দিল্লি, 29 মে : লাদাখ ইশুতে কথা হয়নি নরেন্দ্র মোদি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের । জল্পনা উড়িয়ে জানাল এক সরকারি সূত্র । কয়েক ঘণ্টা আগেই অ্যামেেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, চিনে যা হচ্ছে সেই নিয়ে মেজাজ ভাল নেই মোদির । তাঁর এই দাবি অস্বীকার করেই মূলত কথোপকথনের বিষয়টি স্পষ্ট করা হয় । দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে তো সম্প্রতি কোনও কথোপকথনই হয়নি । তবে ট্রাম্প কীভাবে এই কথা বললেন সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছে ।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল 4 এপ্রিল । মূলত, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়েই কথা হয়েছিল তাঁদের, এই বিষয়টিও স্পষ্ট করে কেন্দ্রীয় সরকার ।
কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়, “গতকাল বিদেশমন্ত্রকের তরফে এ কথাও জানানো হয় যে, যা হচ্ছে সেই বিষয়ে আলোচনার জন্য চিনের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে । সমস্যা সমাধানে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে দু'পক্ষই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ।”
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প দাবি করেন, মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে । তিনি বলেন, “আমি আপনাদের বলতে পারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে । চিনের সঙ্গে যা হচ্ছে সেই নিয়ে তাঁর মেজাজ ভাল নেই ।”
চিন এবং ভারত সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয় । তিনি জানান, চিন এবং ভারতের মধ্যে বড় দ্বন্দ্ব রয়েছে । দুই দেশেরই জনসংখ্যা প্রায় 1.4 বিলিয়ন । দুই দেশেরই শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে । ভারত খুশি নয় কিংবা চিনও ।
বুধবারও ভারত-চিন পরিস্থিতির মধ্যস্থতা করার প্রস্তাবও দেন ট্রাম্প । দুই দেশকে উল্লেখ করে একটি টুইট করেন । লেখেন, "আমরা ভারত ও চিন দুই দেশকেই জানিয়েছি ,তাদের বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতির মধ্যস্থতা করতে অ্যামেরিকা প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম । ধন্যবাদ ।"
চিন-ভারত দ্বন্দ্ব নিয়ে মোদি অখুশি জানিয়ে ফের মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের
গতকাল ফের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন ট্রাম্প । এবং আজ সকালে সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেজাজ ঠিক নেই । তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভারতের তরফে উত্তর দেওয়া হয় । স্পষ্ট জানানো হয়, মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের 4 এপ্রিলের পর কোনও কথাই হয়নি ।