দিল্লি,31 জুলাই : সুপ্রিম কোর্ট সোমবার ঝাড়খণ্ড সরকারকে ধর্মীয় স্থানগুলি খোলার বিষয়ে আরও একবার বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। আনলকের প্রথম দফাতেই অন্যান্য রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দিয়েছেন। তাই এই বিষয়ে ঝাড়খণ্ড সরকারকে পুনরায় চিন্তা করতে বলেছে ঝাড়খণ্ড আদালত।
3 জুলাই ঝাড়খণ্ড আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে, কোরোনার কারণে দেওগড়ের বৈদ্যনাথ মন্দিরে বার্ষিক শ্রাবণ মেলা করা যাবে না। এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে,বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট মামলা করেন BJP সাংসদ নিশীকান্ত দুবে। পাশাপাশি তিনি আবেদন করেন দেওগড় থেকে 40 কিলোমিটার দূরে বসুকিনাথ মন্দিরটিও খোলার জন্য। সোমবার বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি হয়।
বিচারপতি অরুণ মিশ্র লক্ষ্য করেছিলেন যে ই-দর্শন (এইচ সি এর নির্দেশ অনুসারে) বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে ভক্তদের একটি সীমিত উপায়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। ঝাড়খণ্ড আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছিল যে ঝাড়খণ্ডে 31 অগস্ট পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে । ক্রমবর্ধমান কোরোনার কারণে মন্দির এবং মসজিদও বন্ধ থাকবে। তবে, পুজোর আচারবিধি সম্পাদনের জন্য মন্দিরের ভিতরে 30,000 পুরোহিত প্রবেশে করতে পারবেন। এবার প্রশ্ন ওঠে ভক্তদের কেন প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ঝাড়খণ্ড আদালত যুক্তি দিয়েছিলেন যে উৎসবের ঠিক 2 দিন আগে আদেশ প্রত্যাহার করলে পুরো বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
শীর্ষ আদালত যদিও ঝাড়খণ্ড আদালতের আদেশের বিষয়টিকে স্থগিত করেনি বা বার্ষিক অনুষ্ঠান করার নির্দেশও দেয়নি। তবে, বলেছে ,রাজ্যকে অবশ্যই উপাসনালয়গুলিকে খোলা নিয়ে পুনরায় বিবেচনা করতে হবে । এছাড়া রাজ্যই সর্বশেষ উৎসব পরিচালনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ।