ঈশ্বর কণা থেকে ব্ল্যাকহোল, সিনথেটিক DNA থেকে মানব শরীরে এপিজেনোম ম্যাপিং । এই দশককে যা যা দিল বিজ্ঞান...
2019
- দীর্ঘ এক দশকের গবেষণা চিকিৎসাশাস্ত্রে সাফল্য নিয়ে এল । এই বছর এপ্রিলে চালু হয় প্রোগ্রাম ম্যালেরিয়া ভ্যাক্সিন প্রোগ্রাম । এবছরই গুগুলের ইঞ্জিনিয়ররা কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করলেন ।
- ব্ল্যাক হোল । এক দশকের চেষ্টা সফল । এবছরই ক্যামেরাবন্দী হল ব্ল্যাকহোলের ছবি । দেখতে গাঢ় অন্ধকারে আলোর আংটি । পৃথিবী থেকে 54 মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে । পরিধি 6.5 বিলিয়ন সংখ্যক সূর্যের সমান ।
2018
- বিজ্ঞানীরা প্রত্যক্ষ করেন যে কার্বন ডাই অক্সাইড তার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে । জলবায়ু গবেষকরাও দেখতে পান যে অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ডের বরফ অপ্রত্যাশিত হারে গলতে শুরু করেছে । যা আগামী দিন বিশ্বকে এক ভয়ানক পরিস্থিতির সম্মুখীন করবে ।
2017
- সিন্থেটিক DNA তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা । তা প্রয়োগ করা হয় ই-কোলি ব্যাকটেরিয়ার শরীরে । রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি বড় দিশা হতে পারে এটি । DNA সাধারণত দুই প্রকারের হয় । অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে একটি a-t (অ্যাডেনিন - থাইমিন) ও আরেকটি g-c (গুয়ানিন - সাইটোসিন) । এবার উঠে এল আরেকটি নতুন টাইপ x-y ।
2016
- 1916 সালে 100 বছর আগে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের ব্যাখ্যা দিয়ে গেছিলেন বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন । কিন্তু তখনও কিছুটা ধোঁয়াশা ছিল । 100 বছর পেরিয়ে 2016 সাল আমেরিকা ও ইতালির গবেষণা সংস্থার সৌজন্যে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ প্রমাণ হল । দু'টির মধ্যে সংঘর্ষকে প্রত্যক্ষ করল গবেষণা সংস্থাগুলি । প্রত্যক্ষ করা গেল মহাকর্ষীয় তরঙ্গের অস্তিত্ব ।
2015
- মানব শরীরে এপিজেনোম ম্যাপিং করেন বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের জন্য । সাধারণত কেমিক্যাল ও প্রোটিন দিয়ে তৈরি এটি । DNA- র সঙ্গে সংযুক্ত করানো হয় । এর মাধ্যমে কিভাবে টিউমার বৃদ্ধি পান । ক্যান্সার ছড়ায় তা জানা যায় । পাশাপাশি প্লুটো অভিযান চালায় NASA ।
2014
- 27 মার্চ পোলিও মুক্ত ভারত হিসেবে ঘোষণা করে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) । যাকে বিল গেটসকে ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম সাফল্য হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন ।
2013
- মার্চে মঙ্গলে অভিযান চালিয়ে জলের পাশাপাশি সালফার, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, ফসফরাস ও কার্বন পায় বিজ্ঞানীরা । এগুলি জীবনধারনের অন্যতম উপাদান ।
2012
- হিগস বোসন বা ঈশ্বর কণা । প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এই রহস্যময় কণার সন্ধানে পদার্থবিজ্ঞানীরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন । এই দীর্ঘ যাত্রার সফল পরিণতি হিসেবে 4 জুলাইয়ে পাওয়া যায় হিগস কণা । যেটির নামকরণ করা হয় বিখ্যাত বিজ্ঞানী পিটার হিগসের নাম অনুসারে । হিগস বোসন সম্পর্কে তাঁদের তত্ত্বগুলো ব্যাখ্যা করে দেখাল । পৃথিবীর সব পদার্থের ভরের উৎস কোথায় । বিশ্বের সব বস্তুর প্রকৃতি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পেতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করল তত্ত্বটি ।
- পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় পিটার ও তাঁর সহকারীকে ।
2011
- চাঁদের মাটিতে সর্ববৃহৎ রোভার পাঠায় NASA । চাঁদের মাটিতে জলের অস্তিত্ব আছে কিনা বা আবহাওয়া কেমন তা দেখানো ছিল এই রোভারের লক্ষ্য ।
- পাশাপাশি 2011 সালের নভেম্বরে NASA-র কেপলার মিশন । পৃথিবীর মতো আর একটি বাসযোগ্য অঞ্চলের হদিশ মেলে । পাওয়া যায় তরলের সন্ধান। কেপলার ২২- b ৬০০ আলোক বর্ষ দূরে ।
আরও পড়ুন : বছরের বিজ্ঞাননামা