দিল্লি, 10 অগাস্ট : দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করার পর এই প্রথমবার গান্ধি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন সচিন পাইলট । গত প্রায় এক মাস ধরে চলা তাঁর বিদ্রোহের জেরে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার অস্তিত্ব সংকটে পড়ে গেছিল । অশোক গেহলতের নেতৃত্বাধীন রাজস্থান সরকার আদৌ টিকবে কি না তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয় । এরই মাঝে আজ রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি ।
কী কী বিষয়ে সচিন পাইলটের ক্ষোভ রয়েছে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর । সেই সংক্রান্ত একটি বিশেষ প্যানেলও তৈরি হবে বলে কথা হয়েছে । পাশাপাশি অশোক গেহলতের কাজ করার পদ্ধতি নিয়েও পর্যালোচনা করার বিষয়ে কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে । জানা গেছে, রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী ও সেরাজ্যের কংগ্রেস সভাপতির পদও ফিরে পেতে চলেছেন তিনি । টানা প্রায় দু'ঘণ্টা তাঁদের মধ্যে কথা হয় ।
জুলাইয়ে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে মুখ খুলেছিলেন সচিন পাইলট ৷ দাবি করেছিলেন, 30 জন কংগ্রেস বিধায়ক-সহ বেশ কয়েকজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে ৷ এরপরই তড়িঘড়ি বিধায়ক দলের বৈঠক ডেকেছিলেন অশোক গেহলত । নামে বিধায়ক দলের বৈঠক হলেও আদতে তা ছিল গেহলত অনুগামীদের বৈঠক ৷ নিজের শক্তি পরীক্ষা করার জন্যই তিনি এই বৈঠক ডেকেছিলেন ৷
দলের অভ্যন্তরে সমস্যা এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে উপমুখ্যমন্ত্রী ও রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সচিন পাইলটকে ।
অভিযোগ, কংগ্রেসের মুখ হিসেবে উঠে আসার সম্ভাবনা থাকলেও নানা সময় নানা ভাবে দলের ভিতরেই সচিন পাইলটকে কোণঠাসা করে দেওয়া বলে অভিযোগ । রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে বলে মনে করেছিলেন অনেকেই ৷ কিন্তু, তা না করে অশোক গেহলতকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব দেওয়া হয় ৷ আর সচিন পাইলটকে করা হয় উপমুখ্যমন্ত্রী ৷ সবকিছু মিলিয়েই দলের মধ্যেই দু'টি বিভাজন স্পষ্ট হয়ে ওঠে ।
এদিকে আজকের বৈঠকের পর রাজস্থানের কংগ্রেস শিবির কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ ।