য ঠাকরকে ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়ে মহারাষ্ট্রের নানা এলাকায় পোস্টার লাগানো শুরু হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, ওরলি থেকে দাঁড়িয়েছিলেন আদিত্য ঠাকরে ৷ 66,000-র বেশি ভোটে জিতেছেন তিনি ৷ ঠাকরে পরিবারে আদিত্যই প্রথম যিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন এবং জিতলেনও । স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, তাহলে কি রাজ্যের মসনদে ঠাকরে পরিবারের কাউকে বসানোর উদ্দেশ্য নিয়েই আদিত্যকে ভোটে দাঁড় করানো হয়েছিল ?
অন্যদিকে, BJP সূত্রে খবর দেবেন্দ্র ফড়নবিশই আবার মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন ৷ তা হয়তো 30 অক্টোবর BJP বিধায়কদের বৈঠকেই ঠিক হবে ৷ আপাতত ক্ষমতার টানাপোড়েনেই লুকিয়ে মহারাষ্ট্রের ভবিষ্যত শাসক ৷