ETV Bharat / bharat

দূষণ প্রতিরোধ কর্মসূচি নিয়ে যেতে হবে সামাজিক আন্দোলনের স্তরে

দূষণ । এই মুহূর্তে বিশ্বে অন্যতম একটি বড় সমস্যা । আর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিশ্বের মধ্যে পরিবেশ দূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ভারতে সব থেকে বেশি । যদি এখনই নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে ।

image
দূষণ
author img

By

Published : Dec 29, 2019, 10:40 AM IST

দূষণ । এই মুহূর্তে বিশ্বে অন্যতম একটি বড় সমস্যা । আর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিশ্বের মধ্যে পরিবেশ দূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ভারতে সব থেকে বেশি । যদি এখনই নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে । 40টি দেশের 400 সংস্থা দূষণ এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় । তাতে দেখা গিয়েছে, 2017 সালে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার 15 শতাংশ পরিবেশ দূষণের কারণে । বিস্ময়করভাবে দেখা গিয়েছে, তালিকার সব থেকে উপরে রয়েছে ভারত এবং চিন । এই দুই দেশেই পরিবেশ দূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা সব থেকে বেশি ।

2017 সালে গোটা বিশ্বে হঠাত্ করে মৃত্যু হয়েছিল 83 লাখ মানুষের । এর মধ্যে 23 লাখ ভারতের । ভারতের বিভিন্ন শহরের মৃত্যুর সংখ্যাও মারাত্মক । ভারতের পরই রয়েছে চিনের স্থান । সেখানে মৃতের সংখ্যা 18 লাখ । সেখানে অন্যান্য দেশের দিকে একবার চোখ বোলানো যাক । নাইজেরিয়ায় 2.79 লাখ, ইন্দোনেশিয়ায় 2.32 লাখ, পাকিস্তানে 2.23 লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবেশ দূষণের কারণে মৃতের সংখ্যা 2 লাখ । GAHP-র রিপোর্টে মোট দশটি দেশের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে । উপরের ছয়টি দেশ ছাড়া আরও চারটি দেশ হলবাংলাদেশ, রাশিয়া, ইথিওপিয়া, এবং ব্রাজিল । বিশ্বে পরিবেশ দূষণের কারণে প্রতি বছর যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার দুই-তৃতীয়াংশ হয় এই দশ দেশে । পরিবেশ দূষণের মধ্যে গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং কলকারখানার নির্গত গ্যাসের কু-প্রভাব সব থেকে বেশি । মোট মৃত্যুর 34 লাখ (40 শতাংশ)-এর মৃত্যুর কারণ এটাই ।

হঠাৎ মৃত্যু কোন কোন দেশে সব থেকে বেশি হচ্ছে (সামগ্রিকভাবে), সেটা হিসেব করা যায়, দেখা যাবে এই তালিকায় সব থেকে উপরে রয়েছে চিন, শতকরা 12.42 লাখ । এর পরই ভারতের স্থান, শতকরা 12.40 লাখ ।তবে এ প্রসঙ্গে একটা কথা বলতেই হবে, দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে চিন সদর্থক পদক্ষেপ করেছে । কলকারখানা এবং যে সব প্রতিষ্ঠান দূষণের জন্য দায়ী তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে, এর ফলে দূষণজনিত মৃত্যু চিনে গত দশ বছরে অনেকটাই কমে গিয়েছে । তবে এই সময়কালের মধ্যে ভারতে দূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা 23 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে । এর মূল কারণ, দূষণ রোধ এবং এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা । গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি আটটির মধ্যে একটি করে মৃত্যু হয় পরিবেশ দূষণের কারণে । আর দূষণের জেরে একজন মানুষের আয়ুকাল 1.7 বছর করে কমে যাচ্ছে । গত বছর ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) তাদের রিপোর্ট তুলে ধরেছে । যদিও কেন্দ্র এই রিপোর্টের বিষয়ে সহমত নয় । কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকর দাবি করেছেন, এই তথ্য সঠিক নয় । পাশাপাশি তিনি আয়ুকাল কমে যাওয়ার বিষয়ে নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন । সম্ভবত, মন্ত্রী বছর দুয়েক আগে CSE রিপোর্ট সম্পর্কেও অবগত নন । সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, 30 শতাংশ মৃত্যুর কারণ পরিবেশ দূষণ । সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক স্তরে গবেষণাও এই দিকেই আঙুল তুলেছে । তাতে দাবি করা হয়েছে, এক লাখের বেশি পরিবারে বায়ু দূষণের কারণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে ।

