জয়পুর, 11 অগাস্ট : তাঁর সঙ্গে গেহলতের সংঘাতের অবসান হতে চলেছে । গতকালই তার ইঙ্গিত মিলেছিল । আজ তা অনেকটা স্পষ্ট করে দিলেন সচিন পাইলট । এক মাস পর রাজস্থানে ফিরে সচিন আজ জানালেন, দলের প্রতি তাঁর কোনও তিক্ততা নেই । তিনি দলের একজন অনুগত সৈনিক । রাজ্য সরকারের কোনও পদ পাওয়ার প্রত্যাশাও করছেন না । তবে তিনি ভেবেছিলেন, সংকটের সময় পরিবারের প্রধান (পড়ুন গেহলত) সবাইকে এক ছাতার তলায় এনে সমাধান করবেন ।
সচিনের কথায়, ''আমি কোনও পদের কথা বলিনি । আমি বলার চেষ্টা করেছি, রাজনীতিতে প্রতিহিংসার কোনও জায়গা থাকা উচিত নয় । যে বিধায়করা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন, তাঁরাও যেন প্রতিহিংসার শিকার না হন ।''
তিনি আরও জানান, দিল্লিতে হাইকমান্ডের সঙ্গে বৈঠকে দলের বিরুদ্ধে কোনও খারাপ কথা বলেননি । তাঁর উদ্দেশ্য ছিল সমস্যাগুলোকে হাইকমান্ডের কাছে তুলে ধরা ।
নিজেকে দলের অনুগত সৈনিক আখ্যা দিয়ে পাইলট বলেন, ''আমার দলের কাছে কোনও দাবি নেই । আমি একজন বিধায়ক ও পার্টি কর্মী । দল যে কাজ দেবে, করব । তবে যে সব কথা আমাকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছিল, তাতে আমি মর্মাহত হয়েছিলাম ।''
আজ জয়পুরে পাইলট নিজের বাড়িতে ফেরা মাত্র তাঁকে বরণ করে নেন অনুগামী-সমর্থকরা । ফুলের মালায় তাঁকে স্বাগত জানানো হয় ।
অন্যদিকে জয়সলমিরে রাজস্থান কংগ্রেসের বিধায়ক দলের বৈঠক শুরু হয়েছে । সেখানে উপস্থিত রয়েছেন দিল্লি থেকে আসা কংগ্রেসের কয়েকজন নেতাও । মিটিঙের বিষয়বস্তু কী তা জানা যায়নি । তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, সচিন তাঁর পুরোনো পদ ফিরে পাবেন কি না তা এই বৈঠকের পর স্পষ্ট হয়ে যাবে ।
প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে সচিন ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী গেহলতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে জয়পুর ছেড়েছিলেন। যার পদক্ষেপ হিসেবে সচিনকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেয় নেতৃত্ব। তাঁর সঙ্গে থাকা বিধায়কদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেই সময় শোনা যায় সচিন না কি BJP-তে যোগ দেবেন । এই পরিস্থিতিতে দলের সংঘাত মেটাতে পাইলটকে নিয়ে বৈঠক করলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা । তারপরই আজ জয়পুরে ফেরেন পাইলট ।