ETV Bharat / bharat

ধর্মীয় সহাবস্থান ও শান্তিনীতিতে জোর দিতেন গান্ধি - history mahatma gandhi

শান্তিনীতির সবথেকে বড় উদাহরণ ভারতের মতো বহুধর্মী সমাজের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ৷ অহিংস আন্দোলন ৷ যার নেতৃত্ব দেন গান্ধিজি ৷ মহাত্মা গান্ধি ছিলেন ধর্মীয় সহাবস্থান, সহনশীলতা, শ্রদ্ধা ও ভ্রাতৃত্বের প্রবক্তা ।

গান্ধিজি
author img

By

Published : Sep 15, 2019, 6:56 PM IST

Updated : Sep 15, 2019, 8:14 PM IST

ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখতে পারে একমাত্র দুই তরফের সদর্থক আলোচনা ৷ আর দেশে সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে শান্তিকেই ধর্মরূপে মানতেন ও রীতিমতো চর্চা করতেন মহাত্মা গান্ধি ৷ ধৈর্য ও শান্তি একে অপরের পরিপূরক ৷ ধৈর্য ছাড়া শান্তিনীতি চর্চা করা যায় না ৷ এই দুইয়ের অনুশীলনেই সমাজে শান্তিরক্ষা সম্ভব ৷ কোনও নেতিবাচক সময়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া মানুষের দৈনন্দিন জীবনে শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য সবচেয়ে বড় কারণ ৷

এই শান্তিরক্ষার প্রক্রিয়া অনেক ভাগে ভাগ করা যায় ৷ তবে, প্রত্যেক ভাগেই যে প্রধান বিষয়বস্তু তা হল যুদ্ধ ও হিংসার বিরোধ ৷ সমাজের এই বিষয়গুলি যদি শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটমাট করা যায় তবে, সামাজিক সাম্যতা বজায় থাকবে ৷ শান্তিবিদ টলস্টয়, গান্ধি, মার্টিন লুথার কিং - এর নীতি ছিল সমাজে ধর্মীয় শান্তি বজায় রাখা ৷ শান্তির নীতি সর্বদাই অহিংসা ও যুদ্ধ বিরোধী ৷

এই শান্তিনীতির সবথেকে বড় উদাহরণ ভারতের মতো বহুধর্মী সমাজের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ৷ অহিংস আন্দোলন ৷ যার নেতৃত্ব দেন গান্ধিজি ৷ মহাত্মা গান্ধি ছিলেন ধর্মীয় সহাবস্থান, সহনশীলতা, শ্রদ্ধা ও ভ্রাতৃত্বের প্রবক্তা । তিনি চেয়েছিলেন ভারতের হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায় রাজনীতি ও সমাজে সমান অংশীদারী থাকুক ৷ তিনি 1919 থেকে 1922 সাল পর্যন্ত খিলাফৎ আন্দোলনে যোগ দেন ও পূর্ণ সমর্থন করেন ৷

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় টার্কির খলিফাকে ব্রিটিশরা পদচ্যুত করার ফলে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে আন্দোলন শুরু করে ৷ সেই সময় গান্ধিজি ভারতীয় মুসলিমদের মনে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাবের ফলে তাদের খিলাফৎ আন্দোলনকে সমর্থন করেন ৷ পরে এই আন্দোলনে হিন্দুদের যোগদানের পরে স্বাধীনতার খিলাফৎ আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয় ৷ খিলাফৎ আন্দোলন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন হিসেবেও পরিচিত ৷ এই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ফলে সেই সময়ের হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্বের সমন্বয় হয়েছিল ৷ গান্ধিজি এই ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমন্বয়কেই হাতিয়ার করে হিন্দু - মুসলিমকে একত্রিত করে অহিংস ও অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন ৷

1920 সালে কলকাতায় কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে গান্ধিজির নীতিকে সমর্থন করা হয় ৷ পরবর্তীকালে নাগপুরে কংগ্রেসের পরবর্তী বার্ষিক অধিবেশনে এই নীতিকে নিশ্চিত করা হয় ৷ যদিও, বিশ্বব্যাপী এই ইসলামিক আন্দোলন ছড়িয়েছিল ৷ কিন্তু ইসলামিক বিশ্বের এই আন্দোলনে খিলাফৎ ইশুর তুলনায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইশু বেশি প্রভাব ফেলেছিল ৷ গান্ধিজি এই খিলাফৎ আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশদের বুঝিয়ে দেন ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বার্থে আঘাত হানলে প্রয়োজনে হিন্দু - মুসলিম একত্রিত হতে পারে ৷

আজকাল তথ্যপ্রযুক্তির যুগ, শিক্ষার যুগ ৷ একইসাথে বহুধর্মী, সাংস্কৃতিক, বহুজাতিক সমাজের যুগ ৷ এই বহুজাতিক সমাজে মানুষ মানুষের সঙ্গেই যুদ্ধে মেতেছে ৷ তবে, একজন সমাজ-সংস্কারক যথার্থই বলেছেন যে প্রকৃতি অভিন্নতা ঘৃণা করে ৷ বৈচিত্র্যের প্রতি সহনশীলতাই শান্তিপূর্ণ সমাজ তৈরি করতে পারে । আর এই শান্তিনীতি দিতে একমাত্র সক্ষম হয়েছে গান্ধিবাদী দর্শন ৷ গান্ধিজি এমন সমাজ তৈরি করতে চেয়েছিলেন যেখানে জাতিধর্ম নির্বিশেষে মানুষ একসাথে থাকতে পারবে ৷ যেখানে মানুষ মানুষের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠবে না ৷ শান্তিপূর্ণ ও নৈতিক জীবনযাপনের উপর সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন গান্ধিজি ।

ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখতে পারে একমাত্র দুই তরফের সদর্থক আলোচনা ৷ আর দেশে সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে শান্তিকেই ধর্মরূপে মানতেন ও রীতিমতো চর্চা করতেন মহাত্মা গান্ধি ৷ ধৈর্য ও শান্তি একে অপরের পরিপূরক ৷ ধৈর্য ছাড়া শান্তিনীতি চর্চা করা যায় না ৷ এই দুইয়ের অনুশীলনেই সমাজে শান্তিরক্ষা সম্ভব ৷ কোনও নেতিবাচক সময়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া মানুষের দৈনন্দিন জীবনে শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য সবচেয়ে বড় কারণ ৷

এই শান্তিরক্ষার প্রক্রিয়া অনেক ভাগে ভাগ করা যায় ৷ তবে, প্রত্যেক ভাগেই যে প্রধান বিষয়বস্তু তা হল যুদ্ধ ও হিংসার বিরোধ ৷ সমাজের এই বিষয়গুলি যদি শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটমাট করা যায় তবে, সামাজিক সাম্যতা বজায় থাকবে ৷ শান্তিবিদ টলস্টয়, গান্ধি, মার্টিন লুথার কিং - এর নীতি ছিল সমাজে ধর্মীয় শান্তি বজায় রাখা ৷ শান্তির নীতি সর্বদাই অহিংসা ও যুদ্ধ বিরোধী ৷

এই শান্তিনীতির সবথেকে বড় উদাহরণ ভারতের মতো বহুধর্মী সমাজের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ৷ অহিংস আন্দোলন ৷ যার নেতৃত্ব দেন গান্ধিজি ৷ মহাত্মা গান্ধি ছিলেন ধর্মীয় সহাবস্থান, সহনশীলতা, শ্রদ্ধা ও ভ্রাতৃত্বের প্রবক্তা । তিনি চেয়েছিলেন ভারতের হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায় রাজনীতি ও সমাজে সমান অংশীদারী থাকুক ৷ তিনি 1919 থেকে 1922 সাল পর্যন্ত খিলাফৎ আন্দোলনে যোগ দেন ও পূর্ণ সমর্থন করেন ৷

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় টার্কির খলিফাকে ব্রিটিশরা পদচ্যুত করার ফলে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে আন্দোলন শুরু করে ৷ সেই সময় গান্ধিজি ভারতীয় মুসলিমদের মনে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাবের ফলে তাদের খিলাফৎ আন্দোলনকে সমর্থন করেন ৷ পরে এই আন্দোলনে হিন্দুদের যোগদানের পরে স্বাধীনতার খিলাফৎ আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয় ৷ খিলাফৎ আন্দোলন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন হিসেবেও পরিচিত ৷ এই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ফলে সেই সময়ের হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্বের সমন্বয় হয়েছিল ৷ গান্ধিজি এই ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমন্বয়কেই হাতিয়ার করে হিন্দু - মুসলিমকে একত্রিত করে অহিংস ও অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন ৷

1920 সালে কলকাতায় কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে গান্ধিজির নীতিকে সমর্থন করা হয় ৷ পরবর্তীকালে নাগপুরে কংগ্রেসের পরবর্তী বার্ষিক অধিবেশনে এই নীতিকে নিশ্চিত করা হয় ৷ যদিও, বিশ্বব্যাপী এই ইসলামিক আন্দোলন ছড়িয়েছিল ৷ কিন্তু ইসলামিক বিশ্বের এই আন্দোলনে খিলাফৎ ইশুর তুলনায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইশু বেশি প্রভাব ফেলেছিল ৷ গান্ধিজি এই খিলাফৎ আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশদের বুঝিয়ে দেন ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বার্থে আঘাত হানলে প্রয়োজনে হিন্দু - মুসলিম একত্রিত হতে পারে ৷

আজকাল তথ্যপ্রযুক্তির যুগ, শিক্ষার যুগ ৷ একইসাথে বহুধর্মী, সাংস্কৃতিক, বহুজাতিক সমাজের যুগ ৷ এই বহুজাতিক সমাজে মানুষ মানুষের সঙ্গেই যুদ্ধে মেতেছে ৷ তবে, একজন সমাজ-সংস্কারক যথার্থই বলেছেন যে প্রকৃতি অভিন্নতা ঘৃণা করে ৷ বৈচিত্র্যের প্রতি সহনশীলতাই শান্তিপূর্ণ সমাজ তৈরি করতে পারে । আর এই শান্তিনীতি দিতে একমাত্র সক্ষম হয়েছে গান্ধিবাদী দর্শন ৷ গান্ধিজি এমন সমাজ তৈরি করতে চেয়েছিলেন যেখানে জাতিধর্ম নির্বিশেষে মানুষ একসাথে থাকতে পারবে ৷ যেখানে মানুষ মানুষের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠবে না ৷ শান্তিপূর্ণ ও নৈতিক জীবনযাপনের উপর সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন গান্ধিজি ।

Latur (Maharashtra), Sep 15 (ANI): Due to lack of rainfall in Latur region of Maharashtra, locals there submitted Lord Ganesha's idols to District Administration instead of immersing them in water. District Magistrate passed an order not to immerse the idols in view of lack of rainfall. Locals responded positively to the order and handover the idols to administration. Region has faced lack of rainfall this year.
Last Updated : Sep 15, 2019, 8:14 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.