এখন প্রশ্ন এই হারে বায়ু দূষণের কারণ কী, এ প্রসঙ্গে GAHP কয়েকটি দিকের কথা উল্লেখ করেছে । তাতে বলা হয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ন এবং অপরিকল্পিত কলকারখানার কারণে দূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে । একই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে, বায়ুদূষণের প্রভাব পড়ছে জলের ক্ষেত্রেও । বলা হয়েছে, দূষিত জল খাদ্য শস্যের মধ্য দিয়ে মানব শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে । এ-ভাবেই দূষণ থাবা বসাচ্ছে আমাদের রান্না ঘরে । এতদিনে কিছুটা হলেও সম্বিত ফিরেছে কেন্দ্রীয় সরকারের । দূষণ রোধে তারা সক্রিয় হতে শুরু করেছে । বেশ কিছু পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে । যাতে দূষণ কোনওভাবেই মানব শরীরে আঘাত আনতে না পারে সে-জন্য আগাম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে । মানব-সৃষ্ট এমন বিপর্যয়ের কথা 25 বছর আগেই সতর্কতা করেছিল ASEAN উন্নয়নশীল ব্যাঙ্ক । সে সময় তারা সতর্ক করে জানিয়েছিল,এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্রুত পদক্ষেপ করা না হলে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে । এই বিপর্যয়েরকারণেই ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল, বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান একযোগে একটি রূপরেখা তৈরি করেছিল । কিন্তু, দুর্ভাগ্য এর কোনওটাই তেমনভাবে মানা হয়নি । ভারতের এই মনোভাবের আজ ফল ভুগতে হচ্ছে । এ বিষয়ে অন্য কাউক বলতে হবে না যে, বায়ু-স্থল-জল দূষণের কারণ কী । বিষয়টি নিয়ে আর কোনও তথ্যই তুলে ধরার দরকার নেই । সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত রিপোর্টেই এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে, তাতে বিশেষভাবে জল দূষণের কথা বলা হয়েছে । সতর্কতা করা হয়েছে, পাণীয় জলের বিশুদ্ধতা নিয়েও ।

দূষণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জল এবং বায়ু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই দুই ক্ষেত্রে দূষণের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে । কিন্তু, ভারতের প্রতিবেশী চিন এই দুই ক্ষেত্রেই দূষণে রোধে সদর্থক পদক্ষেপ করতে সক্ষম হয়েছে । ভারতের দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ যে সব সংস্থা প্রয়োজনীয় নিয়ম মানছে না, তাদের প্রতি একটা নির্দেশিকা জারি করেছে । তবে, কী ভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব সেটা ভগবানই জানেন । দূষণ সমস্যা মোকাবিলায় চিন পাঁচ বছরের বিশেষ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে । আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ডের মতো দেশ পরিবেশসচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি দেশবাসীকে বিশেষভাবে সংযুক্ত করছে । তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখারা চেষ্টা করে । ভারতের দূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে শুধু সরকারে ভূমিকার দিকে তাকিয়ে বসে থাকলে চলবে না । প্রতিটি অফিস, রাস্তা, জলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । শুধু আইন করে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব নয়, দূষণ রোধ করতে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটিকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে । আর তাতেই একমাত্র সাফল্য সম্ভব ।

