ETV Bharat / bharat

কালো তালিকার ফাঁস এড়ালেও FATF-র ধূসর তালিকায় পাকিস্তান - ইমরান খান

পাকিস্তানকে সতর্ক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কালো তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে বাঁচতে আগামী চার মাসের মধ্যে ওই ২৭টি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে ৷ FATF-এর প্লেনারির সিদ্ধান্ত নিয়ে চেয়ারম্যানের বক্তব্যের সংক্ষিপ্তসার হল, "FATF ২০২০ সালের জুনের মধ্যে পাকিস্তানকে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কড়া ভাবে জানিয়ে দিয়েছে ৷ অন্যথায় যদি সন্ত্রাসবাদে আর্থিকমদত দেওয়ার ক্ষেত্রে মামলা ও শাস্তির প্রতিবিধান পরবর্তী প্লেনারির আগে না করা হয়, তাহলে FATF কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ৷ সেক্ষেত্রে FATF তাদের সমস্ত সদস্যদের ডেকে বলতে পারে যে তারা যেন তাদের সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেয়, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য ৷" প্রতিবেদনটি লিখেছেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক স্মিতা শর্মা ৷

imran
ইমরান খান
author img

By

Published : Feb 24, 2020, 6:21 PM IST

পাকিস্তান কালো তালিকার ফাঁস এড়াতে পারলেও, FATF তাদের আপাতত ধূসর তালিকাতেই রেখে দিল ৷ সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করা এবং হাফিজ় সঈদের বিরুদ্ধে আদালতের সাম্প্রতিক রায়ের ভিত্তিতে ইসলামাবাদের সওয়াল সত্ত্বেও আর্থিক ক্ষেত্রে বিশ্বের নজরদারি সংস্থা FATF (Financial Action Task Force) পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতেই রেখে দিয়েছে ৷ রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত এই প্লেনারি গ্রুপ প্যারিসে তাদের তিনদিনের বৈঠক শেষে জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানকে যে ২৭টি বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল, তার মধ্যে ১৪টিতে তারা ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছে ৷ এছাড়া বিভিন্ন স্তরে পরিকল্পনার অগ্রগতি বাকি রয়েছে ৷’

পাশাপাশি পাকিস্তানকে সতর্ক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কালো তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে বাঁচতে আগামী চার মাসের মধ্যে ওই ২৭টি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে ৷ FATF-এর প্লেনারির সিদ্ধান্ত নিয়ে চেয়ারম্যানের বক্তব্যের সংক্ষিপ্তসার হল, "FATF ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে পাকিস্তানকে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কড়া ভাবে জানিয়ে দিয়েছে ৷ অন্যথায় যদি সন্ত্রাসবাদে আর্থিকমদত দেওয়ার ক্ষেত্রে মামলা ও শাস্তির প্রতিবিধান পরবর্তী প্লেনারির আগে না করা হয়, তাহলে FATF কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ৷ সেক্ষেত্রে FATF তাদের সমস্ত সদস্যদের ডেকে বলতে পারে যে তারা যেন তাদের সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেয়, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য ৷"

২০৫টি দেশ, একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিচারবিভাগের ৮০০ জন সদস্য ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ কালো তালিকা ভুক্ত হওয়া থেকে বাঁচতে পাকিস্তান ওই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে ছিল ৷ ধূসর তালিকা থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের ৩৯টি ভোটের মধ্যে ১৪টি ভোট প্রয়োজন ছিল ৷ কিন্তু তারা সেটাও পেতে ব্যর্থ হয় ৷ কিন্তু তারা কালো তালিকায় অন্তত তিনটি ভেটো পেতে সক্ষম হয় ৷ যেখানে চিন, মালয়েশিয়া, টার্কি ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়ায় ৷ সূত্রের খবর অনুযায়ী, অধিকাংশ সদস্যই পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার বদলে পরবর্তী প্লেনারির আগে পর্যন্ত ধূসর তালিকায় রেখে দেওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করে ৷ সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত এবং জঙ্গি ও তাদের সংগঠনের আর্থিক তছরুপ বন্ধ করতে FATF এবং তার অধীনস্থ APG (Asian Plebary Group)-এর সঙ্গে কাজ করার জন্য জুন ২০১৮-তে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সমঝোতা করেছিল ৷ AML (Anti-Money Laundering) /CFT (Combating the Financing of Terrorism) লঙ্ঘন রোধ করতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা FATF পাকিস্তানকে বর্ণনা করতে বলেছিল ৷ "অবৈধ অর্থ ও তথ্য পাচার রুখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ও পদক্ষেপ কী ছিল", এটাও আরও অনেক কিছু মধ্যে একটা উদ্বেগের বিষয় ৷ পাকিস্তানকে এটাও ব্যাখ্যা করতে বলা হয় যে তাদের আইনরক্ষাকারী সংস্থাগুলি (LEAs) কীভাবে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার ঘটনাকে চিহ্নিত করছে ও তদন্ত করছে ৷

এইঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ও যারা তাদের নির্দেশে বা তাদের হয়ে কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের মামলা করছে, তাও জানতে চাওয়া হয় ৷ সমস্ত জঙ্গি সংগঠনকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ ও ১৩৭৩ রেজ়োলিউশন অনুযায়ী অর্থ পাচার রোধ, জড়িতদের চিহ্নিতকরণ, তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ও আর্থিক সাহায্য বন্ধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাও পাকিস্তানকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে বলা হয় ৷ FATF-এর তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘পদক্ষেপ করার জন্য সমস্ত সময়সীমা পেরিয়ে গেছে ৷ কিছু বিষয়ে উন্নতির কথা মাথায় রেখেও FATF পাকিস্তানের সমস্ত পদক্ষেপ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারা এবং সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দেওয়ার ফলে তৈরি হওয়া ঝুঁকির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছে ৷’’

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কালো তালিকভুক্ত জঙ্গি সংগঠনগুলির সমস্ত আর্থিক ও ব্যাকিং সংযোগ বন্ধ করতে পাকিস্তানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷ ওই তালিকায় তালিবান, আল কায়দা, লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদসহ একাধিক জঙ্গি সংগঠন রয়েছে ৷ পাকিস্তানের যুক্তি, তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে এই বিষয়ে সংযোগরক্ষা করে চলছে ৷ এ নিয়ে কী অগ্রগতি হচ্ছে তারও তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করছে ৷ আধিকারিকদের এ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যস্ত রেখেছে ৷ তাই তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা উচিত নয় ৷ মজার বিষয় হল পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য চাপ দেওয়া সত্ত্বেও ভারতের এক বরিষ্ঠ সরকারি আধিকারিক এই সপ্তাহে মত প্রকাশ করেছেন যে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখাই ভালো ৷ কারণ, তাতে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বন্ধ করার বিষয়ে তাদের উপর চাপ বরাবর বজায় রাখা সম্ভব হবে ৷ ওই আধিকারিক জানান, একবার পাকিস্তান কালো তালিকাভুক্ত হয়ে গেলে, তারা হাতের বাইরে চলে যাবে ৷

পাকিস্তান কালো তালিকার ফাঁস এড়াতে পারলেও, FATF তাদের আপাতত ধূসর তালিকাতেই রেখে দিল ৷ সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করা এবং হাফিজ় সঈদের বিরুদ্ধে আদালতের সাম্প্রতিক রায়ের ভিত্তিতে ইসলামাবাদের সওয়াল সত্ত্বেও আর্থিক ক্ষেত্রে বিশ্বের নজরদারি সংস্থা FATF (Financial Action Task Force) পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতেই রেখে দিয়েছে ৷ রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত এই প্লেনারি গ্রুপ প্যারিসে তাদের তিনদিনের বৈঠক শেষে জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানকে যে ২৭টি বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল, তার মধ্যে ১৪টিতে তারা ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছে ৷ এছাড়া বিভিন্ন স্তরে পরিকল্পনার অগ্রগতি বাকি রয়েছে ৷’

পাশাপাশি পাকিস্তানকে সতর্ক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কালো তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে বাঁচতে আগামী চার মাসের মধ্যে ওই ২৭টি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে ৷ FATF-এর প্লেনারির সিদ্ধান্ত নিয়ে চেয়ারম্যানের বক্তব্যের সংক্ষিপ্তসার হল, "FATF ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে পাকিস্তানকে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কড়া ভাবে জানিয়ে দিয়েছে ৷ অন্যথায় যদি সন্ত্রাসবাদে আর্থিকমদত দেওয়ার ক্ষেত্রে মামলা ও শাস্তির প্রতিবিধান পরবর্তী প্লেনারির আগে না করা হয়, তাহলে FATF কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ৷ সেক্ষেত্রে FATF তাদের সমস্ত সদস্যদের ডেকে বলতে পারে যে তারা যেন তাদের সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেয়, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য ৷"

২০৫টি দেশ, একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিচারবিভাগের ৮০০ জন সদস্য ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ কালো তালিকা ভুক্ত হওয়া থেকে বাঁচতে পাকিস্তান ওই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে ছিল ৷ ধূসর তালিকা থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের ৩৯টি ভোটের মধ্যে ১৪টি ভোট প্রয়োজন ছিল ৷ কিন্তু তারা সেটাও পেতে ব্যর্থ হয় ৷ কিন্তু তারা কালো তালিকায় অন্তত তিনটি ভেটো পেতে সক্ষম হয় ৷ যেখানে চিন, মালয়েশিয়া, টার্কি ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়ায় ৷ সূত্রের খবর অনুযায়ী, অধিকাংশ সদস্যই পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার বদলে পরবর্তী প্লেনারির আগে পর্যন্ত ধূসর তালিকায় রেখে দেওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করে ৷ সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত এবং জঙ্গি ও তাদের সংগঠনের আর্থিক তছরুপ বন্ধ করতে FATF এবং তার অধীনস্থ APG (Asian Plebary Group)-এর সঙ্গে কাজ করার জন্য জুন ২০১৮-তে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সমঝোতা করেছিল ৷ AML (Anti-Money Laundering) /CFT (Combating the Financing of Terrorism) লঙ্ঘন রোধ করতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা FATF পাকিস্তানকে বর্ণনা করতে বলেছিল ৷ "অবৈধ অর্থ ও তথ্য পাচার রুখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ও পদক্ষেপ কী ছিল", এটাও আরও অনেক কিছু মধ্যে একটা উদ্বেগের বিষয় ৷ পাকিস্তানকে এটাও ব্যাখ্যা করতে বলা হয় যে তাদের আইনরক্ষাকারী সংস্থাগুলি (LEAs) কীভাবে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার ঘটনাকে চিহ্নিত করছে ও তদন্ত করছে ৷

এইঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ও যারা তাদের নির্দেশে বা তাদের হয়ে কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের মামলা করছে, তাও জানতে চাওয়া হয় ৷ সমস্ত জঙ্গি সংগঠনকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ ও ১৩৭৩ রেজ়োলিউশন অনুযায়ী অর্থ পাচার রোধ, জড়িতদের চিহ্নিতকরণ, তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ও আর্থিক সাহায্য বন্ধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাও পাকিস্তানকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে বলা হয় ৷ FATF-এর তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘পদক্ষেপ করার জন্য সমস্ত সময়সীমা পেরিয়ে গেছে ৷ কিছু বিষয়ে উন্নতির কথা মাথায় রেখেও FATF পাকিস্তানের সমস্ত পদক্ষেপ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারা এবং সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দেওয়ার ফলে তৈরি হওয়া ঝুঁকির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছে ৷’’

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কালো তালিকভুক্ত জঙ্গি সংগঠনগুলির সমস্ত আর্থিক ও ব্যাকিং সংযোগ বন্ধ করতে পাকিস্তানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷ ওই তালিকায় তালিবান, আল কায়দা, লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদসহ একাধিক জঙ্গি সংগঠন রয়েছে ৷ পাকিস্তানের যুক্তি, তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে এই বিষয়ে সংযোগরক্ষা করে চলছে ৷ এ নিয়ে কী অগ্রগতি হচ্ছে তারও তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করছে ৷ আধিকারিকদের এ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যস্ত রেখেছে ৷ তাই তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা উচিত নয় ৷ মজার বিষয় হল পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য চাপ দেওয়া সত্ত্বেও ভারতের এক বরিষ্ঠ সরকারি আধিকারিক এই সপ্তাহে মত প্রকাশ করেছেন যে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখাই ভালো ৷ কারণ, তাতে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বন্ধ করার বিষয়ে তাদের উপর চাপ বরাবর বজায় রাখা সম্ভব হবে ৷ ওই আধিকারিক জানান, একবার পাকিস্তান কালো তালিকাভুক্ত হয়ে গেলে, তারা হাতের বাইরে চলে যাবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.