ETV Bharat / bharat

'পুনর্জন্ম', বিল পাশে উচ্ছ্বসিত পাকিস্তানের হিন্দু শরণার্থী পরিবার

বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিহারের ফতেয়াবাদের কয়েকটি হিন্দু পরিবারের সদস্যরা ফেটে পড়েন উচ্ছ্বাসে ৷ তৈরি হয় উৎসবের আবহ ৷ শুরু হয় মিষ্টিমুখের পালা ৷ পুড়িয়ে দেন পুরোনো সব নথিপত্র ৷

author img

By

Published : Dec 12, 2019, 11:13 PM IST

Updated : Dec 12, 2019, 11:32 PM IST

aa
খুশির মেজাজ

চণ্ডীগড়, 12 ডিসেম্বর: ভুলতে পারেননি পুরোনো দিনগুলি । সেই দিনগুলির কথা মনে পড়লে এখনও আঁতকে ওঠেন । মনে পড়ে যায়, শুধুমাত্র সংখ্যালঘু হওয়ায় কী পরিমাণ অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে ৷ তাই একটু সুখের আশায় ভিটেমাটি ছেড়ে চলে এসেছিলেন ভারতে ৷ তিনি পাকিস্তানের নাগরিক দিব্যা রাম ৷ আর অবশেষে এল সেই সুখের দিন । নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পরই খুশির ছোঁয়া তাঁর পরিবারে ৷ মিষ্টিমুখ করে প্রকাশ করেছেন উচ্ছ্বাস ৷ কারণ, এবার পাকাপাকিভাবে ভারতীয় নাগরিক হওয়ার সুযোগ এসেছে তাঁর সামনে ৷ যা তাঁর কাছে "পুনর্জন্মেরই সমান" ৷

বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিহারের ফতেহাবাদের কিছু হিন্দু পরিবারের সদস্যরা ফেটে পড়েন উচ্ছ্বাসে ৷ তৈরি হয় উৎসবের আবহ ৷ শুরু হয় মিষ্টিমুখের পালা ৷ পুড়িয়ে দেন পুরোনো সব নথিপত্র ৷ যা ছিল তাঁদের পাকিস্তানের নাগরিক হওয়ার প্রমাণ ৷ যা দেখলেই দিব্যা রামের মনে পড়ে যেত পুরোনো দিনগুলোর কথা ৷ যা মোটেও তাঁর কাছে সুখকর ছিল না ৷ তাই পাকাপাকিভাবে ভারতীয় নাগরিক হওয়ার সুযোগ আসতেই অন্যদের মতো পুরোনো স্মৃতি ভুলে যেতে চাইছেন তিনি ৷ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন, শুধুমাত্র সংখ্যালঘু হওয়ায় কী পরিমাণ মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে ৷ বেনজ়ির ভুট্টো ক্ষমতায় থাকার সময় সাংসদ হয়েছিলেন তিনি ৷ কিন্তু 90 দিনের বেশি সেই পদে থাকতে পারেননি ৷ কারণ তিনি হিন্দু ছিলেন ৷ তাই প্রতারণার শিকার হতে হয়েছিল ৷ পাশে পাননি কাউকেই ৷ কিন্তু লড়াই চালানোর চেষ্টা করেছিলেন ৷ গিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টেও ৷ সেখানেও না কি তাঁকে ধর্ম পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়া হয় ৷ তিনি তা মানেননি ৷ তার ফলে নানা মহল থেকে চাপ আসতে থাকে ৷ তাই একটু শান্তির খোঁজে 25 একর জমি ছেড়ে চলে এসেছিলেন ভারতে ৷ থাকতে শুরু করেন ফতেহাবাদে ৷ আর 18 বছর পর নতুন করে বাঁচার স্বাদ পেলেন তিনি ৷ সৌজন্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ৷

তাঁর মতোই পাপ্পু রামও এসেছিলেন পাকিস্তান থেকে ৷ শোনালেন দুঃখের কাহিনী ৷ সেখানে কেমন ব্যবহার পেতেন তিনি ৷ শুনিয়েছেন সে কথা ৷ কেউ কথা বলতেন না ৷ বাজারে গেলে অস্পৃশ্যের মতো ব্যবহার করা হত ৷ অনেকবার হামলাও হয়েছে ৷ এখনও শরীরে রয়েছে ক্ষতচিহ্ন ৷ মনে পড়ে যায় দুঃসহ দিনগুলোর কথা ৷ কিন্তু দিব্যা রামের মতো এই একটি দিনই তাঁর পরিবারে এনে দিয়েছে খুশির ছোঁয়া ৷ কোনও এক অদৃশ্য জাদুকাঠির ছোঁয়ায় ভুলিয়ে দিয়েছে সব দুঃখ,কষ্ট, যন্ত্রণা ৷

