ETV Bharat / bharat

পিঁয়াজ সমস্যা অব্যাহত, দেড় মাসেও কমছে না দাম

পিঁয়াজের দাম কেজি প্রতি 100 টাকা ছাড়িয়ে গেছে । তারপরেও যেভাবে দাম বাড়ছে , তাতে ভাবাচ্ছে গোটা দেশকে । যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে । পঞ্চায়েত থেকে প্রয়োজনীয় এবং সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, কারণ, কোন গ্রামীণ এলাকায় ঠিক কত পরিমাণ ফসল উত্পাদিত হচ্ছে তার একটা সঠিক মাপ সর্বদা পঞ্চায়েতের কাছে থাকে । কৃষিক্ষেত্রে সহায়তার জন্য, কৃষকদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে । সরকারি দপ্তর, কৃষি গবেষণা বিভাগকে বিষয়টি নিয়ে চর্চা করতে হবে । পরিবেশের সঙ্গে সমতা রেখে, তার ভারসাম্য বজায় রেখে কী ভাবে কৃষিকাজ করা সম্ভব, সে দিকে নজর দিতে হবে । কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে হবে ।

image
পিঁয়াজ
author img

By

Published : Dec 17, 2019, 11:13 AM IST

আজকের দিনে প্রতিটি রান্না ঘরে বিস্ফোরণ হচ্ছে, 'পিঁয়াজ বোমায়' । দেড় মাস অতিক্রান্ত । তার পরেও কমছে না পিঁয়াজের দাম । দেওয়ালির সময় থেকেই এই সমস্যার সূত্রপাত । পিঁয়াজের দাম কেজি প্রতি 100 টাকা ছাড়িয়ে গেছে । তারপরেও যেভাবে দাম বাড়ছে , তাতে ভাবাচ্ছে গোটা দেশকে ।

পাইকারি বাজারেও পিঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । আগের সব দামের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে । মহারাষ্ট্রের সোলাপুর এবং সানগানের বাজারে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে 110 টাকায় । দক্ষিণ ভারতের কোয়েম্বাটুরে বড় মাপের পিঁয়াজ 100 টাকা কেজি এবং ছোটো পিঁয়াজ 130 টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে । এমনকি, জাতীয় উদ্যানপালন বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলিতে 80 টাকা প্রতি কেজি দরে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে । হায়দরাবাদ, নাগপুর, ভোপালের মতো শহরে পিঁয়াজের দাম গ্রাহকদের পকেটে টান ধরাচ্ছে ।

পিঁয়াজ উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে চিনের পর ভারতের স্থান । কিন্তু মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশে, গুজরাত, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, বিহারে প্রচণ্ড এবং অনিয়ন্ত্রিত বৃষ্টিপাত শস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করেছে । অনিয়ন্ত্রিত বৃষ্টি শস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে । যার ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসল । এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান বলেন, "তিন সপ্তাহের মধ্যে বিদেশ থেকে পিঁয়াজ আমদানি শুরু করা হবে । বিগত সময় অধিক বৃষ্টির কারণে ফসল নষ্টের ফলে দেশের অভ্যন্তরে পিঁয়াজের হাহাকার তৈরি হয়েছে । মন্ত্রীর আশা, বিদেশ থেকে আমদানির ফলে সেই সমস্যার সমাধান হবে ।" আমদানি এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে । ডিসেম্বর মাসের মাঝ বরাবার NAFED (সমবায় ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষিজ পণ্য বণ্টন সংস্থা ) বিভিন্ন রাজ্যে পিঁয়াজ বণ্টন সম্পূর্ণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে । পিঁয়াজের উপর থেকে ভরতুকি হ্রাস করার দাবি জানিয়েছে রাজ্য সরকার । তবে, এর ফলে সাধারণ মানুষ কতটা সুবিধা পাবেন, পিঁয়াজের দাম কতটা কমবে সে বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে এখনও স্পষ্ট নয় ।