দূষণ । এই মুহূর্তে বিশ্বে অন্যতম একটি বড় সমস্যা । আর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিশ্বের মধ্যে পরিবেশ দূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ভারতে সব থেকে বেশি । যদি এখনই নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে । 40টি দেশের 400 সংস্থা দূষণ এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় । তাতে দেখা গিয়েছে, 2017 সালে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার 15 শতাংশ পরিবেশ দূষণের কারণে । বিস্ময়করভাবে দেখা গিয়েছে, তালিকার সব থেকে উপরে রয়েছে ভারত এবং চিন । এই দুই দেশেই পরিবেশ দূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা সব থেকে বেশি ।

2017 সালে গোটা বিশ্বে হঠাত্ করে মৃত্যু হয়েছিল 83 লাখ মানুষের । এর মধ্যে 23 লাখ ভারতের । ভারতের বিভিন্ন শহরের মৃত্যুর সংখ্যাও মারাত্মক । ভারতের পরই রয়েছে চিনের স্থান । সেখানে মৃতের সংখ্যা 18 লাখ । সেখানে অন্যান্য দেশের দিকে একবার চোখ বোলানো যাক । নাইজেরিয়ায় 2.79 লাখ, ইন্দোনেশিয়ায় 2.32 লাখ, পাকিস্তানে 2.23 লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবেশ দূষণের কারণে মৃতের সংখ্যা 2 লাখ । GAHP-র রিপোর্টে মোট দশটি দেশের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে । উপরের ছয়টি দেশ ছাড়া আরও চারটি দেশ হলবাংলাদেশ, রাশিয়া, ইথিওপিয়া, এবং ব্রাজিল । বিশ্বে পরিবেশ দূষণের কারণে প্রতি বছর যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার দুই-তৃতীয়াংশ হয় এই দশ দেশে । পরিবেশ দূষণের মধ্যে গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং কলকারখানার নির্গত গ্যাসের কু-প্রভাব সব থেকে বেশি । মোট মৃত্যুর 34 লাখ (40 শতাংশ)-এর মৃত্যুর কারণ এটাই ।

হঠাৎ মৃত্যু কোন কোন দেশে সব থেকে বেশি হচ্ছে (সামগ্রিকভাবে), সেটা হিসেব করা যায়, দেখা যাবে এই তালিকায় সব থেকে উপরে রয়েছে চিন, শতকরা 12.42 লাখ । এর পরই ভারতের স্থান, শতকরা 12.40 লাখ ।তবে এ প্রসঙ্গে একটা কথা বলতেই হবে, দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে চিন সদর্থক পদক্ষেপ করেছে । কলকারখানা এবং যে সব প্রতিষ্ঠান দূষণের জন্য দায়ী তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে, এর ফলে দূষণজনিত মৃত্যু চিনে গত দশ বছরে অনেকটাই কমে গিয়েছে । তবে এই সময়কালের মধ্যে ভারতে দূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা 23 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে । এর মূল কারণ, দূষণ রোধ এবং এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা । গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি আটটির মধ্যে একটি করে মৃত্যু হয় পরিবেশ দূষণের কারণে । আর দূষণের জেরে একজন মানুষের আয়ুকাল 1.7 বছর করে কমে যাচ্ছে । গত বছর ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) তাদের রিপোর্ট তুলে ধরেছে । যদিও কেন্দ্র এই রিপোর্টের বিষয়ে সহমত নয় । কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকর দাবি করেছেন, এই তথ্য সঠিক নয় । পাশাপাশি তিনি আয়ুকাল কমে যাওয়ার বিষয়ে নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন । সম্ভবত, মন্ত্রী বছর দুয়েক আগে CSE রিপোর্ট সম্পর্কেও অবগত নন । সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, 30 শতাংশ মৃত্যুর কারণ পরিবেশ দূষণ । সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক স্তরে গবেষণাও এই দিকেই আঙুল তুলেছে । তাতে দাবি করা হয়েছে, এক লাখের বেশি পরিবারে বায়ু দূষণের কারণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে ।

