প্রতাপগড় (উত্তরপ্রদেশ), 1 নভেম্বর : অবিবাহিতা মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল । অভিযোগ, বছর কুড়ির ওই যুবতি অন্তঃসত্ত্বা, এই খবর জানার পরেই তাঁকে রেল লাইনের ধারে নিয়ে গিয়ে খুন করেন তাঁর বাবা-মা ৷ ঘটনায় দু’জনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার কিষণদাসপুর গ্রামের ৷
25 অক্টোবর প্রতাপগড় জেলার আলাপুরে রেল লাইনের পাশে এক যুবতির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ তদন্তে নেমে ওই যুবতির পরিচয় জানতে পারেন তদন্তকারীরা ৷ তরুণীর বাবা কমলেশ কুমার যাদব নিজে মেয়ের দেহ শনাক্ত করেন ৷ পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেন তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে ৷ সেই মতো পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করে ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মেয়েটি প্রায় ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ৷ এরপরেই নিহতের মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় ডাকে নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ ৷ জেরা মুখে তাঁরা নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন ৷ জানা যায়, কয়েকদিন ধরেই তাঁদের মেয়ে অসুস্থ ছিলেন ৷ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করার পরামর্শ দেন তিনি ৷ সেইমত আল্ট্রাসোনোগ্রাফির রিপোর্ট আসতেই তাঁরা জানতে পারেন, তাঁদের মেয়ে ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ৷ বারবার জিজ্ঞাসা করা হলেও, মেয়েটি তাঁর প্রেমিকের নাম বলতে রাজি হন না ৷ এরপরেই কমলেশ কুমার যাদব ও তাঁর স্ত্রী তাঁদের মেয়েকে আলাপুরে রেল লাইনের ধারে নিয়ে গিয়ে খুন করেন ৷ এরপর দুর্ঘটনা বা আত্মহত্য়া দেখাতে লাইনের উপর দেহ ফেলে দেন তাঁরা ৷
ঘটনায় স্বামী স্ত্রী দু’জনের বিরুদ্ধে জোড়া খুনের অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ দু’জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