চণ্ডীগড়, 12 ডিসেম্বর: ভুলতে পারেননি পুরোনো দিনগুলি । সেই দিনগুলির কথা মনে পড়লে এখনও আঁতকে ওঠেন । মনে পড়ে যায়, শুধুমাত্র সংখ্যালঘু হওয়ায় কী পরিমাণ অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে ৷ তাই একটু সুখের আশায় ভিটেমাটি ছেড়ে চলে এসেছিলেন ভারতে ৷ তিনি পাকিস্তানের নাগরিক দিব্যা রাম ৷ আর অবশেষে এল সেই সুখের দিন । নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পরই খুশির ছোঁয়া তাঁর পরিবারে ৷ মিষ্টিমুখ করে প্রকাশ করেছেন উচ্ছ্বাস ৷ কারণ, এবার পাকাপাকিভাবে ভারতীয় নাগরিক হওয়ার সুযোগ এসেছে তাঁর সামনে ৷ যা তাঁর কাছে "পুনর্জন্মেরই সমান" ৷

বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিহারের ফতেহাবাদের কিছু হিন্দু পরিবারের সদস্যরা ফেটে পড়েন উচ্ছ্বাসে ৷ তৈরি হয় উৎসবের আবহ ৷ শুরু হয় মিষ্টিমুখের পালা ৷ পুড়িয়ে দেন পুরোনো সব নথিপত্র ৷ যা ছিল তাঁদের পাকিস্তানের নাগরিক হওয়ার প্রমাণ ৷ যা দেখলেই দিব্যা রামের মনে পড়ে যেত পুরোনো দিনগুলোর কথা ৷ যা মোটেও তাঁর কাছে সুখকর ছিল না ৷ তাই পাকাপাকিভাবে ভারতীয় নাগরিক হওয়ার সুযোগ আসতেই অন্যদের মতো পুরোনো স্মৃতি ভুলে যেতে চাইছেন তিনি ৷ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন, শুধুমাত্র সংখ্যালঘু হওয়ায় কী পরিমাণ মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে ৷ বেনজ়ির ভুট্টো ক্ষমতায় থাকার সময় সাংসদ হয়েছিলেন তিনি ৷ কিন্তু 90 দিনের বেশি সেই পদে থাকতে পারেননি ৷ কারণ তিনি হিন্দু ছিলেন ৷ তাই প্রতারণার শিকার হতে হয়েছিল ৷ পাশে পাননি কাউকেই ৷ কিন্তু লড়াই চালানোর চেষ্টা করেছিলেন ৷ গিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টেও ৷ সেখানেও না কি তাঁকে ধর্ম পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়া হয় ৷ তিনি তা মানেননি ৷ তার ফলে নানা মহল থেকে চাপ আসতে থাকে ৷ তাই একটু শান্তির খোঁজে 25 একর জমি ছেড়ে চলে এসেছিলেন ভারতে ৷ থাকতে শুরু করেন ফতেহাবাদে ৷ আর 18 বছর পর নতুন করে বাঁচার স্বাদ পেলেন তিনি ৷ সৌজন্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ৷

তাঁর মতোই পাপ্পু রামও এসেছিলেন পাকিস্তান থেকে ৷ শোনালেন দুঃখের কাহিনী ৷ সেখানে কেমন ব্যবহার পেতেন তিনি ৷ শুনিয়েছেন সে কথা ৷ কেউ কথা বলতেন না ৷ বাজারে গেলে অস্পৃশ্যের মতো ব্যবহার করা হত ৷ অনেকবার হামলাও হয়েছে ৷ এখনও শরীরে রয়েছে ক্ষতচিহ্ন ৷ মনে পড়ে যায় দুঃসহ দিনগুলোর কথা ৷ কিন্তু দিব্যা রামের মতো এই একটি দিনই তাঁর পরিবারে এনে দিয়েছে খুশির ছোঁয়া ৷ কোনও এক অদৃশ্য জাদুকাঠির ছোঁয়ায় ভুলিয়ে দিয়েছে সব দুঃখ,কষ্ট, যন্ত্রণা ৷

