রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেডের তৈরি (HAL) হেলিকপ্টার রুদ্র প্রধানত অ্যাটাকিং হেলিকপ্টার ৷ ভারতীয় বায়ুসেনার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই এই আক্রমণকারী হেলিকপ্টার তৈরি করা হয়েছে ৷ ধ্রুব হেলিকপ্টারের একটি ওয়েপনাইজ়ড ভার্সন ৷ যা পৃথিবীর উচ্চমানের কয়েকটি সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে অন্যতম ৷ 2013 সালের ফেব্রুয়ারিতে HAL প্রথমবার ভারতীয় সেনার হাতে রুদ্র হেলিকপ্টার তুলে দেয় ৷ যার সর্বোচ্চ গতি 245 কিমি প্রতি ঘণ্টায় ৷
রুদ্র হল একমাত্র হেলিকপ্টার যেখান থেকে অস্ত্র বর্ষণ করা হয় ৷ সামনের দিকে রয়েছে লাইট মেশিন গান LMJ ৷ হেলিকপ্টারের দু'পাশে দু'টি করে চারটি মিজ়াইল রয়েছে ৷ আর রয়েছে রকেট লঞ্চার ৷ যার মধ্যে আছে 26টি সেন্সর ৷ আছে লাইট মেশিনগান, 4টি মিজ়াইল ও 24টি রকেট লঞ্চার বহনের ক্ষমতা । যেগুলি পাইলট ককপিটে বসেই সেন্সরের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারেন ৷
ভূমিকা:
অ্যান্টি ট্যাঙ্ক
স্কাউট
ফায়ার সাপোর্ট
সশস্ত্র পুনরুদ্ধার ও নজরদারি
এসকর্ট
EW প্ল্যাটফর্ম
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
সর্বোচ্চ গতি 245 কিমি প্রতি ঘণ্টায় ৷
বেশি উচ্চতায় উড়তে পারে ৷
প্রতি সেকেন্ডে 10.33 মিটার উঁচুতে উঠতে পারে ৷
সর্বোচ্চ কুড়ি হাজার ফিট উঁচুতে উড়তে সক্ষম রুদ্র হেলিকপ্টার ৷
দিন বা রাতে যে কোনওরকম আবহাওয়ায় সব ধরনের সামরিক অভিযান চালাতে সক্ষম ৷
কম রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ও উন্নত জ্বালানি ক্ষমতা সম্পন্ন হল রুদ্র ৷
ট্যাঙ্ক ভর্তি জ্বালানি নিয়ে একটানা 3 ঘণ্টা 48 মিনিট সময় পর্যন্ত উড়তে সক্ষম ৷
হাতিয়ার:
20 মিমি টরেট গান
70 মিমি রকেট সিস্টেম
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি 8টি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিজ়াইল
চারটি MBDA মিস্ট্রাল এয়ার টু এয়ার মিজ়াইল
দুটি টরপেডো বা ডেফট চার্জ (ন্যাভাল ভ্যারিয়েন্ট)
দুটি অ্যান্টি শিপ মিজ়াইল (ন্যাভাল ভ্যারিয়েন্ট)
মিশন সেন্সর:
ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার (EW) শুট
হেলমেট পয়েন্টিং সিস্টেম (HPS)
ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল (EO) pod.
ভিডিয়ো ও ডেটা রেকর্ডার (VDR)
ফ্লেয়ার ও চাফ ডিসপেনসার (FCD)
রুদ্র হেলিকপ্টার ওড়ানোর জন্য দু'জন পাইলটের প্রয়োজন ৷ পাশাপাশি এই হেলিকপ্টারে 12 জন যাত্রীও নেওয়া সম্ভব ৷ হেলিকপ্টারটি লম্বায় 15.87 মিটার, চওড়া 3.13 মিটার ৷ এর উচ্চতা 4.98 মিটার ৷ ওজন 4445 কেজি ৷ 155 কেজির জ্বালানির প্রয়োজন হয় ৷ দুটি HAL টার্বোম্যাকা 1H1 শক্তি ইঞ্জিন হল রুদ্রর প্রধান শক্তি ৷ হেলিকপ্টারটির ন্যাভাল ভ্যারিয়েন্টও একেবারে নৌসেনার প্রয়োজন মতো তৈরি করা হয়েছে ৷
2005-06 সালে HAL ধ্রুব হেলিকপ্টারটিকে খুব বেশি পরিবর্তন না করে একটি আর্মড ভ্যারিয়েন্ট তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয় ৷ সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী 2007 সালে HAL রুদ্রর প্রোটোটাইপ তৈরি করে পরীক্ষা করা হয় ৷ সেই পরীক্ষা সফল হওয়ার পর 2011 সালে ফের অস্ত্রসহ পরীক্ষা করা হয় ৷ সেই পরীক্ষা সফল হওয়ার পর 2012 সালের শেষদিকে সেনার উপযোগী প্রথম HAL রুদ্র হেলিকপ্টার তৈরি হয়ে যায় ৷