ফারুখাবাদ, 31 জানুয়ারি : 10 ঘণ্টার উৎকণ্ঠার অবসান ৷ ফারুখাবাদে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হল পণবন্দীকারী সুভাষ বাথামের ৷ তার বাড়ি থেকে 23 শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷
উত্তরপ্রদেশের DGP ও পি সিং বলেন, "বিস্ফোরণের হুমকি দিচ্ছিল সুভাষ ৷ তার কাছে অস্ত্রশস্ত্র আছে জানতে পারার পরই পুলিশ আধিকারিকরা বাড়িতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন ৷ বাড়িতে ঢোকার চেষ্টার সময়ই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় সুভাষের ৷"
মেয়ের জন্মদিনের অছিলায় গতকাল ফারুখাবাদের কাঠারিয়া গ্রামে প্রতিবেশী শিশুদের নিমন্ত্রণ করেছিল খুনে অভিযুক্ত সুভাষ ৷ বিকেল 3টা নাগাদ তার বাড়িতে যায় শিশুরা ৷ এরপর বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও শিশুরা তার বাড়ি থেকে আসেনি ৷ সেইসময় কয়েকজন প্রতিবেশী সুভাষের বাড়ি যায় ৷ তখন সে বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখায় ৷ গুলিও ছোড়ে বলে স্থানীয়দের বক্তব্য ৷ শিশুদের পণবন্দী করা হয়েছে বোঝার পর তারা পুলিশে খবর দেয় ৷
প্রথমে সুভাষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শিশুদের উদ্ধারের চেষ্টা করে পুলিশ ৷ ঘণ্টা সাতেক পর এক শিশুকে সে ছাড়ে ৷ কিন্তু, বাকিদের ছাড়া নিয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি ৷ এরপর বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিশ ৷ সবাইকে উদ্ধারের পর পুলিশ জানায়, বাড়ির বেসমেন্টে আটকে রেখেছিল শিশুদের ৷ বাড়ির ভিতর থেকে সুভাষ 6 রাউন্ড গুলি ছুড়েছিল ৷
শিশুদের উদ্ধারের পর মৃতের স্ত্রীকে মারধর করে স্থানীয়রা ৷ চিকিৎসার জন্য তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ ৷
এই সংক্রান্ত খবর : জন্মদিনের অছিলায় উত্তরপ্রদেশে 20 শিশুকে পণবন্দী খুনে অভিযুক্তর
ফারুখাবাদের ঘটনা নিয়ে রাতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ৷ পরে সব শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের জন্য পুলিশের প্রশংসা করেন ৷ উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে 10 লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন যোগী ৷ অভিযানে অংশ নেওয়া সমস্ত পুলিশকর্মীদের শংসাপত্রও দেওয়া হবে ৷
এর আগে শিশুদের কেন সে পণবন্দী করেছে, তা জানিয়ে মধ্যস্ততাকারী এক গ্রামবাসীর মাধ্যমে একটি টাইপ করা চিঠি জেলাশাসককে পাঠিয়েছিল সুভাষ ৷ তাতে সে লেখে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি এবং টয়লেটের জন্য সে অনেকবার দরবার করেছে ৷ কিন্তু, পায়নি ৷ সেজন্যই শিশুদের পণবন্দী করেছে ৷ ওই টাইপ চিঠি দেখে পুলিশের ধারণা, শিশুদের পণবন্দীর পরিকল্পনা আগে থেকেই করে রেখেছিল সুভাষ ৷