একটু অন্য ভাবে বললে, ক্রেতার চোখ দিয়ে সারাক্ষণ জল গড়াচ্ছে, এর কৃতিত্ব দিতেই হবে আমাদের বাজারে পিঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিকে । বছর দুয়েক আগের কথা, যখন পিঁয়াজের দাম 60 টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, তখন দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কেন্দ্র তার অক্ষমতার কথা স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছিল । সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় পিঁয়াজ সরবরাহ করা হবে বলে প্রতিটি রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল । যাই হোক, প্রতিশ্রুতি মতো সরবরাহ না হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি । দুই মাসের মধ্যে পিঁয়াজের দাম এতটাই অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে । তখন বাধ্য হয়ে রপ্তানির উপর থেকে ভরতুকি তুলে নেয় সরকার । খুচরো এবং পাইকারি বিক্রেতাদের পিঁয়াজ মজুত করার ক্ষেত্রে সীমা বেঁধে দেওয়া হয় । খুচরো বিক্রেতারা 100 কুইন্টাল এবং পাইকারি বিক্রেতারা 500 কুইন্টাল পিঁয়াজ মজুত করতে পারবেন বলে নির্দেশ জারি করা হয় । মিশর থেকে জরুরি ভিত্তিতে পিঁয়াজ আমদানি করার উদ্যোগ নেয় । বেশ কিছু রাজ্য সরকার নিজেরা ভরতুকি দিয়ে পিঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নেয় । কিন্তু, সেই ভরতুকি ক্রেতাদের মুখে খুব একটা হাসি ফোটাতে পারেনি । এই ধরনের পদক্ষেপ কেবল মাত্র ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা মাত্র । ক্রেতারা ভেবে উঠতে পারছেন না কবে দাম কমবে, অন্যদিকে, কৃষকরা চিন্তিত ফসল ফলাবেন কী করে, কম দামে বিক্রি করবেন কী করে, তা নিয়ে ।

গুজরাত, হিমাচল, হরিয়ানা এবং পঞ্জাবে চিনাবাদম, টমেটো এবং আলুর দাম আকাশ ছোঁয়া, এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আর একটি নাম । প্রতি বছরই ফল উত্পাদনের সময় কৃষকরা নানাবিধ সমস্যার সামনে পড়েন, কিন্তু সমস্যাটি যখন মারাত্মক আকার নেয়, তখনই সরকার একমাত্র পদক্ষেপ করার কথা ভাবনা-চিন্তা শুরু করে । ভারতে 14 বিলিয়ন হেক্টর কৃষিজমি আছে । কিন্তু, কেন চিন তাদের প্রয়োজনীয় ফসলের 95 শতাংশ নিজেরা উত্পাদন করে আর ভারতকে পিঁয়াজের মতো আনাজ আমদানির উপর নির্ভর করতে হয় ?

যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে । পঞ্চায়েত থেকে প্রয়োজনীয় এবং সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, কারণ, কোন গ্রামীণ এলাকায় ঠিক কত পরিমাণ ফসল উৎপাদিত হচ্ছে তার একটা সঠিক মাপ সর্বদা পঞ্চায়েতের কাছে থাকে । কৃষিক্ষেত্রে সহায়তার জন্য, কৃষকদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে । সরকারি দপ্তর, কৃষি গবেষণা বিভাগকে বিষয়টি নিয়ে চর্চা করতে হবে । পরিবেশের সঙ্গে সমতা রেখে, তার ভারসাম্য বজায় রেখে কী ভাবে কৃষিকাজ করা সম্ভব, সে দিকে নজর দিতে হবে । কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে হবে । কীভাবে জমি থেকে সর্বাধিক লাভ করা সম্ভব, সে দিকটা দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে ।

সরকার যদি নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের কাছ থেক পুরো উৎপাদিত ফসল কিনে নেয়, তাহলে উৎপাদন থেকে বিক্রি কোনও স্তরেই মধ্যস্বত্বভোগীর অস্তিত্ব থাকবে না, ফলে লাভবান হবেন কৃষকরা । অগ্রিম দিয়ে কৃষকদের আশ্বস্ত যেসব শস্যের ফলন অত্যন্ত বেশি, সেগুলি বিদেশে রপ্তানির বিষয়টি দেখতে হবে । একই সঙ্গে রপ্তানির আগে পুরো বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ণ অত্যন্ত জরুরি । আসলে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরে কৃষি দপ্তর বা মন্ত্রককে এগিয়ে আসতে হবে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে এবং দীর্ঘ মেয়াদিভিত্তিতে কৃষকদের কথা মাথায় রেখে সরকারকে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে । প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করতে হবে । শুধু তাই নয়, উৎপাদন এবং বিক্রয়ের মধ্যে যে ফাঁক তৈরি হচ্ছে, তা পূরণ করতে হবে সরকারকে । জেলাস্তরে ফসল মজুতের ব্যবস্থা, পরিবহন, বণ্টন-সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নজরদারি চালাতে হবে । সুষ্ঠু ব্যবস্থা-নীতি-রীতি তৈরি করতে হবে । দেশের স্বার্থে, কৃষকের স্বার্থে কৃষি বিকাশ কেন্দ্র, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর-মন্ত্রক-বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে । আধুনিক প্রযু্ক্তির সঙ্গে নিজেদের মাননসই করে গড়ে তুলতে হবে । এই রকম একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থা প্রচলন করতে পারলে, আশা করা যায় আমরা পিঁয়াজের ঝাঁজ থেকে ক্রেতাদের চোখের জল পড়া মুছতে পারব ।

