আলাপ্পুজহা, (কেরালা), 17 অগাস্ট : কেরালার আলাপ্পুজাহা বিধ্বংসী বন্যাতেও মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছে ইনাডু রামোজি গ্রুপের তৈরি করা বিপর্যয়-রোধক বাড়িগুলি ৷ 2018-19 সালে বিধ্বংসী বন্যায় জেলার গৃহহীন মানুষদের পুর্নবাসনের জন্য তেলাঙ্গানার রামোজি গ্রুপ 121টি বাড়ি বানিয়ে দিয়েছিল ৷
‘‘I am for Alappey’’ প্রোগ্রামের অধীনে 2018-এর বন্যায় যারা বাড়ি হারিয়েছিলেন তাদের এই বাড়িগুলি দান করা হয় ৷ তখন এই প্রোগ্রামটির প্রধান ছিলেন সাব কালেক্টর ভি আর কৃষ্ণা তেজা ৷
মাত্র 8 মাসের মধ্যে বাড়িগুলি তৈরি করা হয়েছিল ৷ রামোজি গ্রুপ স্থানটির ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য এবং ভূখণ্ডকে মাথায় রেখে বন্যা প্রতিরোধক বাড়িগুলি তৈরি কার হয়েছিল । বাড়িগুলি বানানোর জন্য বিশেষ ভাসমান ইটের ব্যবহার করা হয় ৷ বন্যার ঝুঁকি কমাতে বাড়ির বেসমেন্টটি স্থল থেকে দেড় মিটার উপরে স্থাপন করা হয় ।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন পরিবারগুলিকে 121টি বাড়ির চাবি তুলে দেন ৷ নিচু জমি হলেও রামোজি গ্রুপের তৈরি ও বিতরণ করা বাড়িগুলি চলতি বছরের ভারী বৃষ্টিপাত অবলীলায় সামলে নিয়েছে ৷
লতা শঙ্করানকুট্টি 2018 সালের ভয়াবহ বন্যায় নিজের বাড়ি হারিয়েছিলেন ৷ ‘‘I am for Alappey’’প্রোগ্রামের অধীনে তিনি বাড়ি পান ৷ খারাপ সময়ের কথা স্মরণ করে আলাপ্পুজহার নেদুমুদি এলাকার শঙ্করানকুট্টি প্রাক্তন সাব কালেক্টর ভি আর কৃষ্ণা তেজাকে সম্প্রতি একটি চিঠি দিয়েছেন ৷ সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘ স্যার, এই সময় আমার বাড়ি বন্যায় ভেসে যায়নি ৷ আপনাকে ধন্যবাদ ৷’’
একই আবেগ দেখা গেছে আলাপ্পুজহার এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ৷ রামোজি গ্রুপের বন্যা প্রতিরোধি বাড়িগুলি তাদের বন্যা থেকে বাঁচতে সাহায্য করেছে ৷
হাউস বোট, বোট রেসের জন্যই বেশি পরিচিত আলাপ্পুজহা ৷ এখানে বন্যার হাত থেকে বাঁচা খুব কঠিন ৷ ভারী বৃষ্টিপাত এবং পূর্ব থেকে জল প্রবাহ সাধারণত আলাপ্পুজহার বেশিরভাগ জায়গাকে ডুবিয়ে দেয় ।
বর্তমানে কেরালা সরকার একই জাতীয় আবাসন গড়ে তুলছে , যা জলজমা প্রতিরোধ করতে পারে ৷ প্রতিটি বন্যার আগে বাসিন্দাদের এই স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তার থেকে এই বাড়িগুলি অনেকটাই ভালো কাজ করে ৷