পুরী, 22 জুন : রথের চাকা থামাতে পারল না কোরোনা ভাইরাস। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সুপ্রিম কোর্ট আজ শর্তসাপেক্ষে পুরীতে রথযাত্রার অনুমতি দেয় । আদালত মন্দির কমিটি, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে জনগণের স্বাস্থ্যের সঙ্গে কোনও আপস না করে কাজ করার নির্দেশ দেয়। রথযাত্রার অনুমতি মেলায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়েক সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, "কোরোনা সংক্রমণের মাঝে রথযাত্রার আয়োজন করা অত্যন্ত কঠিন বিষয় ছিল। তবে ওড়িশা সরকার এবং শ্রী জগন্নাথ মন্দির পরিচালনা কমিটি রথযাত্রার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে পরিচালনার জন্য তিন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নীলাদ্রি বিজ পর্যন্ত রথযাত্রার সময় আমাদের খুব সাবধান থাকতে হবে। আশা করি, রথযাত্রায় অংশ নেওয়া সকলে কোরোনা ভাইরাসের বিষয়ে জারি করা যাবতীয় নির্দেশিকা অনুসরণ করবে। "
রথযাত্রা আয়োজনের অনুমতি নিয়ে তিনি বলেন, " সমগ্র বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আমাদের শৃঙ্খলা ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করতে হবে এবং বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ স্থাপন করতে হবে।"
কোরোনা সংক্রমণ রুখতে এবং সুষ্ঠুভাবে রথযাত্রা পরিচালনা করতে আজ রাত ন'টা থেকে পুরীতে লকডাউনের নির্দেশ জারি হয়েছে। এই বিষয়ে ওড়িশার DGP জানান, আজ রাত ন'টা থেকে পরের দিন দুপুর দু'টো পর্যন্ত পুরী জেলা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে একটি সরকারি আদেশ জারি করতে বলা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষকে পুরীতে না আসার অনুরোধ করা হয়েছে। ওড়িশার বিশেষ ত্রাণ কমিশনার বলেন, আগামীকাল যে কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন, ব্যক্তিগত ও সরকারি যানবাহনকে শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
আজ সুপ্রিম কোর্টের তরফে পুরীতে রথযাত্রার অনুমতি দিয়ে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মন্দির কমিটি, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মিলিত প্রয়াসে রথযাত্রার আয়োজন করা যাবে। কোরোনা মহামারীর কারণে এর আগে 18 জুন রথযাত্রা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়ায় আজ ফের শুনানি হয় এবং আদালতের তরফে শর্তসাপেক্ষে রথযাত্রার আয়োজন করার অনুমতি দেওয়া হয়।
সুপ্রিমকোর্টের তরফে জানানো হয়, যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে রাজ্য সরকার রথযাত্রা স্থগিত রাখতে পারে।