দিল্লি, 29 জানুয়ারি : ট্র্যাক্টর ব়্যালি ঘিরে হিংসা কিছু সময়ের জন্য পরিস্থিতি বদলে দিয়েছিল । তিনটি কৃষক সংগঠন আন্দোলন থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় । সীমান্ত থেকে অনেক কৃষকই ফিরে যেতে শুরু করেন । আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান হয়ে ওঠেন অনেকেই । সেই সময় একটা দৃশ্য আবার বদলে দিল ছবিটা । সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের কান্নাই হয়ে উঠল টার্নিং পয়েন্ট । ফের গাজিয়াবাদ সীমান্তে ভিড় করতে শুরু করেন কৃষকরা ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, 26 জানুয়ারি বিক্ষোভকারী কৃষকরা নিজেদের মিছিলের রুট ভেঙে ট্র্যাক্টর নিয়ে ও হেঁটে দিল্লিতে ঢুকে পড়ে । সেখানে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ । তখনই পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে । আইটিও এলাকায় ধুন্ধুমার বাঁধার পর লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন বিক্ষোভরত কৃষকরা । সেখানে নিজেদের পতাকাও তুলে দেন তাঁরা । যদিও হিংসার ঘটনায় তাঁদের কোনও হাত নেই বলে দাবি করেন কৃষক নেতারা । সে দিনের ঘটনায় 300-র বেশি পুলিশকর্মী জখম হন ।
আরও পড়ুন : আন্দোলনে অনড় কৃষকরা, গাজিপুর সীমান্তে মোতায়েন আরও পুলিশকর্মী
এদিকে ওই ঘটনার পর থেকেই অনেকটা ব্যাকফুটে রয়েছেন কৃষক সংগঠনের নেতারা । উত্তরপ্রদেশ-দিল্লি সীমান্তে যাতে আর কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার জন্য গতকাল বিকেল থেকেই বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় । পরিস্থিতি খারাপ হতে দেখে আন্দোলন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একাধিক কৃষক । এমনকী আন্দোলন স্থান ছেড়ে ফিরে যান অনেকেই ।
আর ঠিক সেই সময় ফিরে যাওয়া কৃষকদের ফের আন্দোলনমুখী করতে বাধ্য করে রাকেশের কান্না । গতকাল সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, "আমি আত্মসমর্পণ করব না । প্রয়োজনে গ্রাম থেকে প্রতিবাদস্থলে আরও কৃষকদের যোগ দিতে বলব । আমি অনশনে বসব । যতক্ষণ না আইন প্রত্যাহার হচ্ছে ততক্ষণ কোথাও যাব না । দরকারে আত্মহত্যা করব । কিন্তু আন্দোলন বন্ধ করব না । কৃষকদের মারার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপির লোকেরা ।" এই কথা বলার সময় ধরে আসে তাঁর গলা । কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি । আর সেই ভিডিয়ো মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ায় ।
আরও পড়ুন : 'কৃষক বিদ্রোহে' জখম পুলিশকর্মীদের কুর্নিশ জানাতে হাসপাতালে শাহ
টিকাইতের এই কান্নাই বদলে দেয় গোটা পরিস্থিতি । কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় শ'খানেক মানুষ তাঁর সমর্থনে তাঁর উত্তরপ্রদেশের বাড়ির বাইরে স্লোগান দিতে শুরু করেন । এমনকী, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তাঁর ভাই নরেশ টিকাইতের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ দেখা গিয়েছিল । পুলিশের লাঠি খাওয়ার থেকে বিক্ষোভস্থান খালি করে দেওয়াই ভালো বলে জানিয়েছিলেন নরেশ ।
-
कल होगी महापंचायत!
— Naresh Tikait (@NareshTikait_) January 28, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
राकेश टिकैत को गिरफ्तार करने की धमकी देनेवाले सुन लें कि उन्हें बाबा टिकैत के एक-एक सिपाही को गिरफ्तार करना पड़ेगा, एक-एक किसान को गिरफ्तार करना पड़ेगा।
जय जवान! जय किसान! pic.twitter.com/zVgHOEWMk4
">कल होगी महापंचायत!
— Naresh Tikait (@NareshTikait_) January 28, 2021
राकेश टिकैत को गिरफ्तार करने की धमकी देनेवाले सुन लें कि उन्हें बाबा टिकैत के एक-एक सिपाही को गिरफ्तार करना पड़ेगा, एक-एक किसान को गिरफ्तार करना पड़ेगा।
जय जवान! जय किसान! pic.twitter.com/zVgHOEWMk4कल होगी महापंचायत!
— Naresh Tikait (@NareshTikait_) January 28, 2021
राकेश टिकैत को गिरफ्तार करने की धमकी देनेवाले सुन लें कि उन्हें बाबा टिकैत के एक-एक सिपाही को गिरफ्तार करना पड़ेगा, एक-एक किसान को गिरफ्तार करना पड़ेगा।
जय जवान! जय किसान! pic.twitter.com/zVgHOEWMk4
এদিকে রাকেশের কান্নার ভিডিয়ো সামনে আসতেই গতরাতে একটি টুইট করেন নরেশ । সেখানে তিনি লেখেন, "রাকেশ টিকাইতকে যাঁরা গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছিলেন তাঁরা শুনে নিন । এবার তাঁদের বাবা টিকাইতের সব সিপাহীকে গ্রেপ্তার করতে হবে । এক একজন কৃষককে গ্রেপ্তার করতে হবে তাঁদের । জয় কিষান !"
পাশাপাশি আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া একাধিক কৃষককে ফের গতরাতে গাজিপুর সীমান্তে জমায়েত করতে দেখা যায় । রাত 11টা নাগাদ মেরঠ, ভাগপত, মুরাদনগরসহ একাধিক জায়গা থেকে কয়েকশো কৃষক গাজিপুরের দিকে রওনা দেন । এছাড়া রাকেশের ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজ়েনদের একাংশের সমালোচনার মুখে পড়েন আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া কৃষকরা । নেতাকে একা ছেড়ে তাঁদের আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ঠিক হয়নি বলে জানান নেটিজ়েনরা । আজ কৃষকদের ‘মহাপঞ্চায়েত’ বা বড়সড় একটি বৈঠক হওয়ার কথা । সেখান থেকেই আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির হবে বলে জানা গিয়েছে ।