ETV Bharat / bharat

কৃষি বিল পাশ করাতে রাজ্যসভায় নিয়ম লঙ্ঘন ? কী বলছে RSTV ফুটেজ - কৃষি বিল 2020

কৃষি বিলের ভোট নিয়ে বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছে, রাজ্যসভার নিয়ম ভাঙা হয়েছিল । কিন্তু কেন্দ্রের বয়ান ছিল অন্য। সম্প্রতি সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসায় কেন্দ্রের বয়ান নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে ।

rajyasabha
rajyasabha
author img

By

Published : Sep 27, 2020, 4:16 PM IST

দিল্লি, 27 সেপ্টেম্বর : কৃষি বিলের পাশের সময় মানা হয়েছিল সংসদের নিয়ম ? কেন্দ্রের দাবি ছিল, নিয়ম মেনেই ভোট হয়েছে । যদিও বিরোধীদের বক্তব্য ভিন্ন । সম্প্রতি রাজ্যসভা টিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম । সেক্ষেত্রে যে তথ্য সামনে আসছে , তার সঙ্গে সরকারের বয়ানে যথেষ্টই পার্থক্য রয়েছে । মূলত যে দু'টি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে, ভোটের জন্য অধিবেশনের সময়সীমা বাড়ানো । দ্বিতীয়ত, ডিভিশন ভোটের দাবির সময় বিরোধীরা আসনেই ছিলেন ।

20 সেপ্টেম্বর রাজ্যসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয় কৃষি বিল । বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রের বিলের সমর্থনে যথেষ্ট সংখ্যা ছিল না । সেই কারণেই ধ্বনিভোটে কৃষি বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । ধ্বনিভোটের বদলে ফিজ়িকাল ভোট হলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যেত । রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সিং সরকারের সঙ্গে মিলে ধ্বনিভোটে বিল পাশ করিয়েছেন বলেও অভিযোগ করে বিরোধীরা । যদিও কেন্দ্র এবং হরিবংশ সিং বারবার দাবি করেছেন, নিয়ম মেনেই ভোট হয়েছে । ফিজ়িকাল ভোটে দাবি করার সময় বিরোধীরা নিজস্ব আসনে ছিলেন না ।

কৃষি বিল সেইদিন রাজ্যসভায় পেশ হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধীরা । তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন সহ মোট আটজন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয় । অভিযোগ ছিল, তাঁরা সংসদের নিয়ম ভেঙেছেন । বিক্ষোভ দেখিয়েছেন । কিন্তু নিজেদের দাবি থেকে সরেননি বিরোধীরা । তাঁদের অভিযোগ ছিল, অগণতান্ত্রিকভাবে বিল পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে । রাজ্যসভা টিভির ব্রডকাস্টিং কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করা হয় । যাতে দেশ এই অন্যায় দেখতে না পায়, অভিযোগ করেছিলেন ডেরেক ।

বিক্ষোভ শুরু হয় দুপুর 1টা নাগাদ । বিরোধীরা অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র বিল পাশ করানোর জন্য অধিবেশনের সময়সীমা বাড়ানো হয় । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন । বিরোধীদের মতামত নেননি ।

সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি ফুটেজ খতিয়ে দেখে । সেখানে কী দেখা যাচ্ছে ?

দুপুর 1টা 3 মিনিটে বিরোধী নেতা গুলাম নবি আজ়াদ বলছেন, "আজ সময়সীমা বাড়ানো যাবে না । আগামীকাল মন্ত্রীরা উত্তর দিতে পারেন ।"

DMK সাংসদ ত্রিচি শিবা সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, সাধারণত সব পক্ষের মতামত নিয়ে অধিবেশনের সময় বাড়ানো হয় । কিন্তু ওইদিন বিরোধীদের দিকে একবার তাকাননি ডেপুটি চেয়ারম্যান । শুধু ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে তাকিয়েই সময় বাড়িয়ে দেন । রাজ্যসভার 37 নম্বর নিয়মের লঙ্ঘন হয় । যদিও পরে আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, "সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছিল । নিয়ম মেনেই বিল পাশের জন্য অধিবেশনের সময় বাড়াতে চেয়েছিলেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী । এটি সংসদে সাধারণভাবেই হয়ে থাকে ।"

রাজ্যসভা টিভির ফুটেজে দেখা যায়, ডিভিশন ভোটের দাবি জানানোর সময় সাংসদরা তাঁদের আসনেই ছিলেন । 1টা 10 মিনিটের ফুটেজে দেখা যায়, সাংসদ ত্রিচি শিবা তাঁর আসনেই রয়েছেন । ডিভিশন ভোটের দাবি জানাচ্ছেন । সাংসদ কেকে রাগেশ দুপুর 1টা 11-এ তাঁরা আসনে ছিলেন । তিনিও ডিভিশন ভোটের দাবি জানান । কিন্তু ধ্বনিভোটে তাঁর দাবি উপেক্ষিত হয় ।

রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট বিরোধীদের, ধরনা তুললেন 8 সাংসদ


