দিল্লি, ৪ মার্চ : এয়ার স্ট্রাইকের পর সমঝোতা এক্সপ্রেসের প্রথম সফরে যাত্রী হল মাত্র ১২ জন। প্রত্যেকেই পাকিস্তানের নাগরিক। তাঁদের মধ্যে ১০ জন স্লিপার কোচে ও দু'জন AC-৩ টিয়ার কোচে টিকিট কেটেছেন।
RPF-র ইন্সপেক্টর মনোজ কুমার বলেন, "মোট ১২ জন যাত্রী যাচ্ছেন। অন্যবারের থেকে এবার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। ডগ স্কয়্যাড নিয়ে এসে যাত্রীদের ব্যাগ পরীক্ষা করা হয়েছে।" যদিও পুলওয়ামা হামলার পর দু'দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রেনের যাত্রীরা। তেমনই একজন হলেন নাসিমুদ্দিন। বিবির সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন। কিন্তু, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁদের আগেভাগেই ভারত ছাড়তে হচ্ছে। তাঁরা বলেন, "৬ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের ভিসা ছিল। কিন্তু, তার আগেই ভারতে ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।" একই বক্তব্য অন্য যাত্রীদেরও।
উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ৪০ জন CRPF জওয়ান শহিদ হন। ঘটনার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানের সাহায্যপ্রাপ্ত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের বালাকোটে জইশের তিনটি ট্রেনিং ক্যাম্পে অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান। দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। সেদিনই সমঝোতা এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করে দেয় পাকিস্তান। দু'দিন পর ভারতও অনির্দিষ্টকালের জন্য সমঝোতা এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করে দেয়। ইতিমধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডারকে নিজেদের হেপাজতে রাখা নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে রেষারেষি চরমে পৌঁছায়। পরে উইং কমান্ডারকে ছেড়ে দেওয়া হলে দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ কিছুটা কমে। তারপর গতকাল থেকে সমঝোতা এক্সপ্রেস চালু করা হয়।
![undefined](https://s3.amazonaws.com/saranyu-test/etv-bharath-assests/images/ad.png)