কলকাতা, 23 জানুয়ারি : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তৃতা না করায়, আগেই ছন্দ কেটেছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে পরাক্রম দিবসের অনুষ্ঠানে। এর কিছু পরেই বক্তৃতা করতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু কোনও উত্তেজনা প্রকাশ না করে, সুক্ষ্মভাবে একটি রাজনৈতিক চাল তিনি চেলে দিলেন, তাঁর বক্তৃতার মাধ্যমে। বললেন, ‘‘আত্মনির্ভর ভারত লক্ষ্য ছিল নেতাজির ৷’’
আজ নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতার এক বৃহৎ অংশ জুড়ে ছিল, তাঁর আমলে কী কী অগ্রগতি হয়েছে ভারতের তার ফিরিস্তি। সেই ফিরিস্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেন যে, আজকের এই শক্তিশালী ভারত দেখে এবং এই আত্মনির্ভর ভারতকে দেখে কতটা গর্বিত হতেন নেতাজি। "আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য ছিল নেতাজির," বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : প্রথম সাক্ষাতেই মোদির বাহবা কুড়োলেন বিজেপির শুভেন্দু
একই সঙ্গে নেতাজির 125 তম জন্মদিনে বাঙালির এবং কলকাতার হৃদয় ছুতে গিয়ে টেনে আনলেন একের পর বাংলার মনীষীদের কথা। "আজ শুধু নেতাজির জন্ম হয়নি, ভারতের নয়া আত্মগৌরবের জন্ম হয়েছিল। নেতাজির মা'কে সম্মান জানাই। বাংলার পুণ্যভূমি উপহার দিয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অনুকূল ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রামকৃষ্ণ পরহংসদেব, রামমোহন রায়, মা সারদাময়ী, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, জগদীশচন্দ্র বসু, মেঘনাথ সাহা, পি সি রায়, সুরেন্দ্রনাথ রায়দের এবং আমাদের সবার প্রিয় ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের," প্রধানমন্ত্রী বলেন।
আরও পড়ুন : মোদির সামনে ভিক্টোরিয়ায় ‘জয় শ্রীরাম’ শুনে ভাষণ দিলেন না ক্ষুব্ধ মমতা
আজ ভেক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজিকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘সেই ছোটবেলা থেকে যখনই নেতাজির নাম শুনি, যে কোনও অবস্থাতেই থাকি না কেন, তাঁর নাম আমাকে একটা আলাদা অনুপ্রেরণা দেয়। তাঁর মহত্ত্ব ব্যাখার জন্য শব্দ কম পড়ে যায় ৷’’