কিন্তু রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, ডিভিশন ভোটের দাবি জানানোর সময় বিরোধীরা আসনে ছিলেন না । এইদিকে রাজ্যসভা টিভির ফুটেজ অন্য কথা বলছে । তবে কি ডেপুটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ সত্যি ? উঠছে সেই প্রশ্নই ।

ছিঁড়তে গেলেন রুল বুক, কৃষি বিলের প্রতিবাদে ওয়েলে ডেরেক

দিল্লি, 27 সেপ্টেম্বর : কৃষি বিলের পাশের সময় মানা হয়েছিল সংসদের নিয়ম ? কেন্দ্রের দাবি ছিল, নিয়ম মেনেই ভোট হয়েছে । যদিও বিরোধীদের বক্তব্য ভিন্ন । সম্প্রতি রাজ্যসভা টিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম । সেক্ষেত্রে যে তথ্য সামনে আসছে , তার সঙ্গে সরকারের বয়ানে যথেষ্টই পার্থক্য রয়েছে । মূলত যে দু'টি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে, ভোটের জন্য অধিবেশনের সময়সীমা বাড়ানো । দ্বিতীয়ত, ডিভিশন ভোটের দাবির সময় বিরোধীরা আসনেই ছিলেন ।

20 সেপ্টেম্বর রাজ্যসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয় কৃষি বিল । বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রের বিলের সমর্থনে যথেষ্ট সংখ্যা ছিল না । সেই কারণেই ধ্বনিভোটে কৃষি বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । ধ্বনিভোটের বদলে ফিজ়িকাল ভোট হলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যেত । রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সিং সরকারের সঙ্গে মিলে ধ্বনিভোটে বিল পাশ করিয়েছেন বলেও অভিযোগ করে বিরোধীরা । যদিও কেন্দ্র এবং হরিবংশ সিং বারবার দাবি করেছেন, নিয়ম মেনেই ভোট হয়েছে । ফিজ়িকাল ভোটে দাবি করার সময় বিরোধীরা নিজস্ব আসনে ছিলেন না ।

কৃষি বিল সেইদিন রাজ্যসভায় পেশ হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধীরা । তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন সহ মোট আটজন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয় । অভিযোগ ছিল, তাঁরা সংসদের নিয়ম ভেঙেছেন । বিক্ষোভ দেখিয়েছেন । কিন্তু নিজেদের দাবি থেকে সরেননি বিরোধীরা । তাঁদের অভিযোগ ছিল, অগণতান্ত্রিকভাবে বিল পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে । রাজ্যসভা টিভির ব্রডকাস্টিং কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করা হয় । যাতে দেশ এই অন্যায় দেখতে না পায়, অভিযোগ করেছিলেন ডেরেক ।

বিক্ষোভ শুরু হয় দুপুর 1টা নাগাদ । বিরোধীরা অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র বিল পাশ করানোর জন্য অধিবেশনের সময়সীমা বাড়ানো হয় । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন । বিরোধীদের মতামত নেননি ।

সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি ফুটেজ খতিয়ে দেখে । সেখানে কী দেখা যাচ্ছে ?

দুপুর 1টা 3 মিনিটে বিরোধী নেতা গুলাম নবি আজ়াদ বলছেন, "আজ সময়সীমা বাড়ানো যাবে না । আগামীকাল মন্ত্রীরা উত্তর দিতে পারেন ।"

DMK সাংসদ ত্রিচি শিবা সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, সাধারণত সব পক্ষের মতামত নিয়ে অধিবেশনের সময় বাড়ানো হয় । কিন্তু ওইদিন বিরোধীদের দিকে একবার তাকাননি ডেপুটি চেয়ারম্যান । শুধু ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে তাকিয়েই সময় বাড়িয়ে দেন । রাজ্যসভার 37 নম্বর নিয়মের লঙ্ঘন হয় । যদিও পরে আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, "সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছিল । নিয়ম মেনেই বিল পাশের জন্য অধিবেশনের সময় বাড়াতে চেয়েছিলেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী । এটি সংসদে সাধারণভাবেই হয়ে থাকে ।"

রাজ্যসভা টিভির ফুটেজে দেখা যায়, ডিভিশন ভোটের দাবি জানানোর সময় সাংসদরা তাঁদের আসনেই ছিলেন । 1টা 10 মিনিটের ফুটেজে দেখা যায়, সাংসদ ত্রিচি শিবা তাঁর আসনেই রয়েছেন । ডিভিশন ভোটের দাবি জানাচ্ছেন । সাংসদ কেকে রাগেশ দুপুর 1টা 11-এ তাঁরা আসনে ছিলেন । তিনিও ডিভিশন ভোটের দাবি জানান । কিন্তু ধ্বনিভোটে তাঁর দাবি উপেক্ষিত হয় ।

রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট বিরোধীদের, ধরনা তুললেন 8 সাংসদ


কিন্তু রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, ডিভিশন ভোটের দাবি জানানোর সময় বিরোধীরা আসনে ছিলেন না । এইদিকে রাজ্যসভা টিভির ফুটেজ অন্য কথা বলছে । তবে কি ডেপুটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ সত্যি ? উঠছে সেই প্রশ্নই ।

ছিঁড়তে গেলেন রুল বুক, কৃষি বিলের প্রতিবাদে ওয়েলে ডেরেক

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.