ETV Bharat / bharat

'সমীহ' পেতে একাধিক বিয়ে, বিচিত্র প্রথা উত্তরপ্রদেশের এই গ্রামে

''সম্মান'' পেতে একাধিক বিয়ের রীতি উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে ৷

বিয়ে
author img

By

Published : Jul 22, 2019, 10:08 AM IST

লখিমপুর (উত্তরপ্রদেশ), 22 জুলাই : বহুবিবাহ প্রথা রদের আইন চালু হয়েছে প্রায় 150 বছর আগে ৷ কিন্তু দেশেরই একটি জায়গায় এখনও চালু কৌলিন্য প্রথা ! একাধিক স্ত্রী নিয়ে 'সুখে সংসার' করছেন একাধিক বাসিন্দা । উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার ফতেপুর গ্রাম ৷ এমন ঘটনায় অবাক হয়েছেন অনেকেই ৷

এই গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবারের ''কর্তা''-র দুই থেকে তিন জন স্ত্রী ৷ অনেকেই গ্রামের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করেন । সেই সূত্রে পরিবারের থেকে অনেক দূরেই থাকেন তাঁরা । কর্মস্থানে শান্তিতে থাকতে সেখানেও তাঁরা আরও একটি বিয়ে করেছেন । আর তাতেই নাকি গ্রামে 'সম্মান বজায়' থাকে তাঁদের । তবে এঁরা কিন্তু বেশিরভাগই রাজ্য সরকারি কর্মী৷ তাই বাইরে কারও সামনে বহুবিবাহ প্রথা বলার বিষয়ে লুকোছাপাও রয়েছে ৷ কারণ সরকারি কর্মীর একাধিক স্ত্রী জানলে চাকরি যেতে বাধ্য ৷

কারও ক্ষেত্রে একই বাড়িতে আলাদা আলাদা ঘরে রয়েছেন তিন জন বা দু'জন স্ত্রী ৷ স্থানীয়দের মত, শুধুমাত্র সমীহ আদায় করতেই নাকি এই প্রথা ! প্রায় 30টি ব্রাহ্মণ ও ঠাকুর পরিবার রয়েছে গ্রামে, যাঁদের প্রত্যেকেরই তিনজন স্ত্রী ৷ সম্প্রতি একজন স্কুল শিক্ষক মারা গেছেন, তাঁর তিনজন স্ত্রী রয়েছে ৷ এই পরিবারের প্রত্যেক পুরুষেরই তিনজন স্ত্রী ৷

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি সংবাদসংস্থাকে বলেন, অনেক সময়েই দরিদ্র পরিবারের মেয়েকে ‘উদ্ধার’ করতে ‘হাত’ বাড়িয়ে দিয়েছেন অর্থবান প্রৌঢ় বা বৃদ্ধরা । আবার ‘ভবিষ্যৎ নিশ্চিন্ত’ হবে ভেবে এমন বিয়েতে রাজিও হন অনেক মহিলা ৷ কারণ বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা হলে দরিদ্র পরিবারটি মোটা অঙ্কের অর্থ পায়, ''জামাই''-এর অর্থে অন্নসংস্থান হয়ে যায় ৷

স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, পঞ্চায়েতের সৌজন্যে এমন ব্যবস্থা রয়েছে, যাতে স্বামীর মৃত্যু হলে প্রত্যেক স্ত্রী সম্পত্তির সমানাধিকার পান ৷ তবে সময় বদলাচ্ছে ৷ গ্রামের আধুনিক যুবকদের অনেকেই এই প্রথা মানতে পারেন না বলে শহরেই চলে যাচ্ছেন ৷

একাধিক বিবাহের ''যুক্তি'' হিসেবে বছর পঁচাত্তরের সুন্দরলাল শুক্লা বলেন, ''আমার প্রথম স্ত্রী বিতোনাই খুব ঝগড়ুটে ছিলেন ৷ বারবারই ঘর ছেড়ে চলে যেতেন । অনেক বোঝানোর পর আবার ফিরে আসতেন । এ সব দেখে আমাকে দ্বিতীয় বিয়ের পরামর্শ দেন আত্মীয়রা । বিয়ের খবর পেয়েই আমার প্রথম স্ত্রী ঘরে ফিরে আসেন । পঞ্চায়েতের পরমার্শে আমিও জমিজমা দুই স্ত্রীর মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দিয়েছি ।''