এখন প্রশ্ন এই হারে বায়ু দূষণের কারণ কী, এ প্রসঙ্গে GAHP কয়েকটি দিকের কথা উল্লেখ করেছে । তাতে বলা হয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ন এবং অপরিকল্পিত কলকারখানার কারণে দূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে । একই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে, বায়ুদূষণের প্রভাব পড়ছে জলের ক্ষেত্রেও । বলা হয়েছে, দূষিত জল খাদ্য শস্যের মধ্য দিয়ে মানব শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে । এ-ভাবেই দূষণ থাবা বসাচ্ছে আমাদের রান্না ঘরে । এতদিনে কিছুটা হলেও সম্বিত ফিরেছে কেন্দ্রীয় সরকারের । দূষণ রোধে তারা সক্রিয় হতে শুরু করেছে । বেশ কিছু পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে । যাতে দূষণ কোনওভাবেই মানব শরীরে আঘাত আনতে না পারে সে-জন্য আগাম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে । মানব-সৃষ্ট এমন বিপর্যয়ের কথা 25 বছর আগেই সতর্কতা করেছিল ASEAN উন্নয়নশীল ব্যাঙ্ক । সে সময় তারা সতর্ক করে জানিয়েছিল,এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্রুত পদক্ষেপ করা না হলে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে । এই বিপর্যয়েরকারণেই ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল, বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান একযোগে একটি রূপরেখা তৈরি করেছিল । কিন্তু, দুর্ভাগ্য এর কোনওটাই তেমনভাবে মানা হয়নি । ভারতের এই মনোভাবের আজ ফল ভুগতে হচ্ছে । এ বিষয়ে অন্য কাউক বলতে হবে না যে, বায়ু-স্থল-জল দূষণের কারণ কী । বিষয়টি নিয়ে আর কোনও তথ্যই তুলে ধরার দরকার নেই । সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত রিপোর্টেই এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে, তাতে বিশেষভাবে জল দূষণের কথা বলা হয়েছে । সতর্কতা করা হয়েছে, পাণীয় জলের বিশুদ্ধতা নিয়েও ।

দূষণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জল এবং বায়ু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই দুই ক্ষেত্রে দূষণের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে । কিন্তু, ভারতের প্রতিবেশী চিন এই দুই ক্ষেত্রেই দূষণে রোধে সদর্থক পদক্ষেপ করতে সক্ষম হয়েছে । ভারতের দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ যে সব সংস্থা প্রয়োজনীয় নিয়ম মানছে না, তাদের প্রতি একটা নির্দেশিকা জারি করেছে । তবে, কী ভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব সেটা ভগবানই জানেন । দূষণ সমস্যা মোকাবিলায় চিন পাঁচ বছরের বিশেষ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে । আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ডের মতো দেশ পরিবেশসচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি দেশবাসীকে বিশেষভাবে সংযুক্ত করছে । তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখারা চেষ্টা করে । ভারতের দূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে শুধু সরকারে ভূমিকার দিকে তাকিয়ে বসে থাকলে চলবে না । প্রতিটি অফিস, রাস্তা, জলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । শুধু আইন করে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব নয়, দূষণ রোধ করতে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটিকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে । আর তাতেই একমাত্র সাফল্য সম্ভব ।

New Delhi, Dec 29 (ANI): A recent study has suggested that food items containing more grease and fat can put the communication between intestine and rest of the human body to stop. A team of Duke Researchers has discovered that a high-fat meal completely shuts down the communication for a few hours. After they observed using the fish to examine cells that normally tell the brain and the rest of the body what's going on inside the gut after a meal. The cells they were looking at are the enteroendocrine cells, which occur sparsely throughout the lining of the gut, but play a key role in signalling the body about the all-important alimentary canal. In addition to releasing hormones, the cells also have a recently-discovered direct connection to the nervous system and the brain. These cells produce at least 15 different hormones to send signals to the rest of the body about gut movement, feelings of fullness, digestion, nutrient absorption, insulin sensitivity, and energy storage.
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.