ব্রাসেলস, 3 সেপ্টেম্বর : সন্ত্রাসবাদে খোলাখুলি মদত দেয় পাকিস্তান ৷ আর্থিক সাহায্য করে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ৷ এগুলি বন্ধ না করা পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার কোনও সম্ভাবনা নেই ৷ সাফ জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ৷
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য গত সপ্তাহে ব্রাসেলস গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী ৷ সেদেশের একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন তিনি ৷ সম্প্রতি অ্যামেরিকার একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কলাম নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় ৷ কলামে ইমরান দাবি করেছিলেন, দক্ষিণ এশিয়ার উপর "পরমাণু ছায়া (নিউক্লিয়ার শ্যাডো)" তৈরি হয়েছে ৷ সেজন্য ভারত-পাকিস্তানকে অবিলম্বে আলোচনায় বসতে হবে ৷ এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইমরানের কলামটি পড়ার মতো সময় হয়নি তাঁর ৷ তবে পাকিস্তানকে তোপ দেগে বলেন, "এমন নয় যে অন্ধকারের মধ্যে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলে ৷ বরং তা একেবারে দিবালোকেই হয় ৷"
এই সংক্রান্ত আরও খবর : প্রথমে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করব না : ইমরান
সাক্ষাৎকারে কাশ্মীর প্রসঙ্গও উঠে আসে ৷ সংবিধানের 370 ধারা প্রত্যাহারের আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল কাশ্মীরকে ৷ মাঝেমধ্যেই কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় জারি হয়েছে 144 ধারা ৷ আবার কখনও শিথিলও হয়েছে ৷ আগামীদিনে ধাপে ধাপে কাশ্মীর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন বিদেশমন্ত্রী ৷ বলেন, অশান্তির আশঙ্কায় মোতায়েন অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনীও সরিয়ে নেওয়া হবে ৷ তিনি আরও বলেন, "সত্যি কথা বলতে, ওদের (আধাসামরিক বাহিনী) অন্য কাজও আছে ৷ "
এই সংক্রান্ত আরও খবর : জঙ্গি অনুপ্রবেশে মদত না দিয়ে পাকিস্তানের উচিত স্বাভাবিক আচরণ করা : বিদেশমন্ত্রক
370 ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে কাশ্মীরে ব্যাহত হয়েছে ফোন, ইন্টারনেট পরিষেবাও ৷ ল্যান্ডলাইন পরিষেবা কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনও অমিল মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা ৷ কী কারণে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই ব্যাখ্যাও দেন বিদেশমন্ত্রী ৷ তাঁর কথায়, "কীভাবে একইসঙ্গে একদিকে জঙ্গিদের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ রাখতাম আর অন্যদিকে সাধারণ মানুষের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা চালু রাখতাম ? তা জানতে পারলে খুশি হব আমি ৷"
এই সংক্রান্ত আরও খবর : এখনও থমথমে অন্ততনাগ, বন্ধ দোকানপাট