লখিমপুর (উত্তরপ্রদেশ), 22 জুলাই : বহুবিবাহ প্রথা রদের আইন চালু হয়েছে প্রায় 150 বছর আগে ৷ কিন্তু দেশেরই একটি জায়গায় এখনও চালু কৌলিন্য প্রথা ! একাধিক স্ত্রী নিয়ে 'সুখে সংসার' করছেন একাধিক বাসিন্দা । উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার ফতেপুর গ্রাম ৷ এমন ঘটনায় অবাক হয়েছেন অনেকেই ৷

এই গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবারের ''কর্তা''-র দুই থেকে তিন জন স্ত্রী ৷ অনেকেই গ্রামের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করেন । সেই সূত্রে পরিবারের থেকে অনেক দূরেই থাকেন তাঁরা । কর্মস্থানে শান্তিতে থাকতে সেখানেও তাঁরা আরও একটি বিয়ে করেছেন । আর তাতেই নাকি গ্রামে 'সম্মান বজায়' থাকে তাঁদের । তবে এঁরা কিন্তু বেশিরভাগই রাজ্য সরকারি কর্মী৷ তাই বাইরে কারও সামনে বহুবিবাহ প্রথা বলার বিষয়ে লুকোছাপাও রয়েছে ৷ কারণ সরকারি কর্মীর একাধিক স্ত্রী জানলে চাকরি যেতে বাধ্য ৷

কারও ক্ষেত্রে একই বাড়িতে আলাদা আলাদা ঘরে রয়েছেন তিন জন বা দু'জন স্ত্রী ৷ স্থানীয়দের মত, শুধুমাত্র সমীহ আদায় করতেই নাকি এই প্রথা ! প্রায় 30টি ব্রাহ্মণ ও ঠাকুর পরিবার রয়েছে গ্রামে, যাঁদের প্রত্যেকেরই তিনজন স্ত্রী ৷ সম্প্রতি একজন স্কুল শিক্ষক মারা গেছেন, তাঁর তিনজন স্ত্রী রয়েছে ৷ এই পরিবারের প্রত্যেক পুরুষেরই তিনজন স্ত্রী ৷

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি সংবাদসংস্থাকে বলেন, অনেক সময়েই দরিদ্র পরিবারের মেয়েকে ‘উদ্ধার’ করতে ‘হাত’ বাড়িয়ে দিয়েছেন অর্থবান প্রৌঢ় বা বৃদ্ধরা । আবার ‘ভবিষ্যৎ নিশ্চিন্ত’ হবে ভেবে এমন বিয়েতে রাজিও হন অনেক মহিলা ৷ কারণ বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা হলে দরিদ্র পরিবারটি মোটা অঙ্কের অর্থ পায়, ''জামাই''-এর অর্থে অন্নসংস্থান হয়ে যায় ৷

স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, পঞ্চায়েতের সৌজন্যে এমন ব্যবস্থা রয়েছে, যাতে স্বামীর মৃত্যু হলে প্রত্যেক স্ত্রী সম্পত্তির সমানাধিকার পান ৷ তবে সময় বদলাচ্ছে ৷ গ্রামের আধুনিক যুবকদের অনেকেই এই প্রথা মানতে পারেন না বলে শহরেই চলে যাচ্ছেন ৷

একাধিক বিবাহের ''যুক্তি'' হিসেবে বছর পঁচাত্তরের সুন্দরলাল শুক্লা বলেন, ''আমার প্রথম স্ত্রী বিতোনাই খুব ঝগড়ুটে ছিলেন ৷ বারবারই ঘর ছেড়ে চলে যেতেন । অনেক বোঝানোর পর আবার ফিরে আসতেন । এ সব দেখে আমাকে দ্বিতীয় বিয়ের পরামর্শ দেন আত্মীয়রা । বিয়ের খবর পেয়েই আমার প্রথম স্ত্রী ঘরে ফিরে আসেন । পঞ্চায়েতের পরমার্শে আমিও জমিজমা দুই স্ত্রীর মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দিয়েছি ।''

New Delhi, July 22 (ANI): YouTube has been reportedly slapped with a fine by the Federal Trade Commission (FTC) over violating federal data privacy laws for children. The agency has finalised a settlement which found that Google, YouTube's parent company, did not do enough to protect the privacy of children who use its video-streaming service, people familiar with the matter told The Washington Post. The settlement also claims that YouTube improperly collected children's data, breaching the Children's Online Privacy Protection Act (COPPA), which prohibits the tracking and targeting of users younger than 13. While the exact amount of the fine is unclear, YouTube is expected to pay multimillion-dollars in damages.
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.