বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা, নাম না করেই পাকিস্তানকে কটাক্ষ মোদির

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ভিডিয়ো বার্তায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মোদির । মোদির ভাষ্যে উঠে এল পাকিস্তানও । নাম না করেই তিনি বললেন, ''আতঙ্ক আর হিংসাকে কূটনীতি ও রাজনীতির হাতিয়ার করে কীভাবে একটি সমাজ ও জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়, তা আমরা দেখতে পাচ্ছি ।''

দিল্লি, 17 মার্চ : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানকে বিদ্ধ করতে ভুললেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । দিল্লিতে নিজের বাসভবন থেকে আজ ভিডিয়ো কনফারেন্সে শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিনে বার্তা দেন মোদি । অভিনন্দন জানান বাংলাদেশকে । একসঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন ''বাংলা ভূমির সঙ্গে হওয়া অন্যায়''-এর কথা । বললেন, আতঙ্ক ও ঘৃণাকে ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার কথাও । নাম না করেই ভিডিয়ো বার্তায় এভাবেই মোদি কটাক্ষ করলেন পাকিস্তানকে ।

স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী এক সরকার সমস্ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে নস্যাৎ করেছিল এক সময়, মোদির ভাষ্যে উঠে আসে সে কথা । ‘বাংলা ভূমির’ উপর অবিচারের রাজত্ব চালিয়ে জনগণের সর্বনাশ করেছিল হিংসার সমর্থকরা, সেকথাও বলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী ।

মোদির মতে, ধ্বংসলীলা ও গণহত্যার অন্ধকার সময় থেকে বাংলাদেশকে মুক্তির আলো দিয়েছিলেন মুজিবর । ইতিবাচক ও প্রগতিশীল সমাজ তৈরি করতে বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উৎসর্গ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি ।

মোদির কথায়, কোনও রাষ্ট্র নেতিবাচকতাকে আশ্রয় করে এগিয়ে যেতে পারে না, বুঝেছিলেন মুজিবর । কিন্তু মুজিবরের মতো মহান নেতার এই মতাদর্শ অনেকেরই পছন্দ হয়নি । তাই মুজিবরকে ''আমাদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ''

বাংলাদেশ এবং অন্যদেরও সৌভাগ্য যে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনাজির সে সময় কিছু হয়নি, একথা উল্লেখ করেন মোদি । পাকিস্তানের নাম না নিয়ে মোদি বলেন, ''হিংসা এবং ঘৃণার সমর্থকরা কোনও খামতি রাখেনি । আতঙ্ক আর হিংসাকে কূটনীতি ও রাজনীতির হাতিয়ার করে কীভাবে একটি সমাজ ও জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়, তা আমরা দেখতে পাচ্ছি ।''

বার্তায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে মোদি বলেন, সন্ত্রাস ও হিংসার সমর্থকরা আজ কোথায়, কীভাবে আছে এবং বাংলাদেশ কোন উচ্চতায় রয়েছে এটাও বিশ্ববাসী দেখতে পাচ্ছে ।