সুরাত, 17 এপ্রিল: দেশ যখন কোরোনায় জর্জরিত, তখন আশার আলো দেখাল গুজরাত বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার ৷ তারা কোরোনা ভাইরাসের জিনোমের সম্পূর্ণ সিকোয়েন্স তৈরিতে সফল হয়েছে ৷
দেশের মধ্যে গুজরাত প্রথম রাজ্য, যাদের সরকারি ল্যাবরেটরিতে জিনোম সিকোয়েন্স তৈরি হল ৷ এই জিনোম সিকোয়েন্স তৈরির ফলে ভাইরাসের উৎস, ওষুধের কার্যকারিতা, ভ্যাকসিন এবং ভাইরুলেন্সের সঙ্গে যোগসাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ৷
গতকালই গুজরাতের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি জয়ন্তী রাভি জানান এই সংবাদ ৷ এরপরই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও গবেষকদের প্রশংসা করে বলা হয়, ‘‘গুজরাত বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার, দেশের একমাত্র ল্যাব যা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স তৈরিতে সক্ষম হয়েছে ৷ তাদের এই সাফল্যে গর্বিত রাজ্য ৷’’
-
Gujarat is proud of scientists at Gujarat Biotechnology Research Centre (GBRC), the only State Govt laboratory in India that has reported COVID19 whole genome sequence which will be helpful in tracking origin, drug targets, vaccine & association with virulence.#IndiaFightsCorona
— CMO Gujarat (@CMOGuj) April 15, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">Gujarat is proud of scientists at Gujarat Biotechnology Research Centre (GBRC), the only State Govt laboratory in India that has reported COVID19 whole genome sequence which will be helpful in tracking origin, drug targets, vaccine & association with virulence.#IndiaFightsCorona
— CMO Gujarat (@CMOGuj) April 15, 2020Gujarat is proud of scientists at Gujarat Biotechnology Research Centre (GBRC), the only State Govt laboratory in India that has reported COVID19 whole genome sequence which will be helpful in tracking origin, drug targets, vaccine & association with virulence.#IndiaFightsCorona
— CMO Gujarat (@CMOGuj) April 15, 2020
জিনোম সিকুয়েন্সের ফলে কী লাভ হবে?
সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং কোনও একটি নির্দিষ্ট জীবের জিনোমের সম্পূর্ণ DNA অনুক্রম নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয় ।
কোরোনাভাইরাস জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পদ্ধতিতে আক্রান্ত রোগীদের কাছ থেকে নমুনা নেওয়া হয়, যারা নিশ্চিতভাবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং পরীক্ষায় ফল পজ়িটিভ এসেছে ৷ এই নমুনাগুলিকেই সিকোয়েন্সিং সেন্টারে পাঠানো হয় ।
ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা ভারতে দুই প্রজাতির বাদুড়ের দেহে কোরোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করতে পেরেছে ৷ বাদুড়ের এই প্রজাতিগুলির উপর পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন, যাতে নতুন ভাইরাসের স্টেইনগুলি থেকে ভবিষ্যতে কোনও মারণ রোগ ছড়াতে না পারে ৷
ভারতে ইতিমধ্যে 13387 জন কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৷ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলছে লাগাতার পরীক্ষা ৷ গতকাল ICMR-র তরফ থেকে তিন লাখের উপর স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হয়েছে ৷