আজকের দিনে প্রতিটি রান্না ঘরে বিস্ফোরণ হচ্ছে, 'পিঁয়াজ বোমায়' । দেড় মাস অতিক্রান্ত । তার পরেও কমছে না পিঁয়াজের দাম । দেওয়ালির সময় থেকেই এই সমস্যার সূত্রপাত । পিঁয়াজের দাম কেজি প্রতি 100 টাকা ছাড়িয়ে গেছে । তারপরেও যেভাবে দাম বাড়ছে , তাতে ভাবাচ্ছে গোটা দেশকে ।

পাইকারি বাজারেও পিঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । আগের সব দামের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে । মহারাষ্ট্রের সোলাপুর এবং সানগানের বাজারে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে 110 টাকায় । দক্ষিণ ভারতের কোয়েম্বাটুরে বড় মাপের পিঁয়াজ 100 টাকা কেজি এবং ছোটো পিঁয়াজ 130 টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে । এমনকি, জাতীয় উদ্যানপালন বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলিতে 80 টাকা প্রতি কেজি দরে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে । হায়দরাবাদ, নাগপুর, ভোপালের মতো শহরে পিঁয়াজের দাম গ্রাহকদের পকেটে টান ধরাচ্ছে ।

পিঁয়াজ উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে চিনের পর ভারতের স্থান । কিন্তু মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশে, গুজরাত, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, বিহারে প্রচণ্ড এবং অনিয়ন্ত্রিত বৃষ্টিপাত শস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করেছে । অনিয়ন্ত্রিত বৃষ্টি শস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে । যার ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসল । এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান বলেন, "তিন সপ্তাহের মধ্যে বিদেশ থেকে পিঁয়াজ আমদানি শুরু করা হবে । বিগত সময় অধিক বৃষ্টির কারণে ফসল নষ্টের ফলে দেশের অভ্যন্তরে পিঁয়াজের হাহাকার তৈরি হয়েছে । মন্ত্রীর আশা, বিদেশ থেকে আমদানির ফলে সেই সমস্যার সমাধান হবে ।" আমদানি এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে । ডিসেম্বর মাসের মাঝ বরাবার NAFED (সমবায় ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষিজ পণ্য বণ্টন সংস্থা ) বিভিন্ন রাজ্যে পিঁয়াজ বণ্টন সম্পূর্ণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে । পিঁয়াজের উপর থেকে ভরতুকি হ্রাস করার দাবি জানিয়েছে রাজ্য সরকার । তবে, এর ফলে সাধারণ মানুষ কতটা সুবিধা পাবেন, পিঁয়াজের দাম কতটা কমবে সে বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে এখনও স্পষ্ট নয় ।

একটু অন্য ভাবে বললে, ক্রেতার চোখ দিয়ে সারাক্ষণ জল গড়াচ্ছে, এর কৃতিত্ব দিতেই হবে আমাদের বাজারে পিঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিকে । বছর দুয়েক আগের কথা, যখন পিঁয়াজের দাম 60 টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, তখন দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কেন্দ্র তার অক্ষমতার কথা স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছিল । সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় পিঁয়াজ সরবরাহ করা হবে বলে প্রতিটি রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল । যাই হোক, প্রতিশ্রুতি মতো সরবরাহ না হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি । দুই মাসের মধ্যে পিঁয়াজের দাম এতটাই অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে । তখন বাধ্য হয়ে রপ্তানির উপর থেকে ভরতুকি তুলে নেয় সরকার । খুচরো এবং পাইকারি বিক্রেতাদের পিঁয়াজ মজুত করার ক্ষেত্রে সীমা বেঁধে দেওয়া হয় । খুচরো বিক্রেতারা 100 কুইন্টাল এবং পাইকারি বিক্রেতারা 500 কুইন্টাল পিঁয়াজ মজুত করতে পারবেন বলে নির্দেশ জারি করা হয় । মিশর থেকে জরুরি ভিত্তিতে পিঁয়াজ আমদানি করার উদ্যোগ নেয় । বেশ কিছু রাজ্য সরকার নিজেরা ভরতুকি দিয়ে পিঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নেয় । কিন্তু, সেই ভরতুকি ক্রেতাদের মুখে খুব একটা হাসি ফোটাতে পারেনি । এই ধরনের পদক্ষেপ কেবল মাত্র ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা মাত্র । ক্রেতারা ভেবে উঠতে পারছেন না কবে দাম কমবে, অন্যদিকে, কৃষকরা চিন্তিত ফসল ফলাবেন কী করে, কম দামে বিক্রি করবেন কী করে, তা নিয়ে ।

গুজরাত, হিমাচল, হরিয়ানা এবং পঞ্জাবে চিনাবাদম, টমেটো এবং আলুর দাম আকাশ ছোঁয়া, এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আর একটি নাম । প্রতি বছরই ফল উত্পাদনের সময় কৃষকরা নানাবিধ সমস্যার সামনে পড়েন, কিন্তু সমস্যাটি যখন মারাত্মক আকার নেয়, তখনই সরকার একমাত্র পদক্ষেপ করার কথা ভাবনা-চিন্তা শুরু করে । ভারতে 14 বিলিয়ন হেক্টর কৃষিজমি আছে । কিন্তু, কেন চিন তাদের প্রয়োজনীয় ফসলের 95 শতাংশ নিজেরা উত্পাদন করে আর ভারতকে পিঁয়াজের মতো আনাজ আমদানির উপর নির্ভর করতে হয় ?

যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে । পঞ্চায়েত থেকে প্রয়োজনীয় এবং সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, কারণ, কোন গ্রামীণ এলাকায় ঠিক কত পরিমাণ ফসল উৎপাদিত হচ্ছে তার একটা সঠিক মাপ সর্বদা পঞ্চায়েতের কাছে থাকে । কৃষিক্ষেত্রে সহায়তার জন্য, কৃষকদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে । সরকারি দপ্তর, কৃষি গবেষণা বিভাগকে বিষয়টি নিয়ে চর্চা করতে হবে । পরিবেশের সঙ্গে সমতা রেখে, তার ভারসাম্য বজায় রেখে কী ভাবে কৃষিকাজ করা সম্ভব, সে দিকে নজর দিতে হবে । কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে হবে । কীভাবে জমি থেকে সর্বাধিক লাভ করা সম্ভব, সে দিকটা দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে ।

সরকার যদি নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের কাছ থেক পুরো উৎপাদিত ফসল কিনে নেয়, তাহলে উৎপাদন থেকে বিক্রি কোনও স্তরেই মধ্যস্বত্বভোগীর অস্তিত্ব থাকবে না, ফলে লাভবান হবেন কৃষকরা । অগ্রিম দিয়ে কৃষকদের আশ্বস্ত যেসব শস্যের ফলন অত্যন্ত বেশি, সেগুলি বিদেশে রপ্তানির বিষয়টি দেখতে হবে । একই সঙ্গে রপ্তানির আগে পুরো বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ণ অত্যন্ত জরুরি । আসলে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরে কৃষি দপ্তর বা মন্ত্রককে এগিয়ে আসতে হবে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে এবং দীর্ঘ মেয়াদিভিত্তিতে কৃষকদের কথা মাথায় রেখে সরকারকে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে । প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করতে হবে । শুধু তাই নয়, উৎপাদন এবং বিক্রয়ের মধ্যে যে ফাঁক তৈরি হচ্ছে, তা পূরণ করতে হবে সরকারকে । জেলাস্তরে ফসল মজুতের ব্যবস্থা, পরিবহন, বণ্টন-সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নজরদারি চালাতে হবে । সুষ্ঠু ব্যবস্থা-নীতি-রীতি তৈরি করতে হবে । দেশের স্বার্থে, কৃষকের স্বার্থে কৃষি বিকাশ কেন্দ্র, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর-মন্ত্রক-বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে । আধুনিক প্রযু্ক্তির সঙ্গে নিজেদের মাননসই করে গড়ে তুলতে হবে । এই রকম একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থা প্রচলন করতে পারলে, আশা করা যায় আমরা পিঁয়াজের ঝাঁজ থেকে ক্রেতাদের চোখের জল পড়া মুছতে পারব ।

New Delhi, Dec 17 (ANI): As temperature dipped in the national capital, the sufferers turned towards night shelters to cope with the chilly winter of Delhi. The government-supported night shelters have become heaven for homeless people. They are provided with free blankets and pillows in a night shelter near All India Institute of Medical Sciences (AIIMS). Cold wave intensified in Delhi after brief but heavy showers last week. According to the Air Quality Index (AQI) data and System of Air Quality and Weather Forecasting and Research (SAFAR), major pollutants in Delhi's Lodhi Road area were PM 2.5 at 116 (Moderate category) and PM 10 at 91 (satisfactory category). Higher value of AQI indicates greater level of air pollution and health concern.

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.