Intro:फतेहाबाद में पाकिस्तान से आए नागरिकों ने जलाए अपने पुराने पाकिस्तानी दस्तावेज, नागरिक संशोधन बिल को लेकर जताई खुशी, बांटी मिठाई, फतेहाबाद निवासी दिवाया राम ने पाकिस्तानी सांसद होने का किया दावा, सुनाई दर्द भरी आपबीती, दीवाया राम का कहना 90 दिन तक रहा पाकिस्तान में सांसद, मुस्लिम होने का बनाया गया दबाव, परिवार की बेटी को किया गया अगवा, तो छोड़ दिया सांसद का पद, 19 वर्षों से भारत में रह रहे हैं डिवाया राम और उसका परिवार, पाकिस्तान से आए पप्पू राम ने भी दिखाए जिस्म पर लगे पाकिस्तानी चाकुओं के जख्म, नागरिक संशोधन बिल पास होने को लेकर जताया सरकार का आभार।Body:पाकिस्तान से भारत आए हिंदू परिवारों को अब भारतीय नागरिकता मिलने का रास्ता साफ हो गया है इसी को लेकर फतेहाबाद के रतिया इलाके में बसे पाकिस्तानी नागरिकों ने आज मिठाई बांटकर सरकार का धन्यवाद किया। खुद को पाकिस्तान का सांसद बताने वाले डिवाया राम ने मिठाई बांटी और पाकिस्तान में उन पर हुए जुल्मों की दास्तां बताई। मीडिया से बातचीत करते हुए डिवाया राम ने बताया कि बेनजीर भुट्टो के राज में उन्हें रिजर्व सीट में सांसद बनाया गया था। वह 90 दिनों तक सांसद रहे, लेकिन उनके मुसलमान ना होने की वजह से उन्हें प्रताड़ित किया जाने लगा। उनके परिवार की बेटी को उठा लिया गया और उन पर मुसलमान धर्म अपनाने का दबाव बनाया जाने लगा। जिसके बाद मजबूर होकर उन्होंने सांसद पद छोड़ दिया। डिवाया राम ने बताया कि उनका मामला सुप्रीम कोर्ट तक भी गया, लेकिन जज ने उन्हें मुसलमान धर्म अपनाने की सलाह दी। जिसके बाद उन्होने पाकिस्तान छोड़ दिया और 19 वर्षों से भारत में रह रहे हैं। उन्हें याद है कि मुसलमान ना होने पर किस कदर उन्हें प्रताड़ित किया जाता था। आज उन्होंने अपने साथियों के साथ पाकिस्तानी दस्तावेजों को जला दिया है। कांच उनका नया जन्म हुआ है और वह भारत के नागरिक बन रहे हैं। मिठाई बांटकर आज उन्होंने खुशी मनाई। डिवाया राम ने कहा कि पाकिस्तान में उनकी 25 एकड़ जमीन थी, जिसे वह छोड़ कर आए।
वाईस- 2
वहीं वर्ष 2006 में पाकिस्तान से भारत आए हिंदू परिवार के पप्पू राम ने भी डिवाया राम के साथ ही मिठाई बांटकर खुशी मनाई। पप्पू ने बताया कि पाकिस्तान में उन्हें अछूत समझा जाता था। मुसलमान उनके बाद तक नहीं काटते थे और बाजार में उन्हें सामान खरीदने के लिए भी दुत्कार सहनी पड़ती थी। पप्पू राम ने अपने गले पर लगे चाकू के जख्म दिखाते हुए बताया कि मुसलमान ना होने के चलते उन पर कई बार हमले भी किए गए, जिसके निशान अभी भी उनके जिस्म पर लगे हुए हैं। उन्होंने सरकार का धन्यवाद किया और कहा कि अब वह भारत के नागरिक हैं, उन्हें इस बात की खुशी है।
पाकिस्तान से भारत आए लोगों ने अपनी जो आप बीती सुनाई है उसे सुनकर दिल सिहर जाता है।Conclusion:
Last Updated : Dec 12, 2019, 11:32 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.