ETV Bharat / bharat

প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে ভারতের আত্মনির্ভরতা - প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন

ফেব্রুয়ারি মাসে লখনউয়ে প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন , দেশের লক্ষ্য হল, আগামী পাঁচ বছরে এই খাতে 35 হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করা । সেক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার লক্ষ্যে সরকার প্রতিরক্ষা খাতে স্বয়ংক্রিয় রুটে 74 শতাংশ পর্যন্ত FDI—এর অনুমোদন দিয়েছে ।

defense production
প্রতিরক্ষা সামগ্রী
author img

By

Published : Oct 11, 2020, 2:05 PM IST

2014 সালে ভারতের প্রতিরক্ষায় রপ্তানি ছিল অন্তত 2 হাজার কোটি টাকার । গত দুই বছরে আমরা 17 হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রপ্তানি করেছি । ফেব্রুয়ারি মাসে লখনউয়ে প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন , দেশের লক্ষ্য হল, আগামী পাঁচ বছরে এই খাতে 35 হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করা । প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি পুর্নবার সেই লক্ষ্যের কথা সুনিশ্চিত করেছেন এবং একাধিক উদ্যোগ চালু করেছেন, যাতে প্রতিরক্ষা খাতে আরও বেশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) আনা যায় ।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (MoD) তরফে বিশ্বের 75-এরও বেশি দেশ থেকে 200 জন রাষ্ট্রদূত সম্বলিত একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল । ভারত , রাশিয়া, জাপান, ইজ়রায়েল এবং অ্যামেরিকা থেকে 70 শতাংশ উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন সামরিক হার্ডওয়্যার আমদানি করে । 2014 সালে প্রধানমন্ত্রী পদের দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিরক্ষায় সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন । যার মাধ্যমে সেই সব অস্ত্রের উপকরণ, সাবসিস্টেম এবং যন্ত্রাংশ দেশেই তৈরি করার পথ সুনিশ্চিত হয় । 2014 সাল পর্যন্ত ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি অ্যান্ড প্রোমোশনের তরফে 210টি লাইসেন্স জারি করা হয়েছে । প্রায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে , সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 460 । দ্বিতীয় বৃহত্তম সমরাস্ত্র আমদানিকারক দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারত রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে 23 তম স্থানে রয়েছে । আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের অঙ্গ হিসাবে প্রকাশিত "ডিফেন্স প্রোডাকশন অ্যান্ড এক্সপোর্ট প্রোমোশন পলিসি 2020 "-র খসড়ায় এই অস্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্য রাখা হয়েছে । প্যানডেমিকের ভয়াবহতার জেরে , দেশে বর্তমানে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের আরও বাস্তবায়ন প্রয়োজন । অন্যদিকে , সেনাবাহিনীকে আত্মনির্ভর করতে কেন্দ্রের উচিত উচ্চমানের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া ।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার লক্ষ্যে সরকার প্রতিরক্ষা খাতে স্বয়ংক্রিয় রুটে 74 শতাংশ পর্যন্ত FDI—এর অনুমোদন দিয়েছে । মার্চ মাসে, MoD একটি খসড়া "ডিফেন্স প্রোকিওরমেন্ট প্রসিডিওর" উন্মোচন করে , যেখানে নতুন একটি নিয়মের আওতায় যুদ্ধজাহাজ এবং পরিবহনকারী আকাশযানের মতো সামগ্রী লিজ়ে দেওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয় । আত্মনির্ভর ভারতকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে MoD আমদানি নিষিদ্ধ , এমন 101টি পণ্যের একটি তালিকা প্রস্তুত করে । এই নিষেধাজ্ঞা 2020 থেকে 2024 সালের মধ্যে ধীরে ধীরে কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে । এখনও পর্যন্ত ডজন ডজন অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি, সরকারি প্রতিরক্ষা সংগঠন এবং DRDO—র পরীক্ষাগারে এই বিষয়ে খুব কমই অগ্রগতি হয়েছে ।

1992 সালে দশ বছর মেয়াদের একটি আত্মনির্ভর পরিকল্পনা , যা তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা , ড. এ পি জে আবদুল কালামের নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছিল । ভারতের প্রতিরক্ষা সামগ্রী প্রস্তুতির জন্য কয়েকটি প্রধান বিষয়ের উল্লেখ ছিল । কিন্তু সেইসব বিষয় পরবর্তী সব সরকার এড়িয়ে গিয়েছে । তবে দেরিতে নজর পড়লেও বর্তমানে কেন্দ্রের উচিত, প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন এবং রপ্তানিতে কার্যকারী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটিয়ে নতুন দিগন্ত লাভ করা । ব্যবসা যাতে সহজে করা যায়, সেই সুবিধার আরও উন্নতি করে এবং মাঝপথ থেকে আমলাতান্ত্রিক বাধা দূরে সরিয়ে রেখে, সরকার বৈদেশিক বিনিয়োগ আরও বাড়াতে পারে । প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর হওয়ার স্বপ্নকে অনুভব করা ও পূরণ করার জন্য ভারতকে এই পথেই পা বাড়াতে হবে ।

2014 সালে ভারতের প্রতিরক্ষায় রপ্তানি ছিল অন্তত 2 হাজার কোটি টাকার । গত দুই বছরে আমরা 17 হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রপ্তানি করেছি । ফেব্রুয়ারি মাসে লখনউয়ে প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন , দেশের লক্ষ্য হল, আগামী পাঁচ বছরে এই খাতে 35 হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করা । প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি পুর্নবার সেই লক্ষ্যের কথা সুনিশ্চিত করেছেন এবং একাধিক উদ্যোগ চালু করেছেন, যাতে প্রতিরক্ষা খাতে আরও বেশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) আনা যায় ।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (MoD) তরফে বিশ্বের 75-এরও বেশি দেশ থেকে 200 জন রাষ্ট্রদূত সম্বলিত একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল । ভারত , রাশিয়া, জাপান, ইজ়রায়েল এবং অ্যামেরিকা থেকে 70 শতাংশ উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন সামরিক হার্ডওয়্যার আমদানি করে । 2014 সালে প্রধানমন্ত্রী পদের দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিরক্ষায় সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন । যার মাধ্যমে সেই সব অস্ত্রের উপকরণ, সাবসিস্টেম এবং যন্ত্রাংশ দেশেই তৈরি করার পথ সুনিশ্চিত হয় । 2014 সাল পর্যন্ত ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি অ্যান্ড প্রোমোশনের তরফে 210টি লাইসেন্স জারি করা হয়েছে । প্রায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে , সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 460 । দ্বিতীয় বৃহত্তম সমরাস্ত্র আমদানিকারক দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারত রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে 23 তম স্থানে রয়েছে । আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের অঙ্গ হিসাবে প্রকাশিত "ডিফেন্স প্রোডাকশন অ্যান্ড এক্সপোর্ট প্রোমোশন পলিসি 2020 "-র খসড়ায় এই অস্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্য রাখা হয়েছে । প্যানডেমিকের ভয়াবহতার জেরে , দেশে বর্তমানে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের আরও বাস্তবায়ন প্রয়োজন । অন্যদিকে , সেনাবাহিনীকে আত্মনির্ভর করতে কেন্দ্রের উচিত উচ্চমানের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া ।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার লক্ষ্যে সরকার প্রতিরক্ষা খাতে স্বয়ংক্রিয় রুটে 74 শতাংশ পর্যন্ত FDI—এর অনুমোদন দিয়েছে । মার্চ মাসে, MoD একটি খসড়া "ডিফেন্স প্রোকিওরমেন্ট প্রসিডিওর" উন্মোচন করে , যেখানে নতুন একটি নিয়মের আওতায় যুদ্ধজাহাজ এবং পরিবহনকারী আকাশযানের মতো সামগ্রী লিজ়ে দেওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয় । আত্মনির্ভর ভারতকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে MoD আমদানি নিষিদ্ধ , এমন 101টি পণ্যের একটি তালিকা প্রস্তুত করে । এই নিষেধাজ্ঞা 2020 থেকে 2024 সালের মধ্যে ধীরে ধীরে কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে । এখনও পর্যন্ত ডজন ডজন অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি, সরকারি প্রতিরক্ষা সংগঠন এবং DRDO—র পরীক্ষাগারে এই বিষয়ে খুব কমই অগ্রগতি হয়েছে ।

1992 সালে দশ বছর মেয়াদের একটি আত্মনির্ভর পরিকল্পনা , যা তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা , ড. এ পি জে আবদুল কালামের নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছিল । ভারতের প্রতিরক্ষা সামগ্রী প্রস্তুতির জন্য কয়েকটি প্রধান বিষয়ের উল্লেখ ছিল । কিন্তু সেইসব বিষয় পরবর্তী সব সরকার এড়িয়ে গিয়েছে । তবে দেরিতে নজর পড়লেও বর্তমানে কেন্দ্রের উচিত, প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন এবং রপ্তানিতে কার্যকারী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটিয়ে নতুন দিগন্ত লাভ করা । ব্যবসা যাতে সহজে করা যায়, সেই সুবিধার আরও উন্নতি করে এবং মাঝপথ থেকে আমলাতান্ত্রিক বাধা দূরে সরিয়ে রেখে, সরকার বৈদেশিক বিনিয়োগ আরও বাড়াতে পারে । প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর হওয়ার স্বপ্নকে অনুভব করা ও পূরণ করার জন্য ভারতকে এই পথেই পা বাড়